%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শাকিবের
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগকারী শাকিব খানের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৬ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান জানান বেলা পৌনে একটার দিকে মামলা করতে আদালতে আসেন শাকিব খান।
এরপর জবানবন্দি দিতে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন।
এসময় বিচারক বলেন, সময় মতো আসতে হবে। আগের দিনই বলে দেয়া হয়েছে কখন আসতে হবে। তখন শাকিব খান বলেন, জ্বি স্যার। এরপর বিচারক বলেন, এটা তো আপনার আইনজীবী ভালো জানার কথা। এরপর তিনি জবানবন্দি দিতে শপথ পাঠ করেন।
গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মামলা করেন শাকিব খান।
ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
এরপর শাকিব খান যান ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে। তবে মামলা করার সময় অতিবাহিত হওয়ায় এদিন তিনি মামলা করতে পারেননি। সোমবার (আজ) তাকে আদালতে আসতে বলেন বিচারক।
জানা গেছে, এর আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক দাবি করা রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান শাকিব খান। তবে থানা থেকে মামলা গ্রহণ না করে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
তুরাগে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার
তুরাগ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সন্দেহভাজন শুক্রবার রাতে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলু।
শনিবার তুরাগ থানা ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, শুক্রবার তুরাগ থানার এসআই মো. শাহিনুর রহমান খানের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে তুরাগ থানাধীন ফুলবাড়িয়ার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে এসআই মো. শাহিনুর রহমান খান তার টিম সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও আব্দুর রউফ ব্যর্থ হয়ে ছাদে পানির ট্যাংকির আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পানির ট্যাংকির পেছন থেকে বেরিয়ে এসে এসআই শাহিনুরকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
এসআই শাহিনুরকে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিসি (উত্তরা বিভাগ) জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলুকে ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ পলাতক আসামিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে তুরাগ এলাকাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
আইন মেনেই পুলিশ বিএনপির ৫৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ দেশের আইন মেনেই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
সম্প্রতি বিনা পরোয়ানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা বৈধ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।
শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সবকিছু করছে।
বনানীতে বিএনপি কর্মীরা কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করেছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘মামলার এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিরোধী দলকে হয়রানি ও বাধা দিতেই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, এমন কিছু নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।
গত ১৯ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানী ক্লাবে সমাবেশ করার সময় বিএনপির ৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি সদস্যরা বনানী ক্লাবে বসে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠায়।
পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইন্টারপোল এবং দুবাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টারপোল রবিউলের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যাওয়ায় আরাভ খানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো বাধা আছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে আরাভের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের দেয়া দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ পুলিশ: আইজিপি
যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর: আইজিপি
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মাদকবিরোধী অভিযানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে ডিএমপি অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ৭৬৯ পিস ইয়াবা বড়ি, ৩৮ দশমিক ২৫০ কেজি গাঁজা, ১৫০ গ্রাম হেরোইন, ৮৪৩ বোতল ফেনসিডিল এবং ১২টি মাদকের ইনজেকশন উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৭
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
ইন্টারপোল অবশেষে শুক্রবার তার ওয়েবসাইটে রেড নোটিশের তালিকায় দুবাই-ভিত্তিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার হত্যার পলাতক সন্দেহভাজন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি রেড নোটিশ জারি করেছে।
এই তালিকায় এ পর্যন্ত ৬৩ জন বাংলাদেশির নাম স্থান পেয়েছে।
চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ইন্টারপোল বাংলাদেশের পাঠানো অনুরোধপত্র গ্রহণ করেছে।
এর তিনদিন পর রেড নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক এই অপরাধ পুলিশ সংস্থা পলাতক আরাভ খানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আপলোড করেছে এবং তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে।
রেড নোটিশে আরাভের ছবি, লিঙ্গ, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, বয়স, জাতীয়তা এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।
ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলেও তালিকায় তার জাতীয়তা বাংলাদেশি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান যে আরাভ দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ১৬ মার্চ গোয়েন্দা শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, দুবাইয়ে আরভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনে অংশ নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খানকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রাক্তন আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং আরাভ খানের মধ্যে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ উঠে আসায়, প্রাক্তন পুলিশ প্রধান গত ১৯ মে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে আরাভকে চেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমি আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে আমি ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে কাউকে চিনি না। এমনকি তার সাথে আমার প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।’
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় আরাভ খান এবং অন্য নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
আরাভ খান এখনও গ্রেপ্তার হননি: শাহরিয়ার আলম
বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগের জেরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ)প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে দুই শিক্ষার্থীর মাকে বিচারকের (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে।
তারা ঘটনার সম্মানজনক বিচার দাবিতে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দফা সড়ক অবরোধ এবং স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো.সাইফুল ইসলাম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।
তবু শিক্ষার্থীরা অনড় থাকলে জেলা প্রশাসক জেলা জজের সঙ্গে কথা বলে জানান, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩, আহত ৪
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের সাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ঘ শাখায় বগুড়া জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -৩ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এর মেয়ে জারা পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গত সোমবার ওই কর্মকর্তার মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে জজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে তার অপর সহপাঠীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, ওই রাতেই জজের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যমে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে অপমানজনক একটি পোস্ট দেয়।
ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের ৪ জন সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এই নিয়ে ওই জজ সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার ওই ৪ অভিভাবককে ডাকতে বলেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় সেই কর্মকর্তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হুমকি দিয়ে জেল দেয়ার কথা বলেন। এই সময় দুই অভিভাবকে ওই জজের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এ খবর ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা এ অপমান মেনে নিতে না পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা স্কুলের সামনের দু’দফা রাস্তা অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসক বিচারের আশ্বাস দিলে তারা ক্যম্পাসে ফিরে যায়। এরপর স্কুল প্রাঙ্গণে সবাইকে নিয়ে প্রকাশ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খানের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আব্দুল খালেক তালুকদার (৭৩) মৃত মো. রুস্তম আলী তালুকদারের ছেলে এবং নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বাসিন্দা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খবর পেয়ে এটিইউ-এর একটি বিশেষ দল কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আবদুল খালেকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
যুদ্ধাপরাধ: মৌলভীবাজারের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পুলিশ অফিসার হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশ মিশন কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (আরাভ খান) সেখানে নজরদারি করছেন।’
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি... আপনারা সময়মত জানতে পারবেন।’
দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের মালিক পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন শনিবার (১৮ মার্চ) বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) গোয়েন্দা শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনে অংশ নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আরাভ খান এখনও গ্রেপ্তার হননি: শাহরিয়ার আলম
আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
তানভীর বলেন, বাদীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালত রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন।
এর আগে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব।
গত ১৫ মার্চ রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে 'অপারেশন অগ্নিপথ' ছবির সহ-প্রযোজক অস্ট্রেলিয়ার এক নারীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খান ডিবিতে, ধর্ষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে দিলেন লিখিত অভিযোগ
শাকিব খানের ‘জান্নাত’-এ দুর্বৃত্তদের হানা
আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলাটির বাদী জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ পরিদর্শক মামুনের বড় ভাই।
মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জাহাঙ্গীরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুন নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে গত বছরের ২৮ জুলাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন-রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিনদিন পর তার ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন বনানী থানায়।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল আ. লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরের ওই বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও সারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী) বাসা থেকে চলে যান। রাতের কোনও একসময় সেখান থেকে রবিউলও চলে যান।
গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলেন, ‘দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে।’ ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হন যে মামুন মারা গেছেন। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত সবাইকে বলেন, লাশ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তার বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও তার (মামুনের)। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
স্বপন বলেন, ‘এখন আমরা কী করবো? আপনি সকালে এখানে আসেন।’
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যান দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন।
সকাল সাতটার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের লাশ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে লাশ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রাস্তায় যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল তার স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকেন।
খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসেন। আর গাড়ি নিয়ে রহমত যান গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলেন দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে সাত লিটার পেট্রোল কেনেন। রবিউল আসামি স্বপনের মুঠোফোনে টাকা পাঠান।
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রোল ঢেলে মামুনের লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসেন।
ঘটনার তিন দিন পর ১০ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গলে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের লাশের হদিস মেলে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু