সদ্য শেষ হওয়া ইউরো আসরে সেমিফাইনাল পর্যন্ত তিন গোল করে মোট ছয় ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ও স্পেনের দানি অলমোর ফাইনালে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে কেউ তা না পারায় বিরল এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ছয়জনকেই যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।
এই ছয় ফুটবলার হলেন- স্পেনের দানি ওলমো, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্লোভেনিয়ার ইভান শারাঞ্জ ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে।
অবশ্যই এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। এ বিষয়ে তারা বলেছিল, গোল সমান হলে এবার সবাইকে যৌথভাবে গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে।
এর ফলে ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসরে ছয় জন জিতলেন এই পুরস্কার।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ইউরোর পর চলতি আসরেই সর্বনিম্ন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল দেখল ফুটবলবিশ্ব। সেবারও তিনটি করে গোল করেছিলেন স্পেনের ফের্নান্দো তোরেস, জার্মানির মারিও গোমেস ও রাশিয়ার আলান জাগুয়েভের। তবে সবচেয়ে কম ম্যাচে তিন গোল করে এগিয়ে থেকে গোল্ডেন বুট জেতেন তোরেস।
ইউরোর গত আসরে টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ পাঁচটি করে গোল করেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক। উয়েফার ওই আসরের নিয়ম অনুযায়ী, গোলের পাশাপাশি বেশি অ্যাসিস্ট থাকায় গোল্ডেন বুট জেতেন রোনালদো।
ওই নিয়ম এবারও চালু থাকলে গোল্ডেন বুট পেতেন অলমো। তিন গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার নামের পাশে। ফলে সর্বোচ্চ পাঁচ গোলে সহায়তা করায় তার হাতেই উঠত পুরস্কারটি।
তবে পাঁচ গোলে সহায়তা করার রেকর্ড শুধু অলমোর একার নয়। চার অ্যাসিস্ট ও একটি গোল করে যৌথভাবে এ রেকর্ডের মালিক তারই সতীর্থ লামিন ইয়ামাল।
ইউরোর এ আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টও সদ্য ১৭ বছরে পদার্পণ করা টুর্নামেন্টের এ সেরা তরুণ ফুটবলারের। তার নিচে দুটি করে অ্যাসিস্ট নিয়ে আছেন মোট ১২ জন।