বৈদেশিক-সম্পর্ক
শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার সহকারী বাণিজ্য মন্ত্রীর
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রী শুক্রবার (২১ জুলাই) এ আশ্বাস দেন। সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিট্যান্স, ক্ষুদ্র অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গত দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রশংসাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, অর্থনৈতিক প্রযুক্তি (Fintech), তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (ITES) এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলে আল্লামা সিদ্দিকী উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বানও জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণার্থে এ খাতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএ’র ইএসজি অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়টিও তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে জানান।
সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা ও বাংলাদেশের উৎপাদকদের দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক এ শিল্পকে বহুমুখীকরণে সহায়তা করছে।
টিম আয়ার্স বলেন, বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য এবং সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতাকে (টিফা) পরবর্তী স্তরে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন টিম আয়ার্স।
বর্তমানে বিজিএমইএ’র ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় মেলবোর্নে তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়।
এ ছাড়া শুক্রবার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথ সভার আয়োজন করে। এতে সিডনিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতাকে তুলে ধরা হয়। এ সভায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্রান্ড ও শিল্পপ্রতিনিধিসহ ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
বাংলাদেশের উন্নয়নে বৃটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান: লন্ডনে সংলাপ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বৃটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লন্ডনে ব্যতিক্রমী এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহষ্পতিবার রেডব্রিজ সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। ইলফোর্ড টাউন কাউন্সিলর ও রেডব্রিজ লেবার গ্ৰুপের চেয়ার সায়মা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের পরিচালক ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের তরুণদের প্রশ্ন এবং বাংলাদেশ ভাবনা দিয়ে শুরু হয় সংলাপটি। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সেক্টরে অসামান্য অবদান রাখা পেশাজীবী ও কমিউনিটির ব্যক্তিরা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ডায়াস্পোরা কমিউনিটি বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ ধরনের সংলাপ বা চিন্তার আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাস-বান্ধব নীতিসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বৃটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি আমাদের সব ধরনের সংকটে ধনাত্মক অবদান রেখে এসেছে। প্রবাসীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া পূরণসহ তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের উন্নয়ন বেগবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে বিনিয়োগ, শিক্ষা-গবেষণা এবং সাংষ্কৃতিক আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের বৃটিশ-বাংলাদেশিদের শেকড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার অনুকূল পরিবেশ সরকারকেই সৃষ্টি করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন: অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস ফুড সিস্টেম+২ মোমেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানিকভাবে এতথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি জানান, আগামী ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইতালির উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ২৬ জুলাই সকালে ঢাকায় ফিরবেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদক, বৈজ্ঞিানিক, গবেষকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য “সাসটেইন্যাবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্ল্যানেট অ্যান্ড প্রসপারিটি: ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ারড জার্নি” প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস ফুড সিস্টেম+২ মোমেন্ট’ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পের পানি কৃষকদের ব্যবহারের অনুমতি দিতে জাইকার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২৪ জুলাই খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদরদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন তিনি। একই দিন সন্ধ্যায় ইউরোপের ১৫ দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন বলে জানান মোমেন।
এরপর পরদিন ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী এইচ ই জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে জ্বালানি সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া এফএও, আইএফএডি ও ডব্লিউএফপির নির্বাহীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
হিরো আলমের বিষয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশন থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, অন্য দেশে যখন এ ধরনের ঘটনা বা কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন তো কিছু বলেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু বাংলাদেশে কিছু ঘটলে তারা শোরগোল করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশে যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন কেউ কিছু বলেন না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হলে এসব দেশ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলে কি না। বাংলাদেশি এক নাগরিকের নিহতের বিষয় উল্লেখ করে তিনি জানতে চান, সে বিষয়ে কী কেউ কিছু বলেছে? জাতিসংঘ বা রাষ্টদূতরা দল বেঁধে কী কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) জিজ্ঞাসা করুন। আপনারা কেন তাদের জিজ্ঞাসা করেন না? কেন তারা বিবৃতি দেন না?’
মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে কারা এই (হিরো আলমের উপর হামলা) করেছে তা জানা দরকার। "আমরা জানি না। আপনারা কখনোই জানেন না... নির্বাচন বানচালের জন্য এই অপকর্মগুলো করা হয়।"
মোমেন বলেন, সাংবাদিকদের এটা খুঁজে বের করা উচিত। ‘আমাকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দিন যে দেশগুলো তাদের নিজস্ব দেশে একই রকম ঘটনা ঘটলে এমন বিবৃতি জারি করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ বা সম্প্রচার বন্ধ করার সময় এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান এবং সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন।
এর আগে ঢাকায় বিদেশি মিশন হিরো আলমের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পূর্ণ তদন্ত ও জবাবদিহির আহ্বান জানিয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, “আমরা হিরো আলম নামে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের উপর ১৭ জুলাই হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।”
ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সাথে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের দূতাবাস বা হাইকমিশনের কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেছেন। এ ছাড়া হিরো আলমের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে জয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটেছিল তা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
আরাফাত বলেন, ‘আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দলগুলো আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারেনি। এটা নির্বাচনকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গত ১৭ জুলাই বনানী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি মিশনগুলো।
এক যৌথ বিবৃতিতে মিশনগুলো জানিয়েছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত, ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ
কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস ও হাইকমিশন যৌথ বিবৃতিতে সই করেছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হবার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটল তা অনাকাঙ্ক্ষিত, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মারামারি করল, তারা আর যাই হোক নৌকার শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে ‘লাঞ্ছিত’ করা হয়।
তার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দুই দেশের 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনার জন্য তারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
১৮ জুলাই নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া তার সফরকালে বাংলাদেশের 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের' লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একযোগে কাজ করার গুরুত্বের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক ও শ্রমিক কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করছেন উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘এগুলো হচ্ছে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি আরও বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি মানবিক অংশীদার ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ৭৪ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণা দেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমি পরিশেষে বলতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে মানবপাচারের অভিশাপ মোকাবিলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য নিবেদিত।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ
ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
২০২৩ অর্থবছরের পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি: এডিবি
২০২৩ অর্থবছরের (জুনের ৩০ তারিখ শেষ হয়েছে) জন্য ৬ শতাংশের উচ্চতর বরাদ্দ শক্তিশালী নিট রপ্তানিকে প্রতিফলিত করে, কারণ আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সরবরাহের দিক থেকে সমস্ত আকারের উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য সহায়ক সরকারি নীতিগুলো ব্যবহার করেছে। বন্যা, সাইক্লোন এবং খরার কারণে ফসলের ক্ষতি আংশিকভাবে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছিল।
সেবা খাত উচ্চতর গুদাম ও সহায়তা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবার মাধ্যমে বজায় ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন এডিবি’র
চাহিদার দিক থেকে জনসাধারণের ভোগের বৃদ্ধি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে, যেহেতু জনসাধারণের বিনিয়োগও বেড়েছে।
এডিও এপ্রিল ২০২৩ এর পূর্বাভাস ২০২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য তার প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বজায় রেখেছে, কারণ শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এই অঞ্চলের পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করে চলেছে।
বুধবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) জুলাই ২০২৩ অনুযায়ী, জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি কমতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এপ্রিলে ৪ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৩ দশমিক ৬ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
এদিকে, ২০২৪ সালের জন্য মুদ্রাস্ফীতির দৃষ্টিভঙ্গি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) পুনরায় চালু হওয়ার ফলে এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি জোরদার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
সেবা খাতে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে পিআরসির অর্থনীতি এই বছর ৫ শতাংশ প্রসারিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, এপ্রিলের পূর্বাভাস থেকে অপরিবর্তিত। যাইহোক, উন্নয়নশীল এশিয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির চাহিদা ধীর গতিতে চলছে, কারণ আর্থিক কঠোরতা প্রধান উন্নত অর্থনীতির অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে টেনে আনছে। আগামী বছরের জন্য এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এপ্রিলের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ অনুমান থেকে সামান্য সংশোধন করে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল স্থিতিশীল গতিতে মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার অব্যাহত রেখেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং পরিষেবা ক্রিয়াকলাপ প্রবৃদ্ধিকে চালিত করছে, যখন অনেক অর্থনীতি পর্যটনে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার থেকে উপকৃত হচ্ছে। যাইহোক, শিল্প ক্রিয়াকলাপ ও রপ্তানি দুর্বল রয়ে গেছে এবং আগামী বছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও চাহিদার দৃষ্টিভঙ্গি আরও খারাপ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফাতিমা ইয়াসমিনকে সেক্টর ও থিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এডিবি
গুজরাটে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কামালের সাক্ষাত, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ভারতের গুজরাটে জি-২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্মেলনের ফাঁকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে ২৩-২৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাপানের মন্ত্রী
জি-২০ জোটের সদস্য না হয়েও বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে 'অতিথি দেশের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ ভারত। কামাল জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার