আওয়ামী-লীগ
ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
২০২২ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর দলটির আয় কমেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ক্ষমতাসীন দলটির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এই বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দলটির মোট আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
২০২১ সালে দলটির আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগ আজ পর্যন্ত তাদের মোট তহবিল দেখিয়েছে ৭৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যেখানে দলটি ২০২২ সালের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখটি টাকা।
আয়ের প্রধান উৎস ছিল মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ফি এবং দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে অনুদান এবং ব্যয়ের প্রধান উৎস ছিল কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস, সেমিনার আয়োজন এবং ইউটিলিটি বিল।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আগের বছরের অডিট রিপোর্ট ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দল পরপর তিন বছর তাদের বার্ষিক রিটার্ন জমা না দেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
২০২২ সালের অডিট প্রতিবেদন ইসিতে জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও দলটির নির্বাচন কমিটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলনে আপত্তি নেই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করি না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তারা যেকোনো আন্দোলন বা সংগ্রাম করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক (বিপিএএ)-২০২৩ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুইটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যতদিন জনগণ সরকারের সঙ্গে থাকবে ততদিন বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারোর বিষণ্ণ মুখ দেখতে চান না বরং সবাইকে খুশি এবং হাসিমুখে দেখতে চান।
শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, এই মনোবল নিয়ে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে “ইনশাআল্লাহ”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের ভোগান্তি শহরাঞ্চলের মতো গ্রামাঞ্চলে ততটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। কারণ জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।
সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা নতুন নতুন উদ্ভাবনের করতে আহ্বান জানান। তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সেসব উদ্ভাবনী কাজে লাগিয়ে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নিতে বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি অনেক বেশি। এ ছাড়া এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন, সে সময় চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাওয়া যায়।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পুরস্কারটি চালু করা হয়েছিল।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের তারিখের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এ বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নামের শেষে বিপিএএ পদবি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি বিজয়ীকে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। দলগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অসুবিধা দেখছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘তো হয়েছে কী? যা সত্য, সেটা আসছে; অসুবিধা কী? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি কেন খেলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এত ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কীসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসঙ্গে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানের বিষয়টা সৌজন্য। তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের রাজনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কি রাজনৈতিকরা করছে? গোয়েন্দার কাজই তো এটা। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া বা আরাফাত গিয়ে তো করেনি।’
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গয়েশ্বর বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্নরুচির পরিচায়ক এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার প্রবেশপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ায় বিএনপির মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপির) উদ্দেশ্য তারা একটি লাশ ফেলবে। পুলিশের উপর হামলা করলে পুলিশ তো বাধা দেবেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের রাস্তা বন্ধ করে দিলে পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখবে? আমি পুলিশকে দোষ দেবো না। জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যে কোনো মূল্যে, যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটি তাদের টার্গেট। আমাদের তো সেই টার্গেট নেই। আমরা সরকারি দল। আমরা কোনো উত্তেজনায় যাবো না। আমরা নির্বাচন চাই। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা আবারো থাকব, না চাইলে থাকব না।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার সরকারের পথেই আছে। সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা। নির্বাচনের আগেও, নির্বাচনের পরেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
আ. লীগের সোমবারের শান্তি সমাবেশ স্থগিত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সোমবার অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শান্তি সমাবেশের তারিখ ও স্থান পরে ঘোষণা করা হবে।
তবে থানা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশের ঘোষণা দেয় দলটি।
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশমুখে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ শনিবার
আ. লীগের সহযোগী ৩ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আগুনসন্ত্রাস এবং দেশের ভূমি ও সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সমাবেশের নামে গণ্ডগোল করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য তারা শনিবার আবার আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, বাস পুড়িয়েছে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে।
এই অপশক্তি দেশের তেল, গ্যাস, খনি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেও স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি আমাদের মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, মানুষ জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকেও যারা দেশের সম্পদ ও ভূমি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়, মানুষ তা হতে দেবে না, তাদের প্রতিহত করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার বিএনপি যেসব বাস পুড়িয়েছে সেগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস। অনেক কষ্ট করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে যে মানুষ বাস কিনেছে, সেই বাস তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ সেসব মানুষের কোনো অপরাধ ছিল না।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এভাবে যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, মানুষের সহায়-সম্পত্তি, স্বপ্নকে পোড়ায়, তাদের বর্জন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল রবিবার (৩০ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্যি হলো। তাদের আন্দোলনের এক দফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। ২০১৩/১৪ সালের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। আজ মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষ করে। ৪টি বাসে আগুন দেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর করে। রাজধানীতে মোট ৭টি বাসে হামলা চালায়, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস করে। পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে, এমনকি হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের ঢোকার পথ- এটা কি তারেক রহমানের বাপ দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেবে এটা কোন ধরনের রাজনীতি?
তিনি বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সে নির্বাচনে প্রধান বাধা বিএনপি। সেটা আজ প্রমাণ হলো।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না। এটাই তাদের লিডার তারেক রহমান লন্ডন থেকে নয়াপল্টনে ভিডিওতে নির্দেশনা দিয়েছে। কোনো ফোরামে তার ভাষণ-বিবৃতি প্রচার করা যাবে না, এরপরও বারে বারে কেন লঙ্ঘিত হচ্ছে? আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে চলেছে দুবৃত্ত তারেক রহমান। আদালত অবমাননা করছে প্রতিনিয়ত। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে তারেক রহমান। এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই। তারেক রহমান কি আইনের ঊর্ধ্বে? আইনকে কটাক্ষ করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে, এই দল সন্ত্রাসী দল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখব এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জরুরি যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড.আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্য নেতারা।
আরও পড়ুন: আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সবাইকে সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে; যাতে করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদীদের প্রেতাত্মারা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অতীতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ এবং সব ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতায় তা কঠোরভাবে দমন করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়ন: আমাদের প্রত্যাশা’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী অসাম্প্রায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের জনগণ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও ধর্ম পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বসবাসরত সব ধর্মের জনগণের প্রতি সমান সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপালের লুম্বিনী কনজারভেশন এলাকায় প্রায় ২ একর জমির উপর বাংলাদেশ প্যাগোডা ও বুড্ডিস্ট কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার নির্দশন হিসেবে ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যাবলীকে আরও বিস্তৃত করে এর কার্যক্রমকে গতিশীল ও ব্যাপকভাবে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ট্রাস্টের অধ্যাদেশকে ২০১৮ সালে আইনে পরিণত করা হয়েছে। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সংখ্যা ৮ থেকে ১২ জনে উন্নীত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনও পাস করা হয়েছে। এটাও শেখ হাসিনার সরকারের অসাম্প্রদায়িক আদর্শের অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন, হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্য হিন্দু পারিবারিক আইন এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের জন্য খ্রিম্টান ধর্মীয় আইন প্রচলিত আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমতলীয় বৌদ্ধধর্মের মানুষের জন্য কোনো পারিবারিক আইন নেই, এটা চিন্তার বিষয়। বৌদ্ধ পারিবারিক আইন প্রণয়নে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, শিক্ষাবিদ ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, ড. নীরু বড়ুয়া, ট্রাস্টি ববিতা বড়ুয়া প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ
অনুমতি না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
তবে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় আছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা সতর্ক পাহারা দেবেন।’
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি প্রতিহত করতে শনিবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশমুখে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, বাবু বাজার, শ্যামপুর, কমলাপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগ
শান্তি সমাবেশের পর আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
শান্তি সমাবেশের পর আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের কাছের সড়কে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা হলেন- কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার যুবলীগ কর্মী নোমান হোসেন রনি (৩২), দিনমজুর মোকাশ্বের (২৩), রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলাম (১৮) ও স্কুলছাত্র মো. জুবায়ের হোসেন (১৬)।
আহত রনির সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হাসান বিপ্লব বলেন যে তারা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের সমর্থক। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আসেন। সমাবেশ শেষে তিনি কেরাণীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সমর্থকরা পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন যে সমাবেশে কামরুল ইসলামের সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওই যুবকের বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। বাকি চারজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত