প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে  পুঁথি পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন এবং কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও তুলে ধরা হয়।  নাচ, গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ও গানে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং জনজীবন মূর্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন  উন্নয়ন কর্মকা- উঠে আসে বিভিন্ন পরিবেশনায়।

প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে  পুঁথি পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন এবং কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী তার ফোনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত ধারণ করেন।

আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ বলে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানালেন বরিস জনসন

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি,  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসাবে এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিজয় দিবস ও দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ দিবস উপলক্ষে  বৃহস্পতিবার স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ পর্যটনের ব্র্যান্ড নেম ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ লোগো এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে: কোবিন্দ

বুলেট বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে দিতে পারেনি: কোবিন্দ