রংপুর
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা এক মামলায় সাবেক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মো. জাফরুল পীরগঞ্জ শহরের ভেলাতৈড় মহল্লার শাহ্ আলমের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৪ জুন বিয়ের আশ্বাসে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জাফরুল। এসময় অপর দুই অভিযুক্ত একই মহল্লার নজমুল হকের ছেলে রুমন ও ‘রনি রাইস মিলে’র মালিক শাহজাহানের ছেলে রনি একাজে জাফরুলকে সহযোগিতা করে।’
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত রুমন ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে এবং গত ১৭ জুন ওই ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে।
পুলিশ জানায়, রুমন ও রনি দুজনেই পরে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে।
এরপর তাদের হুমকি মেনে নেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত তিনজন ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী গত ৩ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
জাফরুলকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাকী দুই আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাদের খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে ১৬ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
নীলফামারীর চড়াইখোলা ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হিয়া মনি (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল এগারটার দিকে উত্তর আরাচি চড়াইখোলা সরমজানী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হিয়া মনি একই এলাকার নুরুজ্জামান আলী শাহের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাবেয়া বেগম জানান, ওই বাড়ির রান্না ঘরের সেচ পাম্প থেকে সেচ দেয়া হতো। হঠাৎ মেয়েটি ওই ঘরে গিয়ে তারের সঙ্গে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে মারা যায় মেয়েটি।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন,আমাদের কাছে খবর আসেনি,তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাস চালকের সহকারীর মৃত্যু
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
রৌমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আবু হোরায়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের সামাউন ইসলামের ছেলে।
নিহত ওই শিশুর বাবা সামাউন ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল দেড় বছর বয়সের শিশু আবু হোরায়রা। এসময় সবার অজান্তে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় শিশুটি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে তাকে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখেন স্বজনরা। পরে তার লাশ উদ্ধার করে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ফেঞ্চুগঞ্জে স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবে শিক্ষার্থী নিহত
লালমনিরহাটে ফেনসিডিল জব্দ, ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সীমান্তের কাছে বৃহস্পতিবার ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। এই সময় দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ভারতের শীতলকুচি থানার পাঠানতার ও লালতর পাড়া এলাকার হোসেন আলী ও জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তের কাছে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এই সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার পর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি শাহা আলম।
ঘোড়াঘাটে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের চেংগ্রামে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার খেলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু দুটি হলো ওই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পাঁচ বছর বয়সী শিশু পুত্র তানভির মিয়া এবং মান্না মিয়ার চার বয়সী শিশু পুত্র আয়াত আলী মিয়া। সম্পর্কে দুই শিশু চাচাতো ভাই।
ঘোড়াঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম জানান, সকালে ঘরের পাশে খেলার সময় পুকুরের গভীর পানিতে তলিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এব্যপারে থানায় জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। তবে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্হা ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মন্দির ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রাতের অন্ধকারে মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা। এছাড়াও ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাগডাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় রতিকান্ত রায়ের বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রতিকান্ত রায়ের দাদা শিরিষ চন্দ্র রায় প্রায় ৩৫ বছর আগে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট এলাকার আব্দুস ছামাদ ঘাটিয়ালের কাছে তিন দাগে ৬০ শতক জমি বিক্রি করেন। সেই জমির মধ্যে দুই শতক জায়গায় মন্দিরটিও ছিল। ছামাদ ঘাটিয়ালের এক স্ত্রী ও তার দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছিল। এরমধ্যে মন্দিরের দুই শতক জায়গার পরিবর্তে অন্য জায়গায় দুই শতক জমি রেওয়াজ বদল করে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ছামাদের দুই ছেলে। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সালিশ বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বশেষ গত ৬ মে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যান দুই শতক জায়গা মন্দির ও সড়কের জন্য ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সালিশ বৈঠককারীরা চাপিয়ে দেন ছামাদের দুই ছেলের ওপর।
এরপর সোমবার (৮আগস্ট) দুপুরে মন্দির সংলগ্ন জায়গায় অবস্থিত বাঁশ কাটতে যায় ছামাদের বড় ছেলে শহিদুল। সে একটি বাঁশ কাটার পর রতিকান্ত ও তার ভাই শিবচরণ বাঁশ কাটতে বাঁধা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতেই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের লোক হতবাক। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ৩
মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মহাদেব ওরফে পঁচা রায়ের ছেলে রতিকান্ত রায় জানান, পারিবারিকভাবে আমার বাপ-দাদারা মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছে। মাঝরাতের দিকে প্রতিবেশীদের ডাকে ঘুম থেকে উঠে দেখি মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নেভানোর আগে মন্দিরের ৪০ভাগ আগুনে পুড়ে গেছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমি দেখতে পাইনি। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগের তীর যাদের দিকে তাদের মধ্যে ছামাদ ঘাটিয়ালের ছোট ছেলে দিনমজুর আজিমুল জানান, ১৯৮৮ সালে তার বাবা ছামাদ ঘাটিয়াল তার মাসহ দুই ভাইকে তিন দাগে ৬০শতক জমি কিনে এখানে বাড়ি করে দেন। ছামাদ ঘাটিয়াল আরেক স্ত্রীসহ লালমনিরহাট জেলার মোগলহাটে বসবাস করেন। এখানে তিন দাগে প্রাপ্ত ৩৫ শতক, ১১শতক ও ১৪ শতক দাগের মধ্যে ১৪ শতক জমির মধ্যে মন্দিরটি পড়ে যায়। এনিয়ে রতিকান্ত ও তার ভাই শিবচরণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারের দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর আগে ২০০৭ সালে তাকে, তার মা ও স্থানীয় চার হিন্দু পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। গত সোমবার (৮আগস্ট) তার বড় ভাই শহিদুল মন্দিরের পিছন থেকে একটি বাঁশ কাটতে যায়। এনিয়ে শহিদুলের সঙ্গে রতিকান্ত ও শিবচরণের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর রাতেই মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে আগুন দিলে আমাদের কি লাভ। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য এটা করা হয়েছে। আমরা এখানে প্রায় ৩০টি হিন্দু পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলেমিশে বসবাস করে আসছি। আমরা এই কাজ কেন করতে যাবো।
ফুলবাড়ী নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন রায় বলেন, প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা তাদের জন্য হুমকি। দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সুষ্ঠু বিচার না পেলে প্রয়োজনে আন্দোলনের পথ বেচে নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আমরা ১০টার দিকে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এখানে সকলের সঙ্গে কথা বলে অনুমান করা হচ্ছে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে এসে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টিও উঠে এসেছে। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদেরকে জানিয়েছি। তারা নিজেদের মধ্যে বুঝে পরবর্তীতে মামলা করবে বলে জানিয়েছে। মামলা হলে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জেনে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, আমি দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। সকল পক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি। এ ব্যাপারে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে মন্দিরে কোরআন রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ও লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেই তিনি ডাক্তার!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেহন বাজারের নুরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল। তিনি একজন কথিত চিকিৎসক।
জানা গেছে, সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে একটি ওষুধের দোকানের সঙ্গেই ডাক্তার, চেম্বারের পাশে ঝুলানো একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবুল, ডিএমএফ ঢাকা, মেডিসিন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এসব বলে এলাকায় মাইকিং চলে। তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
বাবুলের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার জ্বর হয়েছিল। আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি আমাকে কিছু হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে আমার এক পরিচিত বড় ভাই ওষুধগুলো দেখেই খেতে বারণ করেন এবং আমাকে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের দেয়া প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সুস্থ হই।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
আরেক ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে তার কাছে ওষুধের পরামর্শ চাই। তিনি অনেকগুলো ওষুধ লিখে দেয়। তবে সুস্থতার বদলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে শহরের এক মেডিসিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। সেই ডাক্তার পূর্বের খাওয়া সব ওষুধ ভুল ছিল জানায়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর জানান, বাবুল আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা জানি ও প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। তাই আমরা তার কাছে চিকিৎসা নেই না। তবে অনেকে অজান্তে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চিকিৎসার মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। দ্রুত এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন বড় বিপদ হতে পারে।
এই বিষয়ে ডাক্তার পরিচয়দাতা বাবুলকে ডাক্তারি পড়ালেখা বা কোন প্রকার প্রশিক্ষণের কাগজ দেখতে চাইলে নেই বলে অকপটে স্বীকার করেন বাবুল। সেই সঙ্গে চেম্বারের পাশে থাকা ওষুধের দোকানের লাইসেন্সও নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
অভিযুক্ত বাবুল বলেন, যেখানে ব্যানার করছি সেখানে তারা ভুল করে ডাক্তার লিখে ফেলছে। তাছাড়া এই এলাকার আশেপাশে কোনেরা ডাক্তারও নেই। তাই আমি যা চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে মানুষের উপকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় আটোয়ারী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষকরা হলো- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের হাসান (২৫), একই উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মো. সবুজ (৩০), আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৫), মো. নজরুল (৪০), কৈলাসের ছেলে অমর (৩০) ও রহমান (৫০)।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় কিশোরীর। এরপর একবছর ধরে কিশোরী তার মামার বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে প্রেমিক হাসানের সঙ্গে দেখা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরী গভীর প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকাল দশটায় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরমধ্যে তাকে মোবাইল ফোনে কল করে বিয়ে করবে বলে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় প্রেমিক হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৮ টার দিকে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে প্রেমিক হাসান ও তার বন্ধু আব্দুর রহমান তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধামোর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরীকে একা পেয়ে তারাও ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। ধর্ষক অমর সেখান থেকে বন্দরপাড়ার রাস্তার পাশে কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বন্দর পাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী নায়েব আলীকে সব ঘটনা খুলে বললে কিশোরীর খালুকে সংবাদ দেয়। তার খালু ভোর রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। দুই একজনকে ধরাও হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
দিনাজপুরে বজ্রপাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষক নিহত
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জমি চাষের সময় বজ্রাঘাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের খটখটিয়া কৃষ্টপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক রবিন সরেন (৩৮) একই এলাকার বাবু রাম সরেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
স্থানীয় গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল কবির রাজু জানান, শনিবার সকালে ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে মাঠে জমি চাষ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন রবিন সরেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিহত ১
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিখোঁজের একদিন পর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গন নদীর কাজিরঘাট থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত তৈলক্ষ্য বর্মণ (৪৫) সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ঘুরবসু বর্মণের ছেলে এবং দক্ষিণ বঠিনা ইসলাম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন বলেন, সকালে রংপুর থেকে আসা ডুবুরি দল নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন দুপুরে ঘটনার স্থান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কাজিরঘাট এলাকায় টাঙ্গন নদীর পানিতে তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বুধবার স্কুল ছুটির পরে বাড়ি আসার সময় সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পুকুরে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু