প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,‘বেশিরভাগ জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি কিছু ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং সীমানা পেরিয়েও ঘটে।’
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) কাউন্সিলের ১১৪তম অধিবেশনে 'মানব গতিশীলতায় জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের একটি বৈশ্বিক আহ্বান' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এর মধ্যে শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় থাকবে চার কোটি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং মারাত্মক সাইক্লোন তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ ধরনের বাস্তুচ্যুতি আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুত গতিতে ঘটছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকা পড়েছেন তাদের মৌলিক সেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের সুযোগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, 'তাদের আতিথ্যদানকারী সম্প্রদায়ের উপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার।’
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আশ্রয় দেয়ার বোঝা বহন করছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু লোক পুরো অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে মানবপাচার চক্রের শিকার হয়। এই ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে আরও সমস্যাগ্রস্ত করে তোলে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, মানুষের চলাচলের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমি আশ্বস্ত যে অনেক ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল দেশও এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা আনন্দিত যে, কপ-২৮, জিএফএমডি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার তার সীমিত সম্পদের মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ৪০০ পরিবারকে নিরাপদ বাসস্থান দিতে কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ উদ্যোগ হিসেবে স্থানীয় মাছ শিকার, পর্যটন ও বায়ুশক্তিকেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
এগুলো হলো:
‘প্রথমত, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন সম্পর্কিত গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানবাধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে আমাদের মানব গতিশীলতার জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে;
দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের পরিস্থিতি জলবায়ু ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা উচিৎ। যাতে তারা যে ক্ষতি ও ধ্বংসের সম্মুখীন হয় তার প্রেক্ষাপট-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করা যায়।
তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসাবে দেখার জন্য আমাদের অবশ্যই স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রস্তুত থাকতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হয়;
চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষামান পুনর্গঠনের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানগুলো পর্যালোচনা করতে হবে; এবং
পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি বস্তুনিষ্ঠ মামলা প্রস্তুত করতে আমাদের মানব গতিশীলতার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সু-গবেষণা করা ডেটা এবং প্রমাণগুলোতে বিনিয়োগ করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৬ নভেম্বর) বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের বাইরের কাউকে তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, কারণ জনগণই তার শক্তি।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের আর কোনো অভিভাবক নেই। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমি ক্ষমতায় থাকার জন্য তোষামোদের রাজনীতি করি না।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে তার দলের মনোনয়ন চাওয়া ৩ হাজার ৩৬৯ জনের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যানও শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী বিপুল ত্যাগ ও রক্তপাতের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই মাটি আমাদের। বাইরের কোনো চোখ রাঙানি সহ্য করা হবে না। জনগণই আমাদের শক্তি, তাই আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল নই।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গত ১৫ বছরে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জনগণ শান্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান।
২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনটি বৈঠকে ৩০০ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে মনোনয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যারা জড়িত জনস্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে, জনগণের ও জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করে তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
রবিবার এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে, ততক্ষণ তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। বরং তাদের ভাবমূর্তি আরও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পর তারা জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যারা অগ্নিসংযোগে জড়িত বা যারা অগ্নিসংযোগের জন্য নির্দেশ দেয় বা অর্থ জোগায় তাদের নিয়ে সরকারের কী করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কি তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব, নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে? আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিই, তাহলে তারা অগ্নিসংযোগের সহিংসতা চালিয়ে যাবে।’
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসির বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, বিএনপি ও জামায়াত আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
জনগণই তার দলের শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তেজগাঁওয়ে দলটির ঢাকা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি, কারণ জয়ের ব্যাপারে তাদের কোনো আস্থা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৮ সালের নির্বাচনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করলেও তারা তাদের দাবির সমর্থনে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ চায় দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করুক এবং রাজনৈতিক দলগুলো অবাধে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ পায়নি। তাদের শাসনামলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ও নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যৌথভাবে আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ভারতের সভাপতিত্ব শেষ করার আগে দিল্লি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ফোরাম।
ফোরামে স্পেনকে স্থায়ী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করে ভারত।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ শিশুকে নির্মমভাবে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, 'এই সব দানবীয় কর্মকাণ্ড বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, বৈশ্বিক দুর্দশাকে তীব্রতর করেছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবন ও মানবতা রক্ষার জন্য সব যুদ্ধ ও সংঘাতকে দৃঢ়ভাবে 'না' বলা সহজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন , একটি ভাল শুরু হতে পারে সুপ্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বজুড়ে এটির প্রসার ঘটানো।
তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের চমৎকার সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদেশগুলো অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বৈশ্বিক পরিবারের সবার কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চেতনায় বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিককে (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমি আপনাদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো যে সব অঙ্গীকার করেছে তা ফলপ্রসূ হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত' আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান,পৃথিবী গ্রহের যত্ন নিতে, সুরক্ষিত করতে এবং গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা, বিশেষ করে জলবায়ু পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত রূপান্তর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন সম্পর্কিত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে নয়া দিল্লীতে নেতারা একমত হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত দিল্লি ঘোষণা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারত একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জি-২০ দেশগুলোর নেতারা, ৯টি অতিথি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ভারত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের জি-২০ সম্মেলনে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে জি-২০ ত্রয়ীকা গঠিত হবে।
আগামী মাসে ব্রাজিল যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তখন নতুন ত্রয়িকা গঠন করা হবে, যেখানে ভারতের সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে দায়িত্ব নেবে ব্রাজিল এবং এর পরের মেয়াদে সভাপতি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জি-২০ সদস্যরা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, 'শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য আমি আর কোথাও এমন অমানবিকতা ও হত্যাকাণ্ড দেখিনি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবে, তারা অমানুষ।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে প্রশ্ন হলো, কেন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে? আমি এখনও বুঝতে পারছি না, মানুষকে কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, বাস পোড়ানো হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশ একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন,‘আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯, আমরা এটি মোকাবিলা করেছি। এছাড়া প্রায়ই অগ্নিসন্ত্রাসের মতো নানা ধরনের ঝামেলা শুরু হয়।’
শান্তি প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবেও শান্তি চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব,কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
বাংলাদেশকে শান্তির দেশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার পেশ করে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৮টি ভাষণের সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’- শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন প্রণীত বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে প্রতিটি বক্তৃতার সম্পূর্ণ অডিও সংস্করণের কিউআর কোড অন্তর্ভুক্ত আছে। বইটি প্রকাশ করেছেন মাওলা ব্রাদার্স।
বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুরকার মো. আকরাম-আল-হোসেন এবং মাওলা ব্রাদার্সের মালিক আহমেদ মাহমুদুল হক।
বইটির প্রকাশক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ইতিহাসের অমূল্য উপাদান। তার বক্তৃতা একদিকে যেমন তার সংগ্রামী জীবনকে প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের গৌরব ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে।
মাহমুদুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার উজ্জ্বল দলিল।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বলিষ্ঠ ভাষণের ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ঐতিহাসিক ভাষণের কারণে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে 'রাজনীতির কবি' উপাধিতে ভূষিত হন। পরে, ইউনেস্কো ভাষণটিকে 'ডকুমেন্টারি হেরিটেজ' হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং এটিকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ) অন্তর্ভুক্ত করে।’
তিনি বলেন, এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত তার বক্তৃতা শুধু বাংলাদেশের জনগণের নয়, সমগ্র বিশ্বের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার পথ দেখাবে।
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ-নেপালের উচিত পারস্পরিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা: প্রধানমন্ত্রী
পারস্পরিক সুবিধার জন্য পর্যটনের উন্নয়নে বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীরের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপ পারস্পরিক স্বার্থে পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, 'তিন দেশের মধ্যে পর্যটনের বিকাশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পর্যটনে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের বালুকাময় সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।‘তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।’
রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদকালে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, তার শাসনামলে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন:কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ