প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
খালেদা জিয়া ও তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের মতো হামলা চালানো সম্ভব ছিল না। বর্বর সেই হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল, কারণ হত্যাকাণ্ড তাদের অভ্যাস।
শনিবার ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত সরকার) ভেবেছিল গ্রেনেড হামলায় আমার মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু যখন তারা জানতে পারে যে আমি মারা যাইনি তখন তারা চারজন অপরাধীকে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার এই ধরনের হামলা চালানোর জন্য সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের একত্র করেছিল এবং তাদের বিদেশে পালানোর জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ স্বপ্নেও সাহস করেনি যে দিনের আলোতে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হবে।’
আরও পড়ুনঃ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ফারুক ও রশিদ ওই অপরাধীদের মধ্যে ছিল এবং অন্য দুজন জঙ্গি তাজুল এবং একজন কারারক্ষী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করেছিল।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসকরাও আহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা দেননি এবং কোনো রোগীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকারি কর্মচারীদের কঠোর শাস্তির পেতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা বিভিন্ন সুযোগ -সুবিধা দিচ্ছি, আমরা কোনো দুর্নীতি সহ্য করব না।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক সভায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার একটি দক্ষ, সেবা-ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এটা অনেক বেশি কার্যকর হবে। কারণ আমরা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতিকে একটি রোগ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর জোর দেন। তিনি সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যখনই আপনারা কাউকে দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দেখবেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিবেন। যে কোনো ভালো কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কার আছে। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
করোনা ভাইরাসের টিকা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে টিকা উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া, আমরা যতটুকু টিকা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন এগিয়ে যেতে পারে সেইভাবেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বুধবার এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ভিত্তিটা তৈরি করেছি।
ডেল্টা প্ল্যান পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক উন্নত হতে হবে, আমরা সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
উন্নয়ন পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নে তিনি সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে তৃণমূলের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে দরিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়, উন্নত জীবন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার লাভের সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষেই সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে যাতে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ না হয়।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাব কারণ আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডিকে শক্তির উৎসে রূপান্তরিত করে জনগণের উন্নতি করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে আমার বাবার স্বপ্নের মতো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। ইনশাআল্লাহ, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পূর্বে রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্ন পূরণে তিনি তাঁর বাবার আদর্শ অনুসরণ করছেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষের জন্য তাঁর রক্ত দিয়েছেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁর রক্তের কাছে ঋণী করে গেছেন। আমাদের রক্তের এই ঋণ শোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। কেউ দারিদ্র্যের শিকার হবে না এবং কেউ ভূমিহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবকিছু হারানোর দিন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা এবং বাঙালির বিজয় চায়নি তারা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিছু লোক বিশ্বাসঘাতক এবং ভণ্ড ছিল। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে অদূর ভবিষ্যতে বিচারের সম্মুখীন করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে হত্যাকারীদের বিচার করা খুবই জরুরি ছিল, আমরা সেটা করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল সেটাও একদিন বেরিয়ে আসবে। সেই দিনও বেশি দূরে নয়।’
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, যারা নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল এবং যারা খুনিদের পাশে ছিল বা যারা এর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তারা সবাই সমানভাবে দোষী।
নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিশনের দাবির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিনের সংবাদপত্রগুলো পড়লেই বিষয়গুলো সবার কাছে খুব স্পষ্ট হবে।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তাকে সময় না দিয়ে একই বছর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে করতে অনেক বছর লেগে যায়, কিন্তু মাত্র এক বছরেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।’
আরও পড়ুন: গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ণে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আজকের সভায় মোট ১০টি প্রকল্প প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে নয়টি নতুন এবং বাকি একটি সংশোধিত প্রকল্প।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ব্যয়ের দিক দিয়ে তিনটি বড় প্রকল্প হলো গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। জামালপুরে মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ পানি সরবরাহসহ ৫ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের ‘দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন, এলজিইডি অংশ)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলী ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’ বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এছাড়া ‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি মেয়াদ বেড়ে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে আরও ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে মন্ত্রিসভায় নীতিমালা অনুমোদন
বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং তার ভাইদের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘একটাই প্রশ্ন সব সময়-আসলে কেন এই হত্যাকাণ্ড, আমার বাবা, মা এবং ভাইদের অপরাধ কি ছিল?’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং আমার ভাইয়েরা নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন, জীবনের সুখ, শান্তি একটা জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিলিয়ে দিলেন, কিন্তু সেই বাঙালিই তাদের হত্যা করলো?
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার বড় কন্যা হাসিনা বলেন, ‘ধৈর্য, সাহস এবং সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে বঙ্গমাতা অনেক অবদান রেখেছেনন। আমার মা প্রতিটি আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন উৎসাহ দিয়েছেন যাতে তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে প্রত্যেক নারীর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা উচিত। তার উপলব্ধি ছিল যে শুধু অধিকারের জন্য চিৎকার করলে নারীদের জন্য কিছু আসবে না। অধিকার অর্জনের জন্য সকল নারীর উচিত শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি করার জন্য তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং চাহিদা উপেক্ষা করেছেন। বঙ্গমাতার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা ছিল না এবং পারিবারিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে কখনো বিরক্ত করেনি।
দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গমাতার ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকটময় সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা
রাষ্ট্রপতির ছেলেও হয়েও শেখ কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু যখন তিনি বেঁচে যান, তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর চক্রান্ত করে কামালকে গুলি করা হয়। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু যখন তিনি বেঁচে যান, তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়।’
শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার ছেলে হওয়া সত্ত্বেও খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করত।
তিনি বলেন, ‘যদিও তার বাবা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তার কখনো অর্থ-সম্পদ অর্জন বা ব্যবসা বাণিজ্যের দিকে দৃষ্টি ছিল না।’
শেখ হাসিনা তার ছোট ভাইয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলাধুলায় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, দেশের মানুষের পাশে থাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন এগুলোই ছিল তার কাছে সবচেয়ে বড়।
তিনি বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট এবং ক্রীড়া খাতের আধুনিকায়নে কামাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সঙ্গীত জগতেও তার অবদান ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমাদের সমাজের জন্য তার অনেক অবদান ছিল।’
হাসিনা বলেন, ‘তার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল যুব সমাজকে সুসংগঠিত করা, বেঁচে থাকলে হয়ত দেশের যুব সমাজের জন্য অনেক কাজ করতে পারতেন।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি সংস্থার মধ্যে শেখ কামাল পুরস্কার -২০২১ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ক্রীড়াবিদ হিসেবে মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আরচারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন) পুরস্কার পেয়েছেন। উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে আকবর আলী (ক্রিকেট) ও ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল) পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) এবং ক্যা শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন)।
ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আজীবন সম্মাননায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওয়ালটন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বস্তিবাসীদের জন্য মঙ্গলবার মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৪তলার তিনটি ভবনের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ কাগজপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ভবনে লিফট, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, সৌর বিদ্যুত, কেভিএ সাব-স্টেশন, খোলা জায়গা ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ অনেক আধুনিক সুবিধা রয়েছে।
প্রতিটি ৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। দৈনিক ১৫০ টাকা এবং মাসিক ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর মিরপুর ১১ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। বস্তির বাসিন্দাদের উন্নত আবাসনে স্থানান্তরিত করার এটি প্রথম পর্যায়।
পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী
এ ধরনের আরও দুটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং প্রকল্প এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে একটি বস্তি ছিল।
এ প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট থাকবে যার জন্য ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাটগুলো আরও ১ হাজার এক পরিবারের মধ্যে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আজিমপুর সরকারি কলোনিতে রয়েছে ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট, মিরপুরে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মাঝে ফ্লাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, খোন্দকার মোস্তাক এবং জিয়াউর রহমানের মধ্যে সম্পৃক্ততা ছিল।
তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার করা হয়েছে কিন্তু এর পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে তা এখনও উদঘাটিত হয়নি। একদিন নিশ্চয়ই এটি বের হবে।’
বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন স্বেচ্ছায় রক্ত, প্লাজমা দান ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
পড়ুন: আগস্ট: বাঙালির শোকের মাস শুরু
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রধান কাজ ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনা এবং দেশ ও জনগণের বিষয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সে পথে না গিয়ে আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দরিদ্র এবং ক্ষুধার্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং তাদের জীবন-মান উন্নত করা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাক।’
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল।
পড়ুন: স্বাধীনতা ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণ করে ১৫ আগস্ট ও জেল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী
৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের