প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য জনগণ বিএনপির আন্দোলন উপেক্ষা করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধে ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং উপলক্ষে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মতো লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, খুনি, ডাকাত ও চোরেরা ক্ষমতায় এলে তারা শুধু দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা যেন দেশকে ধ্বংস না করে, এজন্য একমাত্র নৌকা প্রতীকই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দিন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের নেতা কে হবেন? তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সেই দুর্নীতিবাজ পলাতক অপরাধী নাকি এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী তা স্পষ্ট নয়।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব ভালো করেই জানে, নির্বাচনে নৌকামার্কায় ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করব, যাতে তারা (বিএনপি) তা করতে না পারে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যদি নৌকার পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, তা না হলে থাকবেন না। ‘তবে আমি জনগণের কল্যাণে আমার কাজ চালিয়ে যাব।’
আওয়ামী লীগকে আগামীবার দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতে সবাইকে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যদি উন্নয়ন চান তাহলে ভোট দিন, যদি ধ্বংস চান তাহলে বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিন।’
বিএনপির বিদেশে যাওয়ার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই আন্দোলন কোনো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতাই শ্রেষ্ঠ শক্তি, আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি, জনগণের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) হাবিব হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
সকাল থেকেই রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ