প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য জনগণ বিএনপির আন্দোলন উপেক্ষা করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধে ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং উপলক্ষে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মতো লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, খুনি, ডাকাত ও চোরেরা ক্ষমতায় এলে তারা শুধু দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা যেন দেশকে ধ্বংস না করে, এজন্য একমাত্র নৌকা প্রতীকই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দিন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের নেতা কে হবেন? তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সেই দুর্নীতিবাজ পলাতক অপরাধী নাকি এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী তা স্পষ্ট নয়।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব ভালো করেই জানে, নির্বাচনে নৌকামার্কায় ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করব, যাতে তারা (বিএনপি) তা করতে না পারে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যদি নৌকার পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, তা না হলে থাকবেন না। ‘তবে আমি জনগণের কল্যাণে আমার কাজ চালিয়ে যাব।’
আওয়ামী লীগকে আগামীবার দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতে সবাইকে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যদি উন্নয়ন চান তাহলে ভোট দিন, যদি ধ্বংস চান তাহলে বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিন।’
বিএনপির বিদেশে যাওয়ার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই আন্দোলন কোনো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতাই শ্রেষ্ঠ শক্তি, আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি, জনগণের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) হাবিব হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
সকাল থেকেই রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
গণভবনে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন'-এর শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানে শুক্রবার গণভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের প্রিমিয়ার শো দেখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এসব সংঘাত ও অস্ত্র প্রতিযোগিতার কারণে সাধারণ মানুষ ভুগছে।
তিনি বলেন, 'আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগুলো বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি যুদ্ধ ও অস্ত্র নিয়ে খেলা বন্ধ করা না যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ শেষ পর্যন্ত ভোগান্তিতে পড়বে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-এর (বিএলএলআইএসএস-২০২৩) চতুর্থ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একটি যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করেছে ইসরাইল। ইসরায়েল ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের একটি বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে। এখন সেখানে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা শান্তি চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ জনগণ সবসময় তাদের ভোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার ওপর বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করেন। আল্লাহ উপরে এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে বাঁচানোর জন্য মাঠে আছেন। আমার ওপর হামলা হলেই আমার দলের লোকজন আমাকে রক্ষা করে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়ে তাকে মানবঢাল তৈরি করে বাঁচিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কল্যাণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারলেও বারবার ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগকে আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংস করবে এবং আমার দলই কেমল দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সুধী সমাবেশে যোগদানের আগে নবনির্মিত ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমি আজ আপনাদের একটি উপহার দিচ্ছি, পদ্মা সেতুর পর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ...। আমি আপনাদের সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের সেবা করতে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু দিয়ে রেল সেবা উদ্বোধনের পর বিশেষ ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা রওনা হন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি লুটেরাদের দল এবং এর শীর্ষ নেতারা এতিমদের টাকা আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসার দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন।
তিনি বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কথাও উল্লেখ করেন, যিনি রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অশুভ শক্তি থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেন। আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা দেশের স্বাধীনতা এনেছে, পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ করেছে, হাজার হাজার কিলোমিটার সড়ক, স্কুল, কলেজ ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে এবং এভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রা শুরু করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার ফলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বিএনপির এমন দাবির জবাবে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ দেশে ভোট ও খাদ্যের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফরিদপুরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি ফরিদপুরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন বাংলাদেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে, যদিও অনেক বুদ্ধিজীবী নেই।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ পাশে থাকলে যেকোনো অসম্ভবকে জয় করা সম্ভব, যা আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত আছে, কিন্তু আমাদের একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের জনগণ।
ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে, তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে; এটা আমাদের নীতি এবং আমাদের ধর্ম ইসলাম আমাদের এটাই শিক্ষা দেয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি অন্য ধর্মের মানুষের ওপর নৃশংসতা ও নির্যাতন চালানোর জন্য বিএনপির সমালোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্ত, আওয়ামী লীগ এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে চায় ।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ পরবর্তী এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি দেশবাসীকে নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন এবং প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধনকালে মাওয়ায় এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখেছে।’
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
যারা তার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলার কথা বলে তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আর যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে তারা প্রতিদিন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আসলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না।’
বিএনপির নাম না নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দলটি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। ভোট কারচুপি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে।’
কিন্তু ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পায়। এরপর থেকে তারা নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তারা অগ্নিসংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং তারা কাউকে তা ধ্বংস করতে দেবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শধারণ করে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনের ভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক স্থাপনে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন।
'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রেললাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন।
রেললাইনটি তিন ধাপে নির্মিত হচ্ছে (পাশাপাশি ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে ৩ কিলোমিটার সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে): ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা সেকশন এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর সেকশন। প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-সংযোগসহ মোট পথের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার।
ঢাকা-যশোর রেলপথের পুরো প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন ও ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। পূর্ববর্তী স্টেশনগুলোরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটিয়েছে
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ঢাকা-যশোর রেললাইনের কোথাও কোনো রেলক্রসিং থাকবে না।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে কেরাণীগঞ্জ হয়ে পদ্মা সেতুতে যুক্ত হয়েছে নতুন রেললাইন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ দিয়ে কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ কেনা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে রেক সাজিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করা হলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এতে ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি) এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে। বাকি খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সরকারি চাকরিজীবীদের জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে জনগণের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে, জনগণের জন্য জনগণকে (এই প্রক্রিয়ায়) জড়িত করতে হবে।’
রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে ৬০২ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৩০ জন সেরা পারফরমারের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি নতুন বাস্তবায়িত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) সফটওয়্যার উন্মুক্ত করেন।
শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের সর্বদা জনগণের সেবক মনে করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেবাকে নিছক চাকরি মনে করবেন না, বরং দেশ সেবা করার সুযোগ। আপনাকে এই জিনিসটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সময়কে বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন কারণ ২৯ বছরেও দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক চাপ কমাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রশমিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে আজ আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। সবাইকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সবাই উৎপাদন বাড়ায় এবং কোনো জমি অনাবাদি না থাকে।’
তিনি বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না।
দেশে এখনও বিপুল সংখ্যক অনাবাদি জমি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি কর্মকর্তাদের তাদের সমস্ত অনাবাদি জমি উৎপাদনে আনতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বলেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশ কিছু সমস্যায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে রিজার্ভ সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। আমি বলেছি রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দেশে যতক্ষণ খাদ্য থাকবে ততক্ষণ আমরা ভাবি না। আমরা ফসল চাষ করব এবং আমাদের খাদ্য তৈরি করব। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যয় করব এবং কিছু পরিমাণে কম (আমদানি হ্রাস) ক্রয় করব।’
প্রধানমন্ত্রী খাল, বিল এবং অন্যান্য জলাশয় রক্ষা করে পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
তিনি তাদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ফল সঠিকভাবে সঠিক সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাতে, শুধুমাত্র একক পণ্য- তৈরি পোশাকের উপর নির্ভরতা কমাতে রপ্তানি ঝুড়ির বৈচিত্র্যকরণ, নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান এবং টেকসই উন্নয়ন কাজগুলি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে বলেন।
বিপুল জনসংখ্যার দেশে জমির অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশাল জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের মধ্যে এই মনোভাব তৈরি করতে হবে যে জনসংখ্যা একটি মূল্যবান সম্পদ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ... বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই।’
তিনি বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন দেশের অর্থনীতি, সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান কারিগর ও সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বলেন।
‘মাই ভিলেজ মাই টাউন প্রোগ্রাম’ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাতে গ্রামবাসীদের নাগরিক সুবিধা পেতে শহরে যেতে না হয়।
চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বর্তমান অবস্থান থেকে বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইভেন্টে তাহসিন বিনতে অনীশ সেরা পারফরমার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রেক্টর পদক এবং সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এবং সুমায়া জাহান ঝুলকা ও অঙ্কন পাল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সটি সর্বকালের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে ১৯টি ক্যাডার সার্ভিসের ৬০২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়।
পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা (৪২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে), সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) প্রোগ্রাম, নবনির্মিত ১৫ তলা বিপিএটিসি ডরমেটরি (২০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে) এবং কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে দুটি নবনির্মিত সার্কিট হাউস।
বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) গত ছয় মাসের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী চারজন তাদের অনুভূতির কথা জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের ফলাফল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।
পরে ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় জাপান: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় জাপান।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার কোমুরা মাসাহিরো এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
তিনি বলেন, কক্সবাজারে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদেরও সহায়তা করতে চায় জাপান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, স্থায়ী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন কারো জন্য সমীচীন নয়: জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তথ্যমন্ত্রী
আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান: ভাইস মিনিস্টার
অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের পর্যটননগর কক্সবাজার বা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনার সফট ওপেনিং উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের বিমানবন্দরগুলোর রূপান্তর করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সময়ে সময়ে বিমান পরিবহন হাব পরিবর্তন হয়। এক সময় ছিল হংকং, তারপর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও এখন দুবাই।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশ, আমাদের কক্সবাজার বা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হাব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও ফ্লাইট নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন রানওয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই পরিকল্পনা আছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আকাশপথের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে কারণে সরকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে।’ ফরাসি কোম্পানি থেলাস এই রাডার স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, পুরোনোটিও একই ফরাসি রাডার-উৎপাদনকারী সংস্থা ‘থ্যালেস এলএএস’-এর মাধ্যমে স্থাপন করা, যা পরে সংস্কার করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা থেকে জেলায় বিমান যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে সরকার কিছু নতুন বিমান কিনতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের যোগাযোগ সহজ করতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিমান যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের চাহিদা পূরণে তার সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিমানবন্দরের মতো সব বড় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
এভিয়েশন সেক্টরের আধুনিকায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিমানবন্দরে সরাসরি জেট ফুয়েল আনার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
কয়েকটি দেশের চাঁদে অবতরণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ একদিন চাঁদ জয় করবে।
তিনি বলেন, সরকার লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএইউ) প্রতিষ্ঠা করেছে যা তা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের মানুষ কিছু পেতে শুরু করেছে এবং বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নাগরিকদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার মাসাহিরো কোমুরা এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
টার্মিনালে পৌঁছালে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ঐতিহ্যবাহী নাচ ও বাংলা গানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানায় একদল ছোট ছোট শিশু। তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন, যেখানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
তিনি তার লাগেজ চেক করে ইমিগ্রেশন পাস করার একটি ড্রেস রিহার্সালে অংশ নিয়েছিলেন এবং তাকে পরে বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে তৃতীয় টার্মিনালের উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী একটি বর্ণাঢ্য বিষয়ভিত্তিক নৃত্য উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও