প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও সরকারি তহবিল ব্যবহারে সাশ্রয়ী, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিহার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে নিবেদিত হতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন।
তিনি তার প্রথম নির্দেশনায় বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপনাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কোথাও কোনো জমি যেন অব্যবহৃত না থাকে… সারা বাংলাদেশে অনাবাদি জমি আছে, এগুলোকে চাষের উপযোগী করে তুলতে পারলে খাদ্য উৎপাদন ও বৈচিত্র্য আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন যে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশ যাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তিনি এখন কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
দ্বিতীয় নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আপনাদেরকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ছাদ কৃষি প্রয়োজন: এফএও
জনগণ যাতে সরকারি অফিস থেকে সময়মতো সেবা পায় এবং সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।
সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।
আরও পড়ুন: যেকোনো সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশকে দুর্ভিক্ষমুক্ত রাখতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনটির উদ্বোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি তাদের সহযোগিতা জোরদার করতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। কিন্তু মহামারির কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ যখন প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধার করছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আবারও আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক পতনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
প্রধানমন্ত্রী সবুজ বলয়, বনায়ন, টেকসই আবাসন এবং জীবিকা তৈরির মাধ্যমে বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করার জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পালন করছে না।
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন যাত্রার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১৯৭২ সালে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার, যা এখন ২৮২৪ মার্কিন ডলার।
বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে এবং দেশের পাশে থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আমি এখানে এসেছি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক ভিশন বাস্তবায়নে সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং জনগণের জন্য কাজ করার ইচ্ছার কারণে গত ১৪ বছরে দেশ দ্রুত উন্নয়ন করেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের আয়োজিত সেমিনারটিতে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এজেন্ডা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা উন্নয়ন বিষয়ে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের এএসএইচ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনোভেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী এবং সভাপতিত্ব করেন গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।
এতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এএসএইচ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্সের বিশিষ্ট অনুষদ সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তৃতা দেন।
যার মাঝে রয়েছে- পাবলিক ভ্যালু ও পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, এডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্ম, কস্ট অব ক্লাইমেট চেন্জ-ডিজাস্টার রেসপন্স এবং এনার্জি ট্রানজিশন এর মত বিষয়গুলো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনালের সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর গবেষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তারা আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের পেশাজীবী কর্মকর্তাগণও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফাইন্যান্সের অনুষদ সদস্যরাও এতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী ও অতিথিরা তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বাংলাদেশের আসন্ন ভবিষ্যত উন্নয়ন এজেন্ডা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সেবা চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৬ নির্দেশনা
শুধু সেনা ও নৌবাহিনীর ত্রাণ দেয়ার সংবাদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খারিজ
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির জন্য প্রাক্তন ছাত্র সমিতির (অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) মাধ্যমে তাদের নিজস্ব তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রাক্তন ছাত্র সমিতি আছে এবং এর মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিজস্ব তহবিল তৈরি করতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী, তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারে।
এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলে-মেয়ে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে যেসব বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে।
এ লক্ষ্যে আবারও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে ব্যাপক অস্ত্রের ব্যবহার ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সরকার দেশকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে।
তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ধৈর্য ধরে শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ নিচ্ছে তার সঙ্গে কোনো উল্লেখযোগ্য শর্ত যুক্ত নেই।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর দেয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
সংসদে এক বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ একটি দেশকে তখনই ঋণ দেয় যখন তার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা থাকে। আমরা কোনও শর্তে (আইএমএফ থেকে) ঋণ নিচ্ছি না।’
পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশ এখন আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করছে এবং ইতোমধ্যে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়িয়েছে এবং ঋণের কারণে গ্যাসের দাম বাড়বে এবং পণ্য এবং মুদ্রাস্ফীতির ফলে দাম বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছে। ‘আমার প্রশ্ন পৃথিবীর আর কোন দেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি দেয়? তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। কিন্তু বিদ্যুত ব্যবহারে সবাইকে কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে আমরা বিদ্যুতের দাম মাত্র ৫ শতাংশ বাড়িয়েছি এবং বাল্ক গ্যাসের দামও কিছুটা বাড়িয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির স্পট মূল্য যা ছিল মাত্র ৬ মার্কিন ডলার এখন তা ৬৮ মার্কিন ডলার। ‘তাহলে সরকার কত ভর্তুকি দেবে? সরকার জনগণের অর্থ থেকে ভর্তুকি দেয়।’
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে পণ্যের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে, সরকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ন্যায্য মূল্য কার্ড এবং টিসিবি কার্ড প্রদান করেছে যাতে তারা ভর্তুকি মূল্যে চালসহ কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।’
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষিতে বিশাল ভর্তুকি দিচ্ছি। এখন যদি আমাদের বিদ্যুৎ-গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য ৪০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা দিতে হয় তবে আমরা কীভাবে তা দেব?
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দেশে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ইংল্যান্ডের মতো দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। পৃথিবীর অন্য সব দেশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও সেরকম পরিস্থিতিতে পড়েনি।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে কৃ্চ্ছতা সাধনের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে বিদ্যুতের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে তারা বিদ্যুতের ব্যবহারে কঠোরতা অনুশীলন করতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ব্যবসায়ীদের স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সরকার তাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে পারে, যদি তারা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস সংগ্রহের জন্য সরকার যে হারে ব্যয় করে সেই হার দিতে রাজি হয়।
তিনি বলেছেন, ‘যদি তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে চায়, তাহলে তাদের একই মূল্য দিতে হবে যা সরকারকে গ্যাস সংগ্রহ করতে হবে। এখানে ভর্তুকি দেয়ার কোন কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রতিটি বিভাগে শিশুদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিটি বিভাগে শিশুদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি বিভাগে শিশু হাসপাতাল স্থাপন জরুরি।’
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৫টি জেলায় তৃতীয় ধাপের আওতায় ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি অ্যান্ড হাসপাতালে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন যে শিশুদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতিটি বিভাগীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা জেলা হাসপাতালে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার শিশু চিকিৎসা সামগ্রী ও ইনকিউবেটর থেকে কর মওকুফ করেছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ ইসলামের মর্যাদা বাড়ানোর পরিবর্তে অসম্মানিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমার সরকার সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মেডিকেল কলেজগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত হবে, যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেবে এবং আমরা সেদিকে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ করেছে যাতে বেসরকারি উদ্যোগে মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
সরকার ওষুধের সরঞ্জাম বা হাসপাতাল নির্মাণ সামগ্রীর ওপর কর কমিয়েছে যাতে বেসরকারি খাতে মেডিকেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এটিকে আট হাজার শয্যার সুবিধায় উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা নির্মাণ শুরু করতে পারি, ভবিষ্যতে এটি নির্মাণ করা হবে, এর জন্য আমরা বিশেষ পরিমাপক নিয়েছি।’
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, তিন ধাপে প্রায় ১৩৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার খোলা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব উপজেলায় তা চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
জাতীয় চক্ষুবিদ্যা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
পরে তিনি ভোলার চরফ্যাশন, বরগুনার আমতলী, কক্সবাজারের পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদানকারী বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের আকাঙ্খার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
আইএমএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। আইএমএফ এই আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
সায়েহকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ‘আইএমএফ এই অংশীদারিত্বকে ধারণ করে। আমি এখানে এসেছি এই অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অপরিমেয় প্রভাবের কারণে পুরো বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে।
এসব সমস্যা মোকাবিলায় আইএমএফ বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ফলে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অগ্রগতির ধারা শ্লথ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আইএমএফ কর্মকর্তাকে বলেন, তার সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক উন্নত দেশেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছে। ‘আমরা আইএমএফের কাছে সাহায্য চেয়েছি বেলআউট হিসেবে নয়, একটি পূর্ব-প্রস্তূতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।’
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে প্রায় ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
এছাড়া বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়ন, বালিকা শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও আইসিটি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকায় বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, সিনিয়র অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুটি ছবি হস্তান্তর করেন। যেগুলো বাংলাদেশ যখন ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট এর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আইএমএফ -এর আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্টে সই করে তখন তোলা হয়েছিল।
জঙ্গিবাদ ইসলামের মর্যাদা বাড়ানোর পরিবর্তে অসম্মানিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিতে আলেম ও ওলামাদের (ইসলামী পণ্ডিতদের) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘এগুলো পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে।’
তিনি সবাইকে, বিশেষ করে শিশুদেরকে জঙ্গিবাদে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ইসলামকে মর্যাদা দেয়ার পরিবর্তে অসম্মান করছে।’
শিশু ও যুবকরা জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা অপশিক্ষা, মতভেদ, দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুছে দিয়ে আমাদের সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করবে।
এটি ধর্মের নামে বিভ্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে ব্যাপক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ইসলামের নামে কেউ যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্য সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদর্শ মসজিদ ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে-যা শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের ধর্ম।
তিনি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও নারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে ইসলামিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আলেম ও ওলামাদের ‘ওরাসাতুল আম্বিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ মসজিদের খতিব ও ইমামদের সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত করুন কেউ যেন আমাদের ধর্ম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খুতবা ও জুমার খুতবার মাধ্যমে মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, খাদ্যে ভেজাল এবং দুর্নীতির মতো সামাজিক ব্যাধিতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে শিক্ষিত করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ধর্মকে ব্যবহার করে নির্যাতন ও নিপীড়নের অবসান ঘটানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম সব ধর্মের মানুষের জন্য অবাধে ধর্ম পালন নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় ও মতামত নির্বিশেষে প্রতিটি ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে পারি।”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘ইসলামের সেবক’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেস, জুয়া ও মদ বিক্রি বন্ধ করেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধু মাদরাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইজতেমা মাঠের জন্য জমি বরাদ্দ করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং দেশকে ওআইসি’র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।’
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে তিনি বলেন, ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় তারা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০০টি মডেল মসজিদ খুলেছেন এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হবে।
সরকার এখন প্রতি উপজেলায় তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং প্রতি জেলায় চারতলা মসজিদ নির্মাণ করছে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
কুমিল্লা জেলার রাজশাহী, শরীয়তপুর ও চৌদ্দগ্রাম থেকেও কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধাপে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন।
সোমবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ও নগরকান্দায় অবস্থিত মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; গাজীপুরের কাপাসিয়া; গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা; সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; জিওর উপজেলা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া; সদর উপজেলা, নরসিংদীর মনোহরদী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা; জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা; ধুনট উপজেলা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম; নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা; নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা; চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা; পাবনার ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর উপজেলা; সিরাজগঞ্জের কাজিপুর; রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন; রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলা; শেরপুরে সদর উপজেলা; জেলা সদর পিরোজপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা ও কসবা; সদর উপজেলা ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি; কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম; খুলনায় রূপসা; কুষ্টিয়ার খোকসা ও ভেড়ামারা; জেলা সদর ও মেহেরপুরের গাংনী; সাতক্ষীরার দেবহাটা; সিলেটের গোয়াইনঘাট; জেলা সদর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর; এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট।
আরও পড়ুন: অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই মডেল মসজিদগুলোতে ওযু এবং নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, দাফন অনুষ্ঠানের স্থান, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ইসলামিক দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদসহ দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য থাকার সুবিধা রয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের সত্য বাণী প্রচার এবং ধর্মীয় ভ্রান্ত ধারণা দূর করার লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে মোট ৫৬৪টির মধ্যে প্রথম ধাপের ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ইসলামি ভ্রাতৃত্ব এবং এর মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করা।
এ ক্যাটাগরির অধীনে, ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধাসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ এবং প্রতিটি ফ্লোর স্পেস দুই হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার নির্মাণ করা হচ্ছে।
বি ক্যাটাগরির অধীনে, প্রতিটি এক হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেস দিয়ে ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সি ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি দুই হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গ মিটার মেঝে থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: স্মৃতিকে জামিন দিলেন আপিল বিভাগ
আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী