আইনশৃঙ্খলা
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম।
এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে আসামি জাহিদুল। এরপর সে ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে ব্লেকমেইল শুরু করে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৯)। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর আইসিটি আইনের অংশটুকু খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয় (নম্বর-সাইবার ৯/২১)। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধের অংশ সাতক্ষীরা আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য গ্রহণসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের অপরাধের সাজা যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীরা ভয় পাবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
গোপনে বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে আমিনুল ইসলাম আরিফ (২৩) নামে যুবককে হত্যায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. ইউনুছের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০), ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামের হাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ওমর শরীফ (২০), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের গাজী বাড়ীর ইমান হকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার হাসাইল এলাকার মো. হাফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
হত্যার শিকার আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মহাদেবপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীর খিলগাঁও থানার উত্তর গোরান সিপাহীবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার বাসিন্দা জনৈক ইউনুছের মেয়ে পিংকিকে গোপনে আদালতে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই ঘটনা উভয় পরিবারে জানাজানি হলে পিংকির মা সাহিদা বেগম স্থানীয় ভাড়া করার লোকজন দিয়ে আরিফকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় রাখেন। আরিফ বিষয়টি তার আপন খালা নিলা বেগমকে জানায়।
নিলা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহিদা বেগমকে পান। সাহিদা বেগমকে বুঝিয়ে সেখান থেকে আরিফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে উভয় পরিবারে শত্রুতা চলতে থাকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিংকির পরিবার অর্থাৎ সাহিদা বেগম, নাছিমা বেগম ও নাছির পরামর্শ করে পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালের ৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ওমর শরীফ, কামরুল ও সাইফুল আরিফদের বাসায় গিয়ে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কিন্তু চট্টগ্রাম না নিয়ে তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামে ওমর শরীফের বাড়িতে এনে আরিফের গলায়, বুকে, তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করেন এবং বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করেন।
আরিফকে পরিকল্পিত হত্যার পরের দিন ৫ মে ভোর আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আসামি ওমর শরীফ আরিফের মা মনোয়ারা বেগমকে জানায় আরিফ মারা গেছে।
এই ঘটনার সত্যতা জানতে আরিফের মা ওমর শরীফের গোরানস্থ বাসায় তার পিতার মোবাইল দিয়ে শরীফকে ফোন দেয়। শরীফ জানায় সে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
বিষয়টি জানতে পেরে আরিফের আপন চাচা মো. তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী আত্মীয় স্বজন নিয়ে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে আসেন এবং তার ভাতিজার লাশ দেখতে পান।
এই ঘটনায় ওইদিনই তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী বাদী হয়ে পিংকির মা সাহিদা বেগম, ওমর শরীফ, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা বেগম ও নাছিরকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসেন সরকারকে।
তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, শিষ্টাচারহীনতা ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পুড়ুন: চট্টগ্রামে পথশিশুকে মারধরের অভিযোগে কনস্টেবল বরখাস্ত
শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
শার্শায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল হামিদ মোড়ল শার্শা উপজেলার খাজুরা পশ্চিমপাড়ার মৃত জয়নুদ্দীন মোড়লের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ২৮ জুন আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শার্শা থানার এসআই এসএম আজিজুর রহমান।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার এ মামলার রায়ে আসামিকে সাজা দিয়েছেন আদালত। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি বিকালের দিকে আব্দুল হামিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগমের ঝগড়া হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হামিদ ঘরে থাকা দা দিয়ে আমেনার গলায় ও বাম হাতে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করেন।
তাৎক্ষণিক আমেনাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মাকে হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে বিল্লাল হোসেন মোড়ল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
প্রকৃত অপরাধীরা যাতে খালাস না পায় সেজন্য মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার বিকালে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (এপ্রিল-মে/২০২৩) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা রেকর্ড করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: জানাজায় জনস্রোত: পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি গঠন
সমস্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ঈদুল ফিতরে জনগণের ঈদ ভ্রমণ ছিল আরামদায়ক ও নিরাপদ।
আসন্ন ঈদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভুয়া এএসপি গ্রেপ্তার, পুলিশ সদর দপ্তরের জাল চিঠি উদ্ধার
সভায় আসন্ন ঈদকে লক্ষ্য করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাখা, পশুর বাজারের নিরাপত্তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এপ্রিল-মে/২০২৩ মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন ডাকাতি, ডাকাতি, চুরি, চুরি, খুন, মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট বজলুর রশিদের আপিল খারিজ করেছেন। এর ফলে তার ৫ বছরের সাজা বহাল রয়েছে।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই থেকেই বজলুর রশিদ এখনও কারাগারেই আছেন।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশিদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
রবিবার শুনানি গ্রহণ শেষে হাইকোর্ট তার আপিল খারিজ করে রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: খালাস চেয়ে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের আপিল
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন, যেগুলোর প্রতিটির সঙ্গে ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
রবিবার (১৮ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, লুকাস-এর মতে ন্যায়বিচার অনুগ্রহ, উদারতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার থেকে পৃথক।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার চারটি নাগরিক গুণাবলির একটি; অন্যগুলো হলো প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সাহস। প্রত্যেক বিচারকের এসব গুণাবলি থাকা দরকার। কারণ তাদের কলম দিয়ে নিত্যদিন ন্যায়বিচারের হাজারও বাণী ঝড়ে।
দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে।
ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসময় আইনমন্ত্রী এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোর্সটি আয়োজন করার জন্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৭২৫ জন বিচারককে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমিতে সশরীরে প্রশিক্ষণ প্রদান করার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের জুডিসিয়াল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ একাডেমিতে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তারসহ বিচারসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একাডেমি স্থাপনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ৩৭ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চিহ্নিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের বাজেটে ১৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে জোর দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১৩২৯ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০৩ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী এতথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট করেন।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর গত ১৫ মার্চ এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রবিবার হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এরপর গত বছর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি রিট করেন।
রিট বিচারাধীন অবস্থায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি।
গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।
ভোটগ্রহণ ২৫ মে।
তবে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তার মায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচনেতার মা মেয়র পদে বিজয়ী হন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
সাংবাদিক রব্বানী হত্যা: অভিযুক্ত বাবুসহ ১২ জন রিমান্ডে
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন জামালপুরের আদালত।
এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে পাঁচদিন, রিয়াজুলকে চারদিন, মনির ও জাকিরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আসামিদের হাজির করা হলে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন বলে বাদীর কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান।
যাদের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন-সুমন (৪৩), মিলন (২৫), তোফাজ্জেল (৪০) ও আয়নাল হক (৫৫)।
তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া পাঁচ আসামি হলেন- কপিল উদ্দিন (৫৫), ফজলু মিয়া (৩৫), শহীদ (৪০), মকবুল (৫৫), ওয়াহিদুজ্জামান (৩০)। আসামিরা সবাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গত ১৪ জুন সাংবাদিক রব্বানী বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলায় একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শনিবার নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান বাবুসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
রবিবার সকালে বাবুসহ চার আসামিকে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা দাবি করেন, ঘটনার আগে রব্বানী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন এবং চেয়ারম্যানের সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সারাদেশের সাংবাদিকরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করা এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ৭৩ বছর বয়সী ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া।
তিন দশকেরও বেশি সময় কারাভোগের পর রবিবার (১৮ জুন) সকাল দুপুর ১টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার (১৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে শাহজাহানকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, শাহজাহান ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর শাহজাহানকে ডাকাতির মামলায় ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাসহ ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরেকটি ডাকাতি ও হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সব মামলায় তাকে মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শাহজাহান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ খুনি, চার যুদ্ধাপরাধী, দুই জেএমবি সদস্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, শারমিন রিমা হত্যা মামলায় মনির ও খুকুসহ ২৬ আসামির ফাঁসি কার্যকর করেন।
এছাড়া একজন জল্লাদ হিসেবে তার ভূমিকা এবং শৃঙ্খলা প্রদর্শনের জন্য জেল কর্তৃপক্ষ তার কারাবাসের মেয়াদ থেকে ১০ বছর, ৫ মাস এবং ২৮ দিন ক্ষমা করেছিল।
হিসাব অনুযায়ী- শাহজাহান ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন জেল খাটেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে