শিক্ষা
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সাত হাজার ৮৪জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসনে ভূঁইয়া, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার বিষয়ে অবহিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
ববিতে গুচ্ছ পদ্ধতির 'ক' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ( সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত 'ক' ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে 'ক' ইউনিটে তিন হাজার ৪৫৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নিয়েছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গুচ্ছে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক মানসিক কষ্ট লাঘব হবে। আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৯ সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে: ইউজিসিসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,আগামীতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব আরও ত্বরান্বিত হবে।
এদিকে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা উচ্ছ্বাস, আশঙ্কা উভয়ই প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন কারণে যদি পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায় তাহলে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির স্বপ্ন একবারে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় আঞ্চলিকতার প্রভাব বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবছর প্রত্যেক আসনের বিপরীতে ১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ইতিহাস তৈরি হলো,এই পরীক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থী,অভিভাবক সকলের দুর্ভোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছরের বিরতির পর আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাসে পাঠদান ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সশীরে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অনেক ক্লাস এবং পরীক্ষা সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে এবং সেগুলো বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ গ্রহণের প্রমাণ এবং স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানার শর্তে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ক্লাসে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির।
নিহত মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শাবিপ্রবির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমান তিনি।
প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন,‘মাহফুজুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখন বলা যাচ্ছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
গাজীপুরে মেয়েসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
ঢাবিতে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে ৫ অক্টোবর কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠার অনুমতি দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। পরে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও ১০ অক্টোবর থেকে হলে উঠার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় প্রভোস্ট স্টেন্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল খোলার আগেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় দুই বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের বরণ করার প্রথম ধাপ হিসেবে শনিবার থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। চলতি মাসের ২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা হবে। সবাইকে এই সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দিন স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তিনশ’ জন টিকা পাবেন। পরে কারা টিকা পাবে তা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে কর্তৃপক্ষ। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের মূল কপি বা ফটোকপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এর সাথে নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
টিকা গ্রহণকারী প্রথম শিক্ষার্থী হাবিবুল হাসান রিজভী বলেন,করোনার শুরু থেকে উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু, করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রের ব্যবস্থাসহ সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় করোনা টিকার ব্যবস্থা করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উপাচার্য স্যারের বিশেষ আন্তরিকতায় আমরা ফাইজারের টিকা নিতে পেরেছি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম , ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ও সোনালী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার এমওইউ স্বাক্ষর
করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৫ অক্টোবর শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে। তার ১০ দিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিয়ানীবাজারে ঝরে গেছে ২ হাজার শিক্ষার্থী, ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
করোনা সংক্রমণরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এই সময়ে বিয়ে হয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর আর কিছু ছাত্র প্রবাসে চলে গেছে। এছাড়া প্রাথমিক-মাধ্যমিকের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। তবে কিছু দিন গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের কতভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এ নিয়ে একটি বেসরকারি এনজিও জরিপ চালাচ্ছে। আপাতত তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই দুই স্তরের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে করোনার পূর্বেই স্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩ ভাগ। করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে বলেন, বিয়ানীবাজারে বাইরের জেলার যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তারা এখান থেকে চলে গেছে। তবে বাল্যবিয়ের কারণে উপজেলায় ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ তালুকদার জানান, তার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী আর আসছে না। বিদ্যালয়ে পুর পাঠদান হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মৌলুদুর রহমান বলেন, ‘সঠিক জরিপ এখনো পাওয়া না গেলেও প্রায় ১০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে অনুমান করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কারণে যারা বিদ্যালয়ে আসছে না, তাদের ফি মওকুফ করা দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সাধ্যমতো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলে, ‘আমার অনেক সহপাঠির বিয়ে হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো ছাত্রী ছিল। তাদেরকে খুব মিস করি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক বিদ্যালয়ে ৮৫ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছে। করোনা মহামারিতে শিক্ষাখাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।’
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুবি কোষাধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষক
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চলতি বছরের বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কোষাধ্যক্ষসহ চার জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।
গত ১০ অক্টোবর (রবিবার) বিশ্বসেরা গবেষকদের ১২টি ক্যাটাগরি এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশি গবেষকদের মধ্যে ১৭৯৩তম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকদের মধ্যে ১৫৩ তম স্থান অর্জন করেছেন। অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কুবির প্রশাসনিক ভবনে তালা
এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিক স্থান পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আরও বেশি করে গবেষণায় মনোনিবেশ করার ইচ্ছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রজেক্টে গবেষণায় বরাদ্দ রেখেছেন। তার কারণে গবেষকরা উঠে এসেছেন। আগামীতে আরও বেশি বরাদ্দ প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
উল্লেখ্য, তালিকায় ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। মোট এক হাজার ৭৯৪ জন বাংলাদেশি গবেষক এতে স্থান পেয়েছেন। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংটি প্রকাশ করেছে।
ইবিতে ১০ তলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক হলের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে, ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুইটি ১০ তলা বিশিষ্ট আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি আবাসিক হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। কাজ সম্পূর্ণ হলে দুই হলে একইসাথে দুই হাজার শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হল উদ্বোধনের আগে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন হওয়ায় আমি আজ আনন্দিত। একসময় আমরা বিশ্বের কাছে মিসকিনের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান আছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। তবে দেশে বিশাল জনগোষ্ঠী ও সীমিত সম্পদ নিয়ে এবং রাজনৈতিক বৈরি পরিবেশে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এটা কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এই দুই হলের কাজগুলো শেষ হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে ৩২ টি উন্নয়ন কাজের প্রক্রিয়া চলমান।’
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ১৭ শিক্ষক
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা গবেষণা পুরস্কার পেলেন ইবি শিক্ষক