প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
প্রধানমন্ত্রী দেশে পৌঁছেছেন
মালদ্বীপে ছয়দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে পৌঁছেছেন। সোমবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মালদ্বীপের রাজধানী মালের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় ২টা ২০ মিনিটে) বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ওই ফ্লাইটে করে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এর আমন্ত্রণে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ ও প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
দ্বৈত কর পরিহারে চুক্তি এবং স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও উপকরণ হস্তান্তর নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এছাড়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিসে ভাষণ দেন এবং দ্বীপ দেশটিতে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া কমিউনিটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ থেকে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
৬ দিনের সরকারি সফরে মালদ্বীপ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রী বহনকারী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী এখন মালদ্বীপে অবস্থান করলেও তিনি দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সদস্য শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোক বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সদস্য হিসাবে মুশতারী শফীর অবদানের কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই
৮৩ বছর বয়সী বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট আরও বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর ভোরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক-নাগরিক আন্দোলনে সামনের সারির সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বেগম মুশতারী শফীর নগরীর এনায়েতবাজারের ডাক্তার শফীর ‘মুশতারী লজ’ নামের বাড়িটি ছিল ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূতিকাগার।’ এই বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদ তার কতিপয় সহকর্মীসহ এ বাড়িতে থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রণাঙ্গন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ভবন থেকে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। জন্মস্থান ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচকে। বাবার বাড়ি ফরিদপুরের গেরদায়। খন্দকার নাজমুল হক আনসারী অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুলিশের ডিএসপি ছিলেন। মা আরেফা খাতুন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় কুমারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, সরকার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আমরা অধিক উন্নতমানের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছি।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৯ আলফা এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১ ব্রাভো পাসিং আউট ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে ‘বিএনএস নবযাত্রা’ এবং ‘বিএনএস জয়যাত্রা’- দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে নৌবাহিনীকে সত্যিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, নৌবাহিনী এখন প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দেশের বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ এবং জেলেদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পথ নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
এছাড়া সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজগুলোকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধা সম্বলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা সক্ষমতা জোরদারে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে সরকার 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক ও আঞ্চলিক শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবাহিনীতে যুদ্ধজাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিদ্যমান জাহাজের অপারেশনাল ক্ষমতা জোরদার করার মতো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ) এবং সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গত নভেম্বর ২০২১ সালে জার্মানি থেকে একজন নতুন এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে। আরেকজনকে ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত করা হবে।
হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুঁথি পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন এবং কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও তুলে ধরা হয়। নাচ, গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ও গানে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং জনজীবন মূর্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- উঠে আসে বিভিন্ন পরিবেশনায়।
প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুঁথি পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন এবং কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার ফোনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ বলে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানালেন বরিস জনসন
বনানীতে পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা '৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতে শহিদ জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এসময় তারা পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের রূপকল্প প্রদানে দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উদযাপন নিছক উৎসব নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ যাত্রায় আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় যে, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের ‘সৈনিকেরা’ প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সৈনিকেরা প্রস্তুত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
রবিবার দুপুরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উদযাপন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি আজ বলতে পারি আমার আর কোনো দুশ্চিন্তা নাই। প্রযুক্তি শিক্ষায় এবং জ্ঞান ভিত্তিক যে সমাজ আমরা গড়তে চাই- আমাদের দেশটা সে পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সৈনিকেরা প্রস্তুত হয়েছে।’
ডিজিটাল সেক্টরে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ২৪ জন ব্যক্তি, দল ও সংস্থা এই পুরস্কার পেয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ১২টি এবং জেলা পর্যায়ে ১২টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী যুবক ও অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল যন্ত্রপাতি রপ্তানি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিকভাবে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তা তৈরি পোশাকসহ অন্য সব খাতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে পোশাক রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ডিজিটাল ডিভাইসের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই খাতে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি মনে করি যদি আমরা এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো উৎপাদন এবং রপ্তানি করতে পারি। তবে এটা বাকি সব খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস খাতে রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাতে তরুণরা ঘরে বসে তাদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের জনগণকে যে সেবা দিতে চেয়েছিল, তা ইতোমধ্যে দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৪০০ টাকার নিচে নামিয়েছে, যা বিএনপি সরকারের সময় ছিল ৭৮ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, আমরা ৫জি চালু করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পাশাপাশি ১৮ দশমিক ১৩ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি ঘরে এখন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি বিষয়ক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪৩তম ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী
কোনো বাইরের শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি দিয়েছেন, 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়', আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী, কিন্তু বাইরে থেকে শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সক্ষমতা আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি।’
রবিবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি প্যারেড ২০২১-এ দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রয়োজন হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের প্রধান কাজ হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
সকল নবীন কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আজ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মাতৃভূমির মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব তাদের অর্পণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে সদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনাকে দেশের মানুষের পাশে থাকতে হবে... জনগণের সকল প্রয়োজন মেটাতে এবং সুখ-দুঃখ সমানভাবে ভাগ করে নেয়ার জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ক্যাডেটদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য বিএমএতে সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি এই আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা একটি প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সেনাবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, আজকের বিএমএ সেই সামরিক একাডেমির একটি সফল মূর্ত প্রতীক যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।
ব্যাটালিয়নের ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল ইসলামকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং কোম্পানি জুনিয়র আন্ডার অফিসার ইমরুল কায়েস সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কৃতি ক্যাডেটদের কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত করেন।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণা ও আবিষ্কারের জন্য বাজেট বাড়িয়ে একটি উদ্ভাবনী শিক্ষা ইকোসিস্টেম (আইইই) প্রণয়ন করছি। আমরা ন্যাশনাল ব্লেন্ডড লার্নিং পলিসি-২০২১ তৈরি করছি। এইসব নীতির মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তিগত ব্যবধান ঘুচিয়ে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারব।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব-২০২১ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে শনিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন আবিষ্কারের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশকেও সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হলেও শিল্পায়ন প্রয়োজন। আমাদের কৃষি এবং শিল্প দুটোই দরকার। এ বিষয়টা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে- (১) অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ (২) দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি এবং (৩) পরিবেশের সুরক্ষা।
তিনি বলেন, শিল্পায়নের লক্ষ্য মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করা এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত করা। প্রায় ১০০ বছর পর শিল্পায়নের যুগান্তকারী এই বিবর্তন অসাধারণ। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় অতিক্রম করে মানবজাতি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঊষালগ্নে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে অদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিভাইসের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান হবে। ফলে বেশ কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের মতো করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। এ জন্য প্রযুক্তিকে সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে সরকার তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তোলা, বিভিন্ন আইন প্রণয়ন এবং প্রযুক্তিতে দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলরে কাজে মনোযোগ দিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে নির্বাচনে না জয়লাভের পর সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি শিল্প খাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছে। ফলস্বরূপ, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪৩তম ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই ৫ জি নেটওয়ার্ক চালু করবো। এটি দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাব্যবস্থা, জীবনযাত্রার মান এবং প্রচলিত ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোপুরি বদলে দেবে। আমি বিশ্বাস করি, আইসিটি এবং সফ্টওয়্যার শিল্প ভবিষ্যতে আমাদের রপ্তানি খাতকে সমৃদ্ধ করবে। আমরা বাংলাদেশে গবেষণা-উন্নয়ন ও উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদেশি শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, এর সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও উপস্থাপনা পরিবেশন করা হয়। এসময় তিনজন নোবেল বিজয়ী এবং ছয়জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া ‘মুজিব-১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ ও ‘মুজিব-১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’ নামে দুটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ১৭টি দেশ থেকে মোট ৫২৫টি গবেষণা পত্র জমা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
এছাড়াও কয়েক হাজার আইডিয়ার মধ্যে থেকে ১০টি সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিতদের প্রত্যেকে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার পাবেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর