%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিতে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডমুক্ত ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার বিভাগের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থার কথা উল্লেখ করে তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে ২৮ মার্চ যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, ঘটনাটিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন।
তারা রাজনীতিমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে সংকুচিত সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধার হিসেবে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বুয়েটে নিয়মিত ছাত্র রাজনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং হাইকোর্টের রায় ও বুয়েটের অধ্যাদেশ অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বুয়েট প্রশাসন হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। যা ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পটভূমিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
'বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই'- হাইকোর্টের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুয়েট উপাচার্য বলেন, 'হাইকোর্ট যা বলবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। আদালতের আদেশ অবশ্যই মানতে হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনকে পারস্পরিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে এবং এজন্য আলোচনা জরুরি।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ওই শিক্ষক।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ (৪৬ তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ তুললে ওই শিক্ষার্থীর নামে মিরপুর মডেল থানায় গত ২৪ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেন শিক্ষক সাজু সাহা।
গত ২৩ মার্চ তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে যৌন হয়রানি অভিযোগ করে বলেন, 'সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা তাকে কাউন্সিলিং করানোর নামে যৌন হয়রানি করেছে। এছাড়া তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য রেস্টুরেন্টে পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিল। এসবের কারণে আমি ঠিকমতো ক্লাস পর্যন্ত করতে পারিনি।'
ওই শিক্ষকের ব্যাপারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনার এত কনফিডেন্স যে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না.. কারণ উনি প্রমাণ রাখার মত কিছু রাখেন নাই.. তবে যা আছে, তা ওনার দোষ প্রমাণ করতে যথেষ্ট.. এত হ্যারাসমেন্ট -এর পরেও আমার বিশ্বাস ছিল উনি গিল্টি ফিল করবেন। কিন্তু ওনার মধ্যে কোনো অনুতপ্ত হওয়ার চিহ্ন নেই। শুধু ডিপার্টমেন্ট শেষ করার জন্য আমি ওনার সঙ্গে ভালো আচরণ করে গেছি।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
একদিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, ‘উনি যে রিকশায় আমার গায়ে জোর করে হাত দিয়েছেন, তার কি প্রমাণ আমি দেব?? রিকশাওয়ালাকে খুঁজে নিয়ে আসব?? এটা কি আদৌ সম্ভব! আমি এরপরও ভয়ে ওনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি।’
ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে সাজু সাহা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাকে পরোক্ষভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তাকে অভিযুক্ত করার। আমাকে হ্যারেজ করার পর তিনি(সাজু সাহা) বার বার বলতে থাকেন আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে তুমি এ নিয়ে কাউকে কিছু বলোনা।'
ভুক্তভোগী আরও বলেন,'আমাদের কথোপকথনের রেকর্ড আমার কাছে আছে। তিনি অনেক মেসেজই ডিলিট করলে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার মেসেজ আছে।'
জিডি বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের ওই শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করেন পরে জিডির কপি দেখালে তিনি বলেন,'আমি লিগ্যালি হ্যান্ডেল করব।'
যৌন হয়রানি বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও অবাক। আসলে হঠাৎ করে এ ধরণের অভিযোগ, আমি নিজেও বুঝতেছি না। আমার কাছে এটার কোন ভিত্তিই নাই। আমি কি করেছি সেটাও আমি বুঝতেছি না। তার পোস্ট পড়ে আমি যতটুকু বুঝলাম, আমার কাছে বিষয়টা স্ট্রেঞ্জই লাগছে। এটা ও ই ভালো বলতে পারবে। আমি দেখেছি বিষয়টা— এটা নিয়ে কি করা যায়। আমি আইনগতভাবে যাব।
সিগন্যাল অ্যাপ
অ্যাপ এর ব্যপারে ওই শিক্ষক বলেন,আমি ভুক্তভোগীকে এই ধরনের কোন মেসেজ আদান প্রদানের অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলিনি। কেউ না চাইলে কি কাউকে জোর করে কোন কিছু করানো যাবে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে হোয়াটাঅ্যাপে সিগন্যাল নামে একটি গোপন বার্তা পাঠানোর অ্যাপের লিংক পাঠান এবং ডাউনলোড করতে বলেন।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল হক বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি। এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ঘটনার পরে,বিভাগের নিয়মিত একাডেমি কাউন্সিল সভায় সাজু সাহার বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং আলোচনা শেষে ওই বিভাগের সকল শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
এছাড়াও সাজু সাহা ওই শিক্ষার্থীর নামে উপাচার্য বরারব যৌন হয়রানি অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ কর্মীদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
সকালে তারা ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্র রাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর ১১ অক্টোবর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির হল বরাদ্দ বাতিল করে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে ইমতিয়াজ রহিম রাব্বিকে বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যেসব শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারেরও দাবি জানান তারা। তারা হলেন- এ এস এম আনাস ফেরদৌস (আইডি: ১৮১৮০০৪), মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল (আইডি: ২১০৬১০১), অনিরুদ্ধ মজুমদার (আইডি: ২১০৬০৭৯), জহিরুল ইসলাম ইমন (আইডি: ২১১২০৩১) এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদীন রিফাত (আইডি: ২১০৬১২৬)।
এছাড়া মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেমিনার কক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন শিক্ষার্থীরা। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করতে হলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের অনুমতি নিতে হয়।
'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের' অভিযোগেছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালকের পদত্যাগও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতা-কর্মী রাষ্ট্রপতির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের একজন দারোয়ান ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনায়তন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাম্পাসে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও শুরু করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সকল প্রকার শিক্ষাকার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের মেধাবী ও সংবেদনশীল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভয়ংকর নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী জড়িয়ে পড়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের রাজনীতি বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকে ছাত্রলীগ বিক্ষিপ্তভাবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বা বিশেষ করে রাজনৈতিক কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই শিক্ষার্থীদের রাজনীতি বিরোধী সংগঠনের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে এবং সর্বশেষ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক ধারাবাহিক সেই সূত্রেই পড়ে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল বিদায়
গত বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি এবং তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে 'গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এরপর ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগ সভাপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রবেশ চেষ্টা বলে মনে করছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
নিরাপদ ক্যাম্পাস ও বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শত শত শিক্ষার্থী সকাল থেকে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন যে তাদের বিরোধীরা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের নির্ধারিত ক্লাস এবং পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণাও দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বুয়েটের যে কোনো ছাত্রকে হল ও বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কা করা; বিশেষ করে 'জড়িত' ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তারা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, এ ঘটনায় বুয়েট প্রশাসনের অবস্থান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তাসহ লিখিতভাবে আশ্বাস দেওয়া এবং কোনো হয়রানির শিকার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
আগামী জুন মাসের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।
তিনি বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেলের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমানা আলী বলেন, পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য
কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’
নবনিযুক্ত উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি কারো অন্যায় আবদার শুনব না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে নয়, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’
চিকিৎসকদের উদ্দেশে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হব। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।’
উদ্বোধনের দীর্ঘদিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদের নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আশা করি সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উপাচার্য হিসেবে তার একমাত্র এজেন্ডা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
ঢাবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে ফলাফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ইউনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে ১৮৫১টি আসনের বিপরীতে পাস করেছে ৯ হাজার ৭২৩ জন।
১২০ এর মধ্যে ১১১.২৫ স্কোর পেয়ে পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থী প্রতীক রসুল।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
এই ইউনিটে ১২০ নম্বরের মধ্যে মোট ১০৫.২৫ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন খুলনা সরকারি এম এম সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা ছাত্রী প্রিয়তি মন্ডল।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৪ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এ ইউনিটে আসন রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০টি।
১২০ এর মধ্যে ১০৫.৫০ স্কোর করে পরীক্ষায় স্থান অধিকার করেছেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা এক শিক্ষার্থী।
চারুকলা ইউনিটে এবার ৫৩০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
৯৮.১৫ স্কোর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থী বাঁধন তালুকদার।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে।
বিষয় বিশ্লেষণ ও যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে বিষয়ভিত্তিক পছন্দ অনুযায়ী ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য।
আরও পড়ুন: জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
ইউনেস্কো পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: মহিবুল হাসান
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'দ্যা ট্রি অব পিস' পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো।
বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে একজন ইসরায়েলি ভাস্কর 'ট্রি অব পিস’পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টার যে তথ্য প্রচার করেছে তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ’ ‘এটা জরুরি যে আমরা সঠিক রেকর্ড স্থাপন করি এবং নিশ্চিত করি যে এই জাতীয় ভুল তথ্য আমাদের দেশের খ্যাতি নষ্ট না করে। এটা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক বিধায় এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে ড. ইউনূস ও অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল অফিসারের আলোচনা
ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা দাবি অব্যাহত রাখলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশ উভয়ের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য অবিলম্বে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে ‘হয়রানির’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক: বাকৃবি শিক্ষক সমিতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা।
তারা বলেন, প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। উপরন্তু, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এর আওতাভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার পেশাকে রীতিমতো অবমাননা করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।
এসময় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, একটি অসাধু মহল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, প্রজ্ঞাপনটি একটা চক্রান্ত। শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোথাও শিক্ষকদের মান-মর্যাদা কখনও নিচু করা হয় না। এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও বাতিলের দাবি জানাই।
শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতারা ছাড়াও এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধনে যোগ দেন।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে।
হঠাৎ এমন প্রজ্ঞাপনের ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
বাকৃবিতে তিন দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠিত