আওয়ামী-লীগ
হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যেকোনও টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমাতে সমাজের জন্য বার্তা থাকা দরকার।
এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি, যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
একইসঙ্গে, সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে, পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।
এদিকে ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।
সহ-সভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর।
আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে একসঙ্গে একটার বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না। অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য যেমন আমাদের কাছে আবেদন আসে কিন্তু, আমরা সবগুলো দেই না।
কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে। আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, কয়দিন পরপর বিএনপির নানা আন্দোলনের ঘোষণা আসলে ‘কাগুজে বাঘ’ এবং ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এক দফা আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই এক দফা বহু আগে থেকেই তারা দিয়েছে। বিএনপি মাঝে মধ্যেই এক দফায় যায়, আবার দফা বাড়ে; কিছুদিন পরপর এই ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আগেও তারা এ রকম ১০ দফা, ১৪ দফা, ১২ দফা, সর্বশেষ ১৭ দফা দিয়েছিলো। তাদের জোটের আকারও বাড়ে আবার কমে, অ্যামিবার মতো নিজেরা ভাগ হয়ে আবার দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। আর মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের সার্কাসও মানুষ দেখছে। মানুষের কাছে এগুলো এখন হাস্যরস আর কৌতুক।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার (প্রধানমন্ত্রীর) স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গণে একটা ঝড় আসছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতংকিত-শংকিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সেসময় কোথায় ‘মোখা’ যাতে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর এখন তো মোখা পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, মোখার মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। উনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও না-কি দেবেন। উনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’
বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সকল কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে সক্ষমতায় আমরা অনেক উন্নত, বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ রকম বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকদের দেওয়া হতো না। কয়েকজন কূটনীতিককে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নাই সেজন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।’
হাছান বলেন, ‘এরপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি সরকারের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চায় এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নাই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে শপথ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারাকে থামানো চলবে না। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, যারা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; তারা আগের মতোই ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করি না কারণ আমার জীবন নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং বারবার তার জীবন নেওয়ার চেষ্টাকে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তখনই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটে।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের সকল উন্নয়নের গতি ২৯ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৪) সম্পূর্ণভাবে থেমে গিয়েছিল।
তিনি সাধারণ জনগণ যাতে সর্বদা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পায়। কেননা এই বিষয়গুলো একটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকায় শেখ হাসিনা মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে এবং দেশের সম্পদের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের তাদের সকল কাজে সততা বজায় রাখতে এবং দেশ ও জনগণকে ভালোবাসতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের বেতন-ভাতা আসে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের পকেট থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত বেতন-ভাতা আসে জনগণের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ থেকে। সুতরাং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
তিনি তাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১২৭তম, ১২৮তম এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কার দেন।
এর আগে তিনি ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং গবেষণা কাজের প্রকাশনার স্যুভেনিরের ফলক উন্মোচন করেন।
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চাসন ও তার সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চতা আর তার সরকারের প্রতি সমর্থন কোন জায়গায় সেটি নিশ্চয়ই বিএনপি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। সেটি না করতে না পারলে বিএনপি ভুল করবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের শেষ পর্যায়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। ৯ মে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার এই সফর অত্যন্ত সফল একটি সফর। জাপানের সরকার ও জনগণ রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভাবনীয় মর্যাদা দিয়েছে এবং আমাদের নানা প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি সই করেছে। পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিশ্বব্যাংক ভুল উপলব্ধি করে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে এখন ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি সই করেছে।’
সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজা চালর্সের সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন যে শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার ‘আইডল’। এবং শুধু তারই নয়, তার মেয়েদেরও ‘আইডল’। পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কমনওয়েলথ মহাসচিবসহ অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করার ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা এবং সকল পর্যবেক্ষককে নির্বাচন দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই সময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। নির্বাচন প্রতিহত করার বা বর্জনের ঘোষণা গণতন্ত্রকে প্রতিহত করা বা ঠেকিয়ে দেওয়ার ঘোষণার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায় না। বিএনপি সবসময় পানি ঘোলা করতে চায় এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা কিংবা ঠেকিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ নাই। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াক সেটি আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই, কিন্তু ওরা খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়; এটা দুঃখজনক।’
ড. হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি নানা ভাষায়, নানা ছুঁতোয়, নানা কৌশলে বলে, কিন্তু তাদের সমস্ত কথার সারমর্ম হচ্ছে এমন ব্যবস্থা চাই যার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা পাবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না, এদেশের জনগণও দিতে পারবে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির শরিকরা আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার অর্থ হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত খুনিদের জোট, তাদের ভোট দেবেন না: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটকে ভোট না দেওয়ার জন্য আবারও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) শুধু দেশ ধ্বংস করবে, আর কিছু নয়। তাই বিএনপি-জামায়াত যেন আবার ক্ষমতায় না আসে তা নিশ্চিত করুন।’
রবিবার লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট খুনি, চোর ও দুর্নীতিবাজের দল মাত্র।‘সুতরাং জনগণকে সতর্ক থাকা উচিত এবং তাদের পক্ষে তাদের ভোট দেওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ জনগণ আগামী নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়ে তাদের আরও একবার ক্ষমতায় বসাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ কীভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।’
তিনি বলেন, তারেক রহমান (বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান) দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং কোকো (বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে) পাচার করা প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা ডেল্টা ২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, দেশে গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ খাবার ছাড়া থাকবে না।’
তারেকসহ বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের ভোট চোর বলার সাহস কোথায় পেলেন?
তিনি বলেন, তারেক জিয়া ভোট চোর, তার মা (খালেদা জিয়া)ও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে; আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করেনি।’
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিয়েছিল এবং কত ভোট পড়েছিল সে বিষয়ে বিএনপি নেতাদের ফিরে দেখতে বলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আমরা জনগণকে সচেতন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের জয় সুষ্ঠু হয়েছে তা নিয়ে কারো কিছু বলার নেই।
‘সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছে? ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং একটি উপনির্বাচনে ১টি, মোট ৩০টি আসন জিতেছে। আর বাকি আসনটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা এটা সব পেয়েছিলাম। মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?
তিনি গত ১৪ বছরে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।’
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। আজ ৭ মে, তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজ ৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে; আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিলো, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো। আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম।
বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি, বিমানবন্দর থেকে তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দুই ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে আসলো শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।
হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও তেমনি অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি।
বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।
তিনি বলেন, বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষের পাঁচ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিলো কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে, পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, জয় বাংলা শ্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল। এ জন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।
সেই সঙ্গে ড. হাছান বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন জন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে এবং সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজকে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে, সেই কারণে সমগ্র পৃথিবী আজকে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। শুধু প্রশংসা করতে পারে না বিএনপি। বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নবনির্মিত তেলিপাড়া সেতুসংলগ্ন চত্বরে বিভিন্ন দপ্তরের অর্থায়নে চার ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতাদের একটু মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সম্ভবত গরমের কারণে তাদের মাথা একটু খারাপ হয়ে গেছে। কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে বেশি গরম পড়লে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। তাদেরও এটা হয়েছে কি না সেটিই আমার প্রশ্ন?
তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু, খন্দকার মোশাররফ, রিজভী আহমেদ ও আমির খসরু সাহেব দেখি আমাদের সমালোচনা করে। আমি তাদের বলবো, আপনারা মাথা খারাপ না করে ঠান্ডা রাখুন। আপনারাও স্বীকার করুন, আজকে দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এলাকার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, 'যারা শুধু ভোট আসলে বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা যে চকচকে রাস্তা করেছি, তার গর্তগুলো তারা ভরাট করতে পারবে কিনা। আমরা কাজ করি আর তারা শুধু ভুল খোঁজে। বিএনপি মূলত: 'ভুল ধরা পার্টি'।'
এ সময় দলের কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'দলের নাম বিক্রি করে কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের কোন জায়গা আমাদের দলে নেই। তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শনিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জেলা পরিষদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে পৃথক তিনটি পথসভায় যোগ দেন স্থানীয় চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
বিকালে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। বিদ্যালয়ের সভাপতি খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরশাদ মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, তাদের বিচার হলেই হবে না, যারা এর হুকুমদাতা-অর্থদাতা-তাদেরও বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন, এই অপরাধের যদি বিচার না হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ আরও ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতীকী অনশন’- শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামাতের নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অবরোধের সময় যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে-তা শুধু দেশের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সমসাময়িককালে কোথাও ঘটেনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অসহায় মানুষের ওপর, স্কুলগামী বালক-বালিকার ওপর, বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত মানুষের ওপর, বাসযাত্রীদের ওপর, অবরোধের কারণে থেমে থাকা ট্রাকে ঘুমন্ত চালকের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে তাদের শরীর অঙ্গার করে দিয়েছে, মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, শুধু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরাই অপরাধী নয়, এর নির্দেশ সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে লন্ডন থেকে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, গয়েশ্বর রায় বাবু, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতারাই এই হামলার নির্দেশদাতা।
তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থায়নেই এই পেট্রোল বোমা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আজকে সেই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার যারা, তারা বিচারের দাবি নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে যে অপরাধ হয়েছে-তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সব অপরাধীরই বিচার হতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো এ দেশের নাগরিক ও মালিক। তারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না এবং তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যায়নি, তারা প্রাত্যহিক কাজে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিল। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক মানবতাবিরোধী ঘটনা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি।
পেট্রোল বোমা হামলার শিকার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
এ সময় বিদেশি সংস্থা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া মানুষগুলোর সাথে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে।
কর্মসূচিতে আগত পেট্রোলবোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি হতাশাগ্রস্ত, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পায়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে কারণ তাদের নেতারা বারবার জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে। একই সময়ে তারা নির্বাচন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিয়োজিত রয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানালেও আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দ্বৈত আচরণের কারণে জনগণ বিএনপির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমলে বিভিন্ন প্রহসনমূলক নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আ.লীগ নেতা বলেন,‘ বিএনপি এই মুখ নিয়ে নির্বাচনের কথা বলে কিভাবে? বিএনপির হাতে এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছে।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। বিএনপি যে গণতন্ত্র চর্চা করেছে তাতে আওয়ামী লীগের আস্থা বা আস্থা নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ জারি করা গণতন্ত্র দিয়েছেন।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার ভূমিকার কারণে শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের সব নেতার কাছে প্রশংসিত।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নতি হয়েছে, কিন্তু বিএনপি ও তার সহযোগীরা তা সহ্য করতে পারবে না বলে তিনি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই অগ্রগতি ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে জনগণকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী