রংপুর
ঠাকুরগাঁওয়ে ৪২ মণ ওজনের 'বিগবস' কিনলে পালসার মোটরসাইকেল ফ্রি!
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সাড়া ফেলেছে ৬ বছর বয়সী সাড়ে ৪২ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘বিগবস’। কারণ ষাঁড়টি কিনলেই ১৬০ সিসি’র পালসার একটি মোটরসাইকেল মোটরসাইকেল ফ্রি পাওয়া যাবে।
আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে সাড়ে ৪২ মণ ওজনের ‘বিগবস’ নামের এই ষাঁড়টি। এটি লম্বায় ১০ ফিট ও উচ্চতায় ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি। ষাঁড়টির দাম ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির মালিক আফিল উদ্দীনের বাড়ি জেলার হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
এরই মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ‘বিগবস’।
ষাঁড়টির মালিক আফিল উদ্দীন জানান, গতবারে ‘বিগবস’কে কিনতে ২২ লাখ টাকা দাম বলেছিলেন স্থানীয় এক ক্রেতা। কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় বিক্রয় করেননি তিনি। এবার আশা করছেন কাঙ্খিত দামে বিক্রয় করতে পারবেন বিগবসকে।
তিনি জানান, বিশাল আকৃতির ষাড় ‘বিগবস’র প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগান দিতে হয় দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খইল, ভুট্টা, বুট, ছোলার ভুসি, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুঁড়া। পাশাপাশি খাওয়ানো হয় বিভিন্ন ফলমূলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার। এর জন্য প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২২’শ টাকা ব্যয় হয় খামারি মালিকের।
এই বিশাল আকৃতির ষাড়টিকে একপলক দেখার জন্য স্থানীয়রাসহ অনেক দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। ষাঁড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসক।আর রাতে নিরাপত্তার জন্য থাকে নিবিড় নজরদারি।
আরও পড়ুন: বিটিএস’র ১০ বছর
লালমনিরহাটে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা-মহিপুর সড়কে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় দুই বন্ধু ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) রাত ১১টার দিকে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লালমনিরহাটের কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের সাহিদুল মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (১৮) ও একই গ্রামের আজির আলীর ছেলে শাহা আলম (১৭)।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে তিন বন্ধু তিস্তা সেতুতে চলন্ত মোটরসাইকেলে টিকটক করতে থাকে। এ সময় রংপুর থেকে বুড়িমারী যাওয়ার পথে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে।
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে দুইজন মারা যান। অপর যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরররা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তের ৩৭৪/১ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জিন্নাত আলী (৫২) রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট কলোনির মৃত মহিউদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, জিন্নাত আলীসহ আরও কয়েকজন দুপুরে বাড়ির অদূরে ভারতের সীমান্তে ঘাস কাটার সময় ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকরাদহ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে জিন্নাত আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় অন্যরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল জানান, পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জগদল ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল মোমিন জানান, গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে জিন্নাত আলী নামে এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তের শুন্যরেখা অতিক্রম করলে বিএসএফ টহল দল গুলি করে।
আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ৭ টার দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের আইকুমারীভাতি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক জুয়েল মন্ডল (৩০) ওই গ্রামের আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ঝড় বৃষ্টির সময় বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হয় সে। পরে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী জুয়েলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া লাশ দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
চুয়াডাঙ্গায় ১৪ স্বর্ণের বার জব্দ, ৪ পাচারকারী আটক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে উপজেলার হাসাদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ১৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
এছাড়া উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের বাজারমূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এদিকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ২০ পিস স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
আটক পাচারকারীরা হলো- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া মঙ্গলপুর গ্রামের জিহাদ মোল্লার ছেলে এবাদুল মোল্লা (২৬), তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুর হাসান(২৭), ইনসান কাজির ছেলে রিয়াজ কাজি (২১) ও নড়াগাতি উপজেলার খাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলির ছেলে শেখ সোহেল রানা(৩৫)।
৫৮ বিজিবির পরিচালক মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, অবৈধভাবে ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল জীবননগর হাসাদাহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার সীমান্ত এলাকার দিকে যাচ্ছিল।
বিজিবি টহল দল সিগন্যাল দিলে প্রাইভেটকারটি দাঁড়ায়। প্রাইভেটকার তল্লাশি করে সিটের নিচ থেকে ১৪টি স্বর্ণের বারসহ চার জনকে আটক করে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবি জীবননগর থানায় একটি মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
শার্শায় ১.৪ কোটি টাকা মূল্যের ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় এক ব্যক্তিকে আটকের দাবি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বুধবার (৭ জুন) সকাল ৯ টার দিকে মহানগরীর কামারপাড়া ইউনিয়নের ঢাকা কোচস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটক ফয়সাল মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের দেওভোগ
মৃধাবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
রংপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আসলাম আলী মণ্ডল জানান, ঢাকা থেকে রংপুরে স্বর্ণের একটি চালান পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল একটি বাস আটক করে। এ সময় শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী ফয়সাল নামে এক যুবকের কোমর থেকে স্বর্ণের ১৫টি বার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই যাত্রীর পরিহিত প্যান্টের বেল্টের নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিলো স্বর্ণের বারগুলো। ১৫০ ভরি ওজনের ১৫টি স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে হেরোইন ও এলএসডি জব্দ, সাবেক ইউপি সদস্য আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬৩.১৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
রাজশাহীতে ২ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে অতিরিক্ত গরমে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
কুড়িগ্রামে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর রাবাইতারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী হলো- মো. আমিন আলী ছেলে মো. হাসান আলী এবং মো. হাছান-এর মেয়ে মোছা. হেলেনা। তাদের দুই জনের বাড়ি উত্তর রাবাইতারি বটতলা গ্রামে। তারা ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম!
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম সফিক জানান, বুধবার নবম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা চলছিল। কিছু সময় পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ওই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে হেলেনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাকে পরীক্ষার হল থেকে অফিস কক্ষে নিয়ে এসে সেবা দেওয়া হয়। পরে সে আরও বেশি অসুস্থ হলে তাকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী হাসান আলীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকেও নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক মোহাম্মদ ইফতেখার উল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের দুইজনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত গরমের পাশাপাশি পরীক্ষার চাপ থাকায় মানসিক ও শারীরিকভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে সমঝোতার ফলে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার পর সোমবার বিকাল ৫টা থেকে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড ফের শুরু হয়েছে এবং পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশি হিলি বন্দরে প্রবেশ করেছে তারা।
এদিকে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু দাবি সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এছাড়া আকস্মিক ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার (৪ জুন) সারাদিন এবং সোমবার (৫ জুন) বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
জানা যায়, ধর্মঘট অবসানের লক্ষ্যে রবিবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের কাছে চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতীয় রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এ ব্যাপারে সোমবার দুপুর দেড়টায় হিলি সীমান্তের শুন্যরেখায় আলোচনায় বসেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া বিকাল ৫ টায় সমঝোতায় উপনীত হন তারা।
বাংলাদেশের হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, আলোচনায় ভারতীয় ট্রাক চালকদের কিছু যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছেন তারা। বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসা চালকদের পণ্য খালাস শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্দরে অবস্থানকালীন সময়ে পানীয় জলের, থাকা খাওয়া বিশ্রামের সুব্যবস্হাসহ বন্দরের অভ্যন্তরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কেনাকাটার সুবিধার্থে দোকানের ব্যবস্হা রাখার দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ২ ঘন্টার জন্য বন্দরের বাইরে লোকালয়ে অবাধে চলাচলের অনুমতি চাইছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
এ বিষয়টি সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
আলোচনায় বাংলাদেশের হিলির আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ এবং হিলির সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটনসহ অন্যান্যারা উপস্হিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতীয় হিলির এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক জোয়ারদার, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মণ্ডল, ভারতীয় ট্রাকচালক সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্টরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
সমঝোতার উপনীত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক ভাবে সোয়া ৫ টার দিকে পণ্যবাহী একাধিক ট্রাক হিলির বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে যথারীতি পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরবে বলে আশা করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট সীমান্তের ৮৫৭ সাব পিলারের কাছে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ আলী (২৭) ওই ইউনিয়নের মেসের ডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৫৭ নম্বর প্রধান পিলারের জগতবেড় ইউনিয়নের কালীরহাট এলাকা সীমান্তে ভারতীয় ১৬৯ মেখলিগঞ্জের রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মীররাপা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে নিহত হন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, নিহত ইউসুফের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শোনার পরে বিওপি ক্যাম্পে যোগযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া কেন গুলি করা হয়ে তা জানতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ
ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে রবিবার (০৪ জুন) সারাদিন কোনো ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে করে ভারতীয় এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক।
সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের চিঠি দিলেও দু’পক্ষের মধ্যে কোনো বৈঠক বসেনি। তবে সোমবার থেকে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, শনিবার (০৩ জুন) কয়েকজন ভারতীয় ট্রাক চালক হিলির বেসরকারি অপারেটর পানামা ল্যান্ডপোর্টের বাইরে লোকালয়ে চলাচলে বাধা দেন পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা। এ নিয়ে নিরাপত্তা কর্মীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে ট্রাক চালকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে পিটুনির শিকার হন কয়েকজন ভারতীয় ট্রাক চালক।
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
রবিবার (০৪ জুন) সকালে ভারতে ফিরে অন্যান্য ট্রাক চালকদের শনিবারের ঘটনা জানান লাঞ্ছিতের শিকার ট্রাক চালকরা। এতে ক্ষুব্ধ অন্যান্য ভারতীয় ট্রাক চালকরা আকস্মিক ধর্মঘট শুরু করে। এতে রবিবার সারাদিন ভারত থেকে আমদানির পণ্যবাহী কোনো ট্রাক হিলিবন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।
হিলির বাংলাদেশি আমদানি রপ্তানিকারক সংগঠনের নেতা হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের বাংলাদেশি এলাকায় চলাচলে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন যৌথভাবে কিছু নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেছিল। তাতে ভারতীয় ট্রাক চালকদের পণ্য খালাস শেষে নিজ দেশে ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত ল্যান্ডপোর্টে সীমিত পরিসরে চলাচল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা বন্দরে প্রবেশের পর লোকালয়ে অবাধে চলাচল অবৈধ পণ্য বেচাকেনা, মদপানসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পরিবেশ অসনীয় করে তুলছিল। এ নিয়ে বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করায় কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। এ সময় রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে ট্রাক রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল তারা। এনিয়ে স্হানীয়দের হাতে লাঞ্ছিত কয়েকজন ট্রাক চালক রবিবার সকালে দেশে ফিরে ধর্মঘটের উদ্ভব ঘটায়।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ