অন্যান্য
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি (বিওপি) নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশ বাঁচাতে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর জজকোর্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিওপির নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষের উদ্দেশে খোলা চিঠি পড়ে এ আহ্বান জানান বলে দলীয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবদুর রহিম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ হাসানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শক্তির উপর নির্ভর করে অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে দেশের প্রধান দুই দল। তাই নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিওপির নেতারা।
লিখিত বিবৃতিতে বিওপি অভিযোগ করেছে, দেশে গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট একে অপরকে পরাজিত করার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা করেছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো কেউ একে অপরকে হারাতে পারে না। কিন্তু উভয় জোটই দেশকে ধ্বংস করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। বড় দুই দলের আচরণ তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলবে বলে জানান তারা।
দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও বাড়াতে পারে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত এড়াতে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য দুটি নেতৃস্থানীয় দলের শীর্ষ নেতাদের আহ্বান জানান বিওপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত তিনটি দলের নতুন রাজনৈতিক জোট 'যুক্তফ্রন্ট' গঠন করা হয়েছে।
এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির একটি অংশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘যুক্তফ্রন্ট’ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
বুধবার(২২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের সভাপতি ও সামরিক কর্মকর্তা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা সৈয়দ ইব্রাহিম এই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা গণ অধিকার পরিষদের
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইব্রাহিম বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ এক দফা দাবি আদায়ে প্রায় এক বছর ধরে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা ১২ দলীয় জোট ত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা তিনটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আজ যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছি। একই সঙ্গে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।’
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বর্তমান নির্বাচনের তফসিলে পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইব্রাহিম। ‘আমরা যুক্তফ্রন্ট আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমরা একটা বড় ঝুঁকি নিচ্ছি। অতীতে তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বড় ও ছোট দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ছোট দল হিসেবে আমরা আশঙ্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেব। এই আশঙ্কার উত্তর হচ্ছে সরকারের অঙ্গীকার।’
ইব্রাহিম বলেন, তাদের জোট আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায় যাতে এটি জাতি ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
ইব্রাহিম বলেন, ১০০ টি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা নিবন্ধনের সময় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (মতিন) সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ জয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার স্লোগান নিয়ে ২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি গঠন করেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অংশ ছিল কল্যাণ পার্টি। ২০-দলীয় জোট বিলুপ্ত হওয়ার পরে এটি ১২-দলীয় জোটে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
তফসিলকে একতরফা আখ্যা দিয়ে দলটি সারাদেশের জেলা ও শহরে একযোগে বিক্ষোভ করেছে।
তবে কয়েকটি জেলায় তাদের মিছিল বাধার সম্মুখীন হয়।
দলের নেতারা বলেন, দেশের মানুষ তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা তা প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
নির্বাচনকালীন দেশ পরিচালনার জন্য 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম মিছিল করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
শান্তিপূর্ণ মিছিল হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিক্ষোভ
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
বর্তমান সরকারের পদত্যাগে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানীর কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়ে বিক্ষোভ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি।
বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং দলের আইনজীবী ও যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আব্দুল ওয়াহাব মিনার বলেন, বর্তমান ইসি রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই নির্বিচারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে জনগণ ও গোটা জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আগের নির্বাচনী শাসনামলের মতোই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে বর্তমান ইসি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের উপর ক্রমাগত দমন-পীড়ন ভয় ও ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেজাজ অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসি। জনগণ এবার কোনো একদলীয় নির্বাচন হতে দেবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা গণ অধিকার পরিষদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদের একাংশ।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টায় শাটডাউন শুরু হবে এবং মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
নূর বলেন, ‘অবৈধ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিরুদ্ধে সারাদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই সরকারকে আর কোনোভাবে সাজানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
দেশের অস্তিত্ব ও ভোটাধিকার রক্ষায় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের জন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ লেবার পার্টি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে রবিবার ও সোমবার (১৯-২০ নভেম্বর) দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।
অন্যদিকে, নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল এবং গণতন্ত্র মঞ্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালন করে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে জোট।
মিছিল শেষে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার বাম জোটের অর্ধদিবস হরতাল
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি। গণদাবির বিপক্ষে গিয়ে প্রহসনের তফসিল ঘোষণায় গণতন্ত্র মঞ্চ এই নির্বাচন কমিশনকেও প্রত্যাখ্যান করছে।’
তিনি নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হরতালে বাসে আগুন
আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বৃহস্পতিবার বাম জোটের অর্ধদিবস হরতাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল একতরফা ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বুধবার(১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়... আমরা এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত
সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন: এবি পার্টি
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণাকে জাতির সঙ্গে সরকার ও ইসির চরম উপহাস ও প্রহসন বলে ক্ষোভ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
একতরফা তফসিল প্রত্যাখ্যান ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ইসির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় দলের বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
জনগণকে যার যার অবস্থান থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যে সংলাপের চিঠি দিয়েছে তাকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনের অশুভ চক্রান্ত পরিত্যাগ করে সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণের দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এই সংলাপে বিরোধী দলগুলো যাতে মুক্ত, অবাধ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিরোধী দলগুলোর সব নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় এবি পার্টি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে আমরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারো সঙ্গে নেই। আমরা বাংলাদেশকে আরেকটি উত্তর কোরিয়া হতে দিতে পারি না। আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আছি, যারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার, স্ট্রাটেজিক পার্টনার।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত
পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, দেশের মানুষের প্রাণের দাবি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে দাবিতে এবি পার্টিসহ দেশের প্রধান বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আজ আন্দোলন করছে। গত ২৮ অক্টোবর বিরোধীদলগুলোর সমাবেশে আওয়ামীলীগ ও তার সহোযোগী সব সংগঠন এবং পুলিশ একত্রে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করা হয়েছে। শান্তি সমাবেশের নামে সরকারি দল পুলিশ পাহারায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে দেশকে সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারি দলের গুণ্ডা বাহিনী হামলা করে, গুলি করে হত্যার নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য চলমান যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তার প্রতি এবি পার্টির সংহতি ও সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় দলটি।
একই সঙ্গে নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে লালকার্ড প্রদর্শন ও মিছিল করবে দলটি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বিএম নাজমুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
রবিবার থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত
আগামী রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে দিয়ে নতুন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন তদারকির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্যান্য উলামা-মাশায়েখদের মুক্তি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
এছাড়া রাজনৈতিক কারণে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দেশব্যাপী মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
বিবৃতিতে মা’ছুম বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার গত ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ওপর জোরপূর্বক দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে।’
ক্ষমতাসীনরা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে দেশে স্বৈরশাসন ও স্বৈরাচারের প্রবর্তন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাগরিকদের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং সমাবেশসহ তাদের সমস্ত মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবারের (৪ নভেম্বর) সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেন, এই সংলাপ লোক দেখানো। এটি কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলনতিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজকের সংলাপে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এই সংলাপ কাঙ্ক্ষিত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো প্রকার ভূমিকা রাখতে পারবে না।
দলটির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে রেখে সংলাপের আয়োজন লোক দেখনো ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক দলের সম্ভাব্য অনুপস্থিতির কথা জানার পরও এই সংলাপ এবং ইসির ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ শুরুতাছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা ঠিক না করে এই সংলাপ সরকারের একতরফার নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ার শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রুপরেখা প্রস্তাব করেছে। এধরনের ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ না নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কোনো অবস্থাতেই সহায়ক হবে না।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসি যে আলোচনার আয়োজন করেছে, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন