ইন্টারপোল অবশেষে শুক্রবার তার ওয়েবসাইটে রেড নোটিশের তালিকায় দুবাই-ভিত্তিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার হত্যার পলাতক সন্দেহভাজন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি রেড নোটিশ জারি করেছে।
এই তালিকায় এ পর্যন্ত ৬৩ জন বাংলাদেশির নাম স্থান পেয়েছে।
চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ইন্টারপোল বাংলাদেশের পাঠানো অনুরোধপত্র গ্রহণ করেছে।
এর তিনদিন পর রেড নোটিশ জারি করে আন্তর্জাতিক এই অপরাধ পুলিশ সংস্থা পলাতক আরাভ খানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আপলোড করেছে এবং তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে।
রেড নোটিশে আরাভের ছবি, লিঙ্গ, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, বয়স, জাতীয়তা এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।
ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলেও তালিকায় তার জাতীয়তা বাংলাদেশি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান যে আরাভ দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ১৬ মার্চ গোয়েন্দা শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, দুবাইয়ে আরভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনে অংশ নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খানকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রাক্তন আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং আরাভ খানের মধ্যে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ উঠে আসায়, প্রাক্তন পুলিশ প্রধান গত ১৯ মে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে আরাভকে চেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমি আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে আমি ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে কাউকে চিনি না। এমনকি তার সাথে আমার প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।’
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় আরাভ খান এবং অন্য নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।