ইনিংসের ৪১তম ওভারে এসে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। শেষ তিন বলে একে একে তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট।
শেষ বেলায় মাত্র ২ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের ৪ উইকেটের পতন পাকিস্তানকে এই টেস্টে চালকের আসনেই ঠেলে দিল।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা একেবারে খারাপ হয়নি। ৩৯ রানের মাথায় প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান (১৬)। খুব দ্রুতই সাইফলের দেখানো পথে হাঁটলেন তামিম ইকবাল (৩৪)। তামিম যখন আউট হন তখন দলীয় স্কোর ছিল ৫৩।
দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই উইকেট জুটিতে আসে ৭১ রান। মনে হচ্ছিল দিনের খেলাটা এই দুজনেই শেষ করে আসতে পারবেন। শান্তর (৩৮) বিদায়ে যেন সব শেষ। দলীয় ১২৪ রানে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। এরপরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
১২৪ থেকে ১২৬ রান, এরমধ্যেই সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ইসলাম (০), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০) এবং মোহাম্মাদ মিঠুনও (০)। রিয়াদকে ফিরিয়েই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নাসিম।
দিন শেষে পাকিস্তানের সফল বোলার নাসিম শাহ ও ইয়াসির শাহ। তারা দুজনেই ভাগ করে নেন ৬ উইকেট। এরমধ্যে নাসিম নেন ৪টি। বাংলাদেশ এখনও ৮৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৫৫ রানে অলআউট হয়।
তিন উইকেটে ৩৪২ রান নিয়ে রবিবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে ১১৩ রান যোগ করতেই পরের ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতেই আগেরদিনে ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকা বাবর আজম ফিরে যান। তিনি আজ আর কোনো রান করতে পারেননি। আসাদ শফিক আগেরদিনের সাথে আর ৫ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন (৬৫)। এছাড়া হারিস সোহেল (৭৫) ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
এর আগে ওপেনার শান মাসুদ ১০০ এবং অধিনায়ক আজহার আলী ৩৪ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি ৩টি করে, তাইজুল ইসলাম ২টি এবং এবাদত হোসেন ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সংগ্রহ থামে ২৩৩ রানে। তারা খেলতে পারেন ৮২ ওভার ৫ বল। আলোর স্বল্পতার কারণে দিনের বাকি খেলা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। সেই সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৪), লিটন দাস (৩৩), অধিনায়ক মুমিনুল হক (৩০), মাহমুদউল্লাহ (২৫) ও তাইজুল ইসলাম (২৪) ছাড়া আর কেউ বলার মতো কোনো অবদান রাখতে পারেননি।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪টি, মোহাম্মাদ আব্বাস ও হারিস সোহেল ২টি করে এবং নাসিম শাহ ১টি উইকেট লাভ করেন।