%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদনের ওপর শুনানি ২৩ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড তৌফিক হোসেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এর আগে ২১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়। গত ৯ জুলাই আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১৭ জুলাই দিন রেখেছিলেন চেম্বার আদালত। সে অনুসারে সোমবার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর।
২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।
আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস।
তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন।
তিনি বলছেন, এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো ঠিক বলেছেন। আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন।
এখন এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার বেশি দাবি করেছিল। ইতোমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন।
এখন বাকি ১২ কোটি টাকার বেশি কর পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
বরগুনায় নারী নির্যাতন মামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
বরগুনায় নারীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রনো বরগুনা পৌর শহরের কেজি স্কুল সড়কের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, এ বছরের ৮ এপ্রিল আসাদুজ্জামান রনো ও তার সহযোগী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তার এক নারী প্রতিবেশী মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি বরগুনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান মিয়া ১মে আসামি রনো ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিচারক ১১ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।
দেলোয়ার বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয় এবং রনো সোমবার স্বেচ্ছায় ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
আদেশের পরে আদালত প্রাঙ্গণে রনো বলেন, আমাদের জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নিতে চায় মামলার বাদীর স্বামী আবু জাফর। আমি বাধা দিলে আবু জাফর তার স্ত্রীকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায়। আমি ঢাকায় ব্যবসা ও রাজনীতি করি। মামলা বিষয় আমি কিছু জানতাম না।
অন্যদিকে, মামলার বাদী বলেন যে চলতি বছরের ৩এপ্রিল সকালে আমার বাসার পূর্ব পাশে এসে রনো ও দেলোয়ার আমাকে লাগমন্দ করে। আমি প্রতিবাদ করলে রনো ও দেলোয়ার আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, বাদীর মামলার ঘটনা সত্য মর্মে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে। এ কারণে রনোর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অপর আসামি দেলোয়ারের জামিন আবেদন শুনানি হবে আগামী ২৩ জুলাই।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর
ভোলায় ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
ভোলা সদর উপজেলায় ১ হাজার ৩২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক রোহিঙ্গা যুবককে আটককের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১৫ পর্যটক উদ্ধার
আটক হেলাল উদ্দিন কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুবপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের ৬ নম্বর ক্যাম্পের মো. হোসেন আহম্মেদের ছেলে।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালাই।
এ সময় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে হেলাল উদ্দিন নামে ওই রোহিঙ্গা যুবককে আটক করি। তার কাছে ১ হাজার ৩২৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আটক রোহিঙ্গা যুবক হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গুলশান থানার অর্থপাচার আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মামলার সাত আসামিকে চারবছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন -মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদে কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
গত ২৫ জুন মামলাটি অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ে জন্য ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি।
এদিকে রায়ও প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
এরপর, গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। ৬ মার্চ শেষ করে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
এসময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৫ সেপ্টেম্বর
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
কিশোরগঞ্জে দুই ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দুই সহোদর ভাইবোনকে হত্যা মামলার তিন আসামিকে জেলার করিমগঞ্জ ও লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, সহোদর ভাই-বোনকে হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি মো. ইমরানকে হোসেনপুর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টিটুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রবিবার লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া আরমান মিয়াসহ সংঘর্ষে জড়িত অপর এক শিশু আসামিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোস্তাক সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নুরে আলম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ কমিশনার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব কুড়িমারা গ্রামে বাড়ির সীমানা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় সহোদর ভাই-বোন মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ও তার ছোটবোন নাদিরা আক্তারকে (২২) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পুকুর থেকে আ. লীগ নেতা বাদলের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে থানায় আসামি নির্যাতন: ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ স্থগিত
নাটোরে থানায় নিয়ে আসামি নির্যাতনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আদেশ স্থগিত করেছেন জেলা জজ আদালত।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা জজ আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম আইনের বাধ্যবধকতা উল্লেখ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন।
নাটোরের লালপুরে অটোরিকশা চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আনে আসামিরা।
এ প্রেক্ষিতে মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নাটোরের বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন, ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান, ওমর ফারুক শিমুল ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক হাকিম মোসলেম উদ্দিন।
জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মজিবর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
নাটোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৮ আগস্ট অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে আসামির সংখ্যা সাত জন।
আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে দেখা করলেন ফখরুল
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
বাবার আপিল খারিজ, জাপানি ২ শিশু থাকবে মায়ের জিম্মায়
জাপানি বংশোদ্ভুত দুই শিশুকে নিজের কাছে রাখতে বাংলাদেশি বাবার করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে পারিবারিক আদালতের রায় বহাল থাকলো। অর্থাৎ ওই দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকবে।
ঢাকার জেলা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার মধ্যে সমঝোতার দায়িত্ব আইনজীবীদের
রবিবার (১৬ জুলাই) জাপানি মায়ের আইনজীবী শিশির মনির ও বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ বাবা ইমরানের শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার জানান, গত ১১ জুলাই এ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। আমরা এ আদালতে ন্যায়বিচার পাবো না জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।
আপিল বিভাগে এ বিষয়টির ওপর শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন আমরা শুনানি না করে আপিল বিভাগের বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করি। তিনি সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
নাসিমা আক্তার বলেন, আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম ন্যায়বিচার পাবো না। আশঙ্কায় সত্যি হলো। তিনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। তবে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি বংশোদ্ভুত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দেন। এ রায়ে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আপিল করেন ইমরান শরীফ।
আরও পড়ুন: জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
আরটিভি’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ
রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সম্পর্কে প্রতিবেদন করার জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসমিন আক্তার অধরার বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
আর্টিকেল নাইনটিন একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
সংস্থাটি মামলা বিষয়ক পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ না নিতে এবং অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সল বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের শুরু থেকে এই আইনের বিতর্কিত ধারাগুলোর অপব্যবহার করে যেভাবে সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হচ্ছে, এই মামলা সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন। এই ধরনের মামলা স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত করে।
রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফকে কেন্দ্র করে পীর দিল্লুর রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা, সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে অধরা রিপোর্ট করেছে।
পীর দিল্লুর রহমানের অন্যতম সহযোগী শাকেরুল কবির বাদী হয়ে এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
গত মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সরকারকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ অবিলম্বে স্থগিত করার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এমনকি বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আমি তাদের একই কথা বলেছি যা আমি আগেও বলেছিলাম। আমি তাদের বলেছি যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে।’
এটি কিছুকে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেন নাগরিকদের এমন একটি আইনে শাস্তি পেতে হচ্ছে, যা ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃত এবং যেটি সংশোধনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এই ধাক্কার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মামলা। তিনি এই আইনের মামলায় ১১ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ সুপ্রিম কোর্ট আরও চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
তার পরবর্তী শুনানির তারিখে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন যে আইনটির অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল, তা সংশোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসে জাহাজটি।
এর পর ১২ জুলাই জাহাজটির বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চায়নার সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান এ মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী জাহাজটি আটকের আদেশ দেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটকের আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে তাই বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটি আটকের আদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টায় রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙ্গর হাড়বাড়িয়া-১১ তে ভিড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ