রবিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আমার কাছে এসেছিলেন। তারা জমা দেয়া একটি লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন যে তাদের চেয়ারপার্সন অসুস্থ।’
মন্ত্রী জানান, বিএনপি এর আগে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার অনুরোধ জানিয়েছিল, কিন্তু আজ তারা এবিষয়ে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
‘লিখিত আবেদন অনুযায়ী আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং কারা মহাপরিদর্শককে সরকারি ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে বলেছি। তারা ডাক্তারি পরীক্ষা করবেন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী যদি দরকার হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান আরো বলেন, খালেদা জিয়া বাতের ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ‘বিএনপির অনুরোধ অনুযায়ী আমরা কারাগারে তার সাথে একজন সাহায্যকারীকে থাকার অনুমতি দিয়েছি। তাকে পরীক্ষা করার জন্য ফিজিওথেরাপিস্ট, চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টরা নিয়মিতভাবে কারাগারে যাচ্ছেন। কারা বিধান অনুযায়ী আমরা তাকে সব ধরনের সুবিধা দিয়েছি।’
খালেদা জিয়াকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কারা বিধান অনুযায়ী তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে পারেন। আমি তাদের আগেও বলেছি যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অনেক সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, কিন্তু তারা রাজি হননি...’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি চিকিৎসকরা মনে করেন যে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল এবং অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সুবিধা নেই তাহলে তাকে যেকোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হবে।’
মেডিকেল বোর্ড কবে নাগাদ গঠন করা হবে, সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুতই গঠন করা হবে।’
এর আগে বেলা ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।