এথেন্স, ২৫ জুন (ইউএনবি)- মাল্টায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আসুদ আহমেদ দেশটি রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার কাছে মাল্টায় বাংলাদেশের অনাবাসী হাইকমিশনার হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। 

শুক্রবার সকালে মাল্টার রাষ্ট্রপতি ভবন সান এন্টন প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

এ সময় হাইকমিশনারের সহধর্মিনী রেবেকা সুলতানা এবং দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার সাথে হাইকমিশনার আসুদ আহমেদের একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকমিশনার মাল্টার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

আলোচনার শুরুতে মাল্টার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং মাল্টার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জানান যে, এই সম্পর্ক আরো ফলপ্রসূ এবং জোরদার করা সম্ভব। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অভিবাসনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: দ্রুতই টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে সেরাম

এ সময় মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লা গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। 

হাইকমিশনার আসুদ আহমেদ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘঠিত হিংস্রতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ প্রসঙ্গে মাল্টা সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশি আটক

আলোচনাকালে মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. ভেল্লা বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম অর্থনৈতিক ভিত্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে মাল্টার কারিগরি সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন।