আইনশৃঙ্খলা
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: বরখাস্ত সেই ওসি কারাগারে
চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে হোটেল কক্ষে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় কসবা থানার সাবেক (বরখাস্ত) পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মিজানুর রহমান ওরফে ওসি মিজানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১০ মে এ মামলার রায়ের জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে।
রবিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা জামিন বাতিল ও মামলার রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ইতোমধ্যে এই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। ‘আজ আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় আসামি জামিন পুনর্বহালের আবেদন করেন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আরও পড়ুন: নাটোরে কাঠ ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে ঘুরতে গেলে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে মেয়ে দুজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাথরুমের কাঁচ ভেঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে হোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজান সহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। বাকি দু’আসামী হোটেলের কর্মচারী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হুমায়ন কবিরের দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটি ছিল নারী নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ ধারায়। আরেকটি মামলা ছিল, জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর করানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় দায়ের করা।
প্রথম মামলায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে ওসি মিজান সহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
খুলনায় দুর্নীতির মামলায় সাবেক ওসির জামিন নামঞ্জুর
দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা আরও দুইজনকে অপহরণ করেছে। এর দুইদিন আগে আরও পাঁচজনকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। এই নিয়ে টেকনাফে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহাছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রহিম (৩২) ও মো. রেদোয়ান (২০)। আহতরা হলেন, আবদুল আমিন ও আব্দুল্লাহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল, উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত, বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
তিনি জানান, ৩০ এপ্রিল সকালে দুইজন কৃষক অপহরণের কথা শুনেছি। পরে পুলিশের একটি টিম এলাকায় যায়। এরপর পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।
এর আগে পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের উদ্ধার তৎপরতার কারণে পাঁচজন উদ্ধার হয়েছে। তবে এসব ঘটনার পিছনে কারা আছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, 'সকালে পাঁচজন কৃষক পাহাড়ের কাছাকাছি পানের বরজে কাজ করতে গেলে ডাকাতের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনজন পালিয়ে আসলেও দুজনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পালিয়ে আসার সময় ২ জনকে কুপিয়ে জখম করে।'
তিনি জানান, 'এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।'
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত ৬ মাসে ক্যাম্পসহ টেকনাফের পাহাড়ে ৭২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩২ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এছাড়া গত ৩ মার্চ দুইশিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেন।
এছাড়া গেল ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
অবিলম্বে ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ
ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় নিবেদিত একটি মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ, বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ বাংলাদেশের (ইউএনবি) বিশেষ সংবাদদাতা এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এই কাজের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এটি এই আইনের প্রয়োগের পুনর্মূল্যায়ন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের অধিকার রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার রক্ষক অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট শাহানুর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করা এবং মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতিকে সম্মান ও সমুন্নত রাখার পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
উপরন্তু, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচনার বিষয়, কারণ এটি চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
অ্যাডভোকেট শাহানুর মনে করেন, এই আইনের অপব্যবহারের ফলে বিশেষ করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষকদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রের নীতি সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মৌলিক অধিকারের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলোর ক্রমাগত বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে এবং তার দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছে যে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন দায়িত্বশীল ও পেশাদার সাংবাদিক এবং মানবাধিকার রক্ষক হিসেবে তিনি সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভাই ও বিএনপি দলীয় ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুদকের করা প্লট দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। রিভিশনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাব্বির হামজা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের তোপের মুখে ভোলা ছাড়লেন হাফিজ ইব্রাহিম
পরে আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকের প্লট নেওয়ার দুর্নীতি মামলা বাতিলে রিভিশন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। ফলে এই মামলা চলবে। পাশাপাশি আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন রাজউকে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ঢাকার বনানী আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার একটি সরকারি প্লট গ্রহণ করেন হাফিজ ইব্রাহিম। এতে তিনি অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট নেওয়ার কারণে দুদক ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। সেই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল রুল জারি করেছিলেন। সেই রুল রবিবার খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক এমপি হাফিজের করা আবেদন খারিজ
দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধান আবারও রিমান্ডে
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সেলিম প্রধানকে চার বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে চার বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরএ ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে পৃথক দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, রায় দিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব না। তাই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না। দাওয়াত দিলে যাবেন না। জেনেশুনে কারও দাওয়াতে যাওয়া মানে রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নেওয়া। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানের বাসা, অফিস থেকে ১ কোটি টাকা জব্দ
অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানসহ রিমান্ডে ৩ জন
৯ মাস পর দেশে ফিরল ঝড়ের কবলে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়া ১৫ জেলে
দীর্ঘ ৯ মাস আগে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি জেলেকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় দুই দেশের পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা জেলেরা বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে যায় বরগুনা ও পিরোজপুরের শতাধিক জেলে। হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে তাদের ট্রলার ভাসতে ভাসতে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। ৩৬ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে সেদেশের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেন।
এ সময় অনুপ্রবেশের অভিযোগে জেলেদের আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে ৬৬ বাংলাদেশিকে আগেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। বাকি জেলেদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা জেলেদের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পোর্ট থানায় সোপর্দ করে। পরে অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৯৯৯-এ কল দিয়ে উদ্ধার হলো ১৯ জেলে
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সিটি করপোরেশনসহ সকল নির্বাচনের দায়িত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্ষম আছে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অর্পিত যে-কোনো দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে পুলিশ প্রস্তুত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে পুলিশ সকলকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নিরূপণে সক্ষম হয়েছে।
গুজব নিরসনে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে কেউ গুজব রটানোর অপচেষ্টা করলে প্রচলিত আইনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে: আইজিপি
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লিজ নেওয়া খেজুর বাগানের মেয়াদকাল শেষ না হতেই একই বাগান পুনরায় দরপত্র আহ্বান করায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির ও খামার পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে এক ব্যক্তি।
গত বছরের ২৫ শে এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সুগার মিল সদরের নারগুন ইউনিয়নের মোহন কৃষি খামারের বোচাপুকুর শাখার ৪৭০টি খেজুর গাছের রস আহরণের জন্য ভ্যাট ও আয়করসহ এক লাখ ৮২ হাজার ১১০ টাকায় বাগানটি লিজ নেন ওই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির।
যার মেয়াদকাল ছিলো চলতি বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বাগানের মেয়াদ শেষ না হতেই আট মাস আগেই পুনরায় ওই বাগানের দরপত্র আহ্বান করেন চলতি মাসের ৪ এপ্রিল।
গত বুধবার মনিরুজ্জামান মনির এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুগার মিল কর্তৃপক্ষের চলতি মাসের ৪ এপ্রিলের ঘোষিত দরপত্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং সেই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে বিবাদিকে দরপত্রের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমডি তার মতো করে টেন্ডার সিডিউল বিক্রি ও গ্রহণ করেন।
মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আমার লিজ নেয়া খেজুর বাগানটি নতুন করে লিজ প্রদানে দরপত্র আহ্বান করে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি আমি জানতে পেরে মিল কর্তৃপক্ষকে বন্ধের অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, ধার-দেনা করে বাগান লিজ নিয়েছি। সময়ের আগেই অন্য কাউকে লিজ দিলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বো আমি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি এবং ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খামার পরিচালক এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম জানান, সুগার মিল কর্তৃপক্ষ নতুন করে যেন লিজ প্রদান করতে না পারে সে কারণে আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি মামলাটি চলমান রয়েছে।
সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদালতের কাগজটি দুই দিন আগে হাতে পাওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে লিজ দেওয়া হবে কি না তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
শেরপুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী আটক
শেরপুর সদরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ এপ্রিল) গভীর রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার চর মোচারিয়া ইউনিয়নের চর ভাবনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আসমা আক্তার (৪০) চর মোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধারা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযুক্ত আনিস মিয়া চরভবনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় আটক ২
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসমা আক্তার ও আনিস মিয়া দম্পতির দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। আনিস বর্তমানে ঢাকায় একটি ইটভাটায় চাকরি করেন। কিছুদিন ধরে আনিস তার স্ত্রী আসমার কাছে টাকা দাবি করেন। এর জের ধরে শনিবার ভোর ৩টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আনিস ভারি কিছু দিয়ে আসমার মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান।
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্বামী আনিস ৯৯৯- এ ফোন করে জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় আনিসকে আটক করে এবং তার স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের মা ময়না বেগম বলেন, ‘শুক্রবার আসমাকে তাদের বাড়ি থেকে আনিস নিজবাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবারই আনিসের বাড়িতে মেয়ে খুন হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জামাই আনিস আমার মেয়ের কাছে আড়াই লাখ টাকা চেয়েছিলো। সেই টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ে আসমাকে তার স্বামী আনিস খুন করেছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আনিসকে আটক রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
গাইবান্ধায় এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণসহ পৃথক দু,টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সন্দেহভাজন ধর্ষকদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও প্রতিবন্ধী মেয়েটির অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার ভোরে রিফাত নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার অজুহাতে ভিকটিমদের একজনকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় গিয়ে রিফাতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।পরে রিফাতকে শালমারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়।
এসআই জানান ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অপর একটি ঘটনায় ১৮ এপ্রিল এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৮ এপ্রিল রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার শ্রী সাগর চন্দ্র নামে এক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে মেহেদি কেনার অজুহাতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে নির্যাতিতা বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
পরে থানায় মামলা করতে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষকের স্বজনরা ভিকটিমের পরিবারকে বাড়িতে আটকে রাখে।
গতকাল নির্যাতিতা ও তার বাবা-মা পালিয়ে গিয়ে গাইবান্ধা থানায় ঘটনার বর্ণনা দেন।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে থানায় যেতে দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগীকে পরে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন পলাতক রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, প্রতিবন্ধী মেয়ের ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গারো শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঝিনাইগাতী ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার,কমিটি বিলুপ্ত