শিক্ষা
ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিহত মাহমুদ হামিদ হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনের শিক্ষার্থী।
নতুন প্রক্টর হিসেবে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশাবুল হককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হিমেলকে চাপা দেয়া ট্রাকের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গার বালিয়া গ্রাম থেকে চালক টিটুকে (৩৫) আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় নিহত রাবি শিক্ষার্থীর দাফন নাটোরে সম্পন্ন
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় চারুকলা অনুষদের ছাত্র হিমেল নিহত ও আরেক ছাত্র আহত হন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম নামাজে জানাযা শেষে হিমেলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়।
বুধবার দুপুর ২টায় নাটোর পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে গাড়িখানা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
ট্রাকচাপায় নিহত রাবি শিক্ষার্থীর দাফন নাটোরে সম্পন্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাকচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টায় নাটোর পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে গাড়িখানা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় রাজশাহী থেকে আসা হিমেলের বিপুল সংখ্যক সহপাঠীসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হিমেলকে চাপা দেয়া ঘাতক ট্রাক চালক টিটু মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নেয়া হলেও পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র হিমেল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে মিলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
রাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ, খোলা থাকবে আবাসিক হল
ঢাবির গেস্টরুমে নির্যাতন: ৩ ছাত্র বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের ইয়ামিন ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
এর আগে এ ঘটনা তদন্ত করতে অধ্যাপক শাহ মিরানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি জানান, তদন্ত কমিটি গত ৩১ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তাদের তিনজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
বহিষ্কৃতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা আবু ইউনুস ও সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ওই হলের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আকতার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পর আকতার হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণসামগ্রী বহনকারী একটি ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক টিটু মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নেয়া হলেও পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র মাহমুদ হাবিব হিমেল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে হিমেলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মদপানে রুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মাউশির মহাপরিচালক হলেন নেহাল আহমেদ
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার চলতি দায়িত্বের কারণে তিনি পদোন্নতির দাবি করতে পারবেন না ।
তবে নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে কোনো কর্মকর্তাকে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিলে চলতি দায়িত্বের আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউশির উপপরিচালকের স্বামী হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ৫
জাবিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে পরীক্ষা
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় পরীক্ষা সশরীরে শুরু হবে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ক্লাস অনলাইনে চলমান থাকবে।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা (তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক, অনুশীলনী পরীক্ষা ও উইকেন্ড) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেয়া যাবে। এতে বিভাগসমূহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে ২২ জানুয়ারি সারাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: জাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বের সব সরকারের প্রতি স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়।
সংস্থাটি বলছে, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এটি শিশুদের শিক্ষা যেন আর ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য তাদের ক্ষমতায় যা আছে সব করার।’
‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে স্কুলে কর্মী নিয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্কুল খোলা রাখুন। আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কুল বন্ধ রাখায় আনুমানিক ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানি প্রশমন ব্যবস্থা স্কুল খোলা রাখতে সহায়তা করে। আমরা এও জানি, ডিজিটাল সংযুক্ততায় বিনিয়োগ কোনো শিশু যেন বাদ না পড়ে তা নিশ্চিতে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে।’
‘প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে ফিরে আসায় সক্ষম করতে আমাদের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রান্তিক শিশুদের প্রতি বিশেষ নজরসসহ ব্যাপক সহায়তা প্রদান। যেমন অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রধান সেবা।’
এছাড়া স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, ‘সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হলে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে আখতারুল ইসলাম নামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে নির্যাতনের বিচারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র হাসান এনাম বলেন, ‘গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্ছনা, অপমান ও হয়রানির শিকার হন। এ সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।’
দর্শন বিভাগের ছাত্রী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী আখতারকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক। আমরা চাই প্রশাসন গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক হত্যা: রাজমিস্ত্রি আনারুল তিন দিনের রিমান্ডে
ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আখতারুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ-ছয় জন শিক্ষার্থী আখতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আখতারের বাবা কয়েকদিন আগে হার্ট স্ট্রোক করেছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। যখন তাকে গেস্টরুমে ডাকা হয়েছিল, তখন অসুস্থতার জন্য তিনি গেস্টরুমে আসতে পারেননি।
তিনি বলেন, পরে তাকে ডেকে এনে গেস্টরুমে ১০ মিনিট লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকার সাজা দেন। এসময় আখতার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইসিজি পরীক্ষা করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে বলেন, অভিযুক্তরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বশির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আজকের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য আবু ইউনুস বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এ ধরনের কোনো অমানবিক কাজ সমর্থন করে না। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সমস্যা শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে তিনি বলেছেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ ভিন্ন বিষয়।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে গভর্নমেন্ট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ভিসি চলে গেলে আরেকজন ভিসি আসবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা থেকে গেলে তাদের কোনো লাভ হবে না। তাই সমস্যার সমাধান করা দরকার।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবির এই পুরো বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকটা দিন তাদের সঙ্গে নানাভাবে আমরা সম্পৃক্ত থেকেছি। নানা ভাবে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অনশন যারা করছিলেন এবং যারা আন্দোলন করছিলেন সবাই মিলে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি- আমাদের যে শিক্ষার্থীরা যারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে রয়েছে সেটি তারা তুলে নিবেন এবং আন্দোলনের ইতি এখানেই টানবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থে এখন আর আন্দোলন করবেন না শিক্ষার্থীরা। তবে তারা যে অর্থে আন্দোলন করেছেন সেই কারণগুলো আমরা অ্যাড্রেস করব এবং সমাধান করব। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার সবাই একপক্ষ। এখানে দুই পক্ষ বলে কিছু নেই। আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। তারা একটু গুছিয়ে উঠুক। যারা আন্দোলনের কারণে অসুস্থ হয়েছে তারা সুস্থ হয়ে উঠুক। কিছুদিন পর আমরা সেখানে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা চাইলে আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে পারি। ’
এসময় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবিতে যে সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তা যৌক্তক।কিন্তু এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একটি দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করবো। তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, আমরাও তাদের আস্থার প্রতিদান দিব। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আন্দোলন ভাঙচূরসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখানে তেমন কিছু ঘটেনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে গত সাত-আটদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এ জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কারণ ও সমস্যা সকল বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এতে যেই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু সমস্যা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। আমরা তা খুঁজে বের করে সমাধান করার সুযোগ পেলাম। সবাই মিলে সেসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
যে সমস্যাগুলো নিয়ে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সে সমস্যা কিন্তু শুধু শাবিপ্রবির একার নয় বলে মন্তব্য করেন
শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও একই সমস্যা রয়েছে। আমাদেরকেই মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সুষ্ঠুভাবে চলে, যেন সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে সেটি আমাদের জন্য জরুরি। শুধু শাবিতে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনসহ নানা ধরনের সংকট রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা হবে। আমরা চাই সকল সমস্যা সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে। শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। আমরাও তাদের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যাব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি শাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর নামে মামলা হয়েছে। তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো যদি কেউ আটক থাকে তবে সেটি আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমাধান করবো। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য
উপাচার্যকে সরানো হবে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একজন উপাচার্যকে সরালে আরেকজন উপাচার্য আসেন। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ পান। তাই তাকে সরাতে হলে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাকে রাখা হবে না সরানো হবে সেটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সকলের প্রচেষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো হয়েছে। আমরা আশা করি তারা তাদের অবরোধ তুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন। এ জন্য বর্তমান সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। একটি দুঃখজনক। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনশনের অষ্টম দিন আজ সকালে অনশন ভেঙেছেন। তারা অনশন ভেঙেছেন, এ কারণে তাদের সাধুবাদ জানাই।যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা তাদের সকল দাবি বাস্তবায়ন করব। যে বা যারাই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘যে কারণে আন্দোলন করেছে সে সকল দাবির পক্ষে আমরা সমস্যার সমাধান করব। আমরা আনন্দিত সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবেন’ তিনি আরও যোগ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা যখন চাইবে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে। তারা চাইলে আমি সিলেটে যেতে পারি। অনশন ভেঙেছে। এখন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ করা হবে। শুধু শাবিপ্রবিতে নয়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসন হলসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় কিছু মামলা হয়েছে, পেছনে যা কিছু ঘটেছে থাকবে না। তাদের কোনো কিছুতেই এর কোনো প্রভাব থাকবে না। মামলা থাকবে না। সমস্যার যখন সমাধান হচ্ছে, যারা এগুলো করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো।
উপাচার্য থাকলেন কি থাকলেন না এতে তাদের সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা সমস্যা সমাধান করবো। এটার তো অন্য পদ্ধতি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা দেখবো আমাদের পক্ষে কি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ