আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার একাধিক ধারা ভাঙায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়াবিক্রমা।
তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরেক খেলোয়াড়কে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিবরণ দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ফিক্সিং-বিষয়ক কথোপকথন মুছে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত আগস্ট মাসে জয়াবিক্রমার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও বুধবার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ করে আইসিসি।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়াল আইসিসি
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইনে বলা আছে, কোনো ক্রিকেটার যদি জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানো কিংবা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান, তাহলে দ্রুত তা আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। তা না করলে বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী এই ধারা ভাঙার শাস্তি সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
জয়াবিক্রমাকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের শাস্তি স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম ছয় মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নতুন করে আর কোনো অপরাধ না করলে বাকি সময়ের শাস্তি এড়াতে পারবেন তিনি। এতে করে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন তরুণ এই স্পিনার।
আগস্টে জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। সে সময় অভিযোগের জবাব দিতে তাকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়। ৬ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়। শুরুতে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
২০২১ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জয়াবিক্রমার। এরপর থেকে লঙ্কানদের জার্সিতে তিনি ৫টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেন জয়াবিক্রমা। বাঁহাতি এই স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মে মাসে, বাংলাদেশের বিপক্ষে।