আগামী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় থাকছে তো লেভারকুজেন? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ কি তারা আসলেই পাবে? বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্যের অবসান কি করতে পারবে ক্লাবটি? বায়ার্নকে হারাতে পারবে তো তারা? অপরাজিত থেকে মৌসুম শেষ করার স্বপ্ন কি তাদের পূরণ হবে?
একে একে সবগুলো প্রশ্নের জবাব দিয়ে জয়যাত্রার এক অনন্য কীর্তি গড়েছে শাবি আলোনসোর বায়ের লেভারকুজেন। বুন্দেসলিগার সবগুলো ম্যাচ অপরাজিত থেকে জার্মানির টপ ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো কোনো দল হিসেবে ‘অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা। ১১ বছর ধরে লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও এমন কীর্তি গড়তে পারেনি তারকাখচিত বায়ার্ন মিউনিখ।
এর ফলে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ৩৮ ম্যাচের ২৮টিতেই জয় পেয়েছে লেভারকুজেন; ড্র করেছে মাত্র ৬টিতে। ৯০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে তারা।
তবে শিরোপা নিশ্চিত করার পরই জয়ের ক্ষুধা মরে যায়নি ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস-জেরেমি ফ্রিম্পংদের। বরং তার পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড অতিক্রম করে চলেছে দলটি।
গত সপ্তাহে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৫০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে লেভারকুজেন। গতরাতে আউগসবুর্গের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের পর সে সংখ্যাটা এখন ৫১
তাদের সামনে এখন উঁকি দিচ্ছে আরও দুর্বার কিছু করে দেখানোর সম্ভাবনা। লিগে সফল পথচলা থামলেও চলতি মৌসুমে আরও দুটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে শাবির শিষ্যরা।
আগামী ২৩ মে আতালান্তার বিপক্ষে ইউরোপা লিগ এবং ৩ দিন পর কাইজারস্লাউটার্নের বিপক্ষে জার্মান কাপের ফাইনালে লড়বে অ্যালেক্স গ্রিমালদো-প্যাট্রিক শিক-ভিক্তর বনিফেসদের লেভারকুজেন। ওই দুই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ জিতলে এমন উচ্চতায় উঠবে জার্মার্নির এই দলটি, যা আগে কেউ কখনও করে দেখাতে পারেনি। ইউরোপীয় ফুটবলের প্রথম দল হিসেবে সব প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থেকে মৌসুম শেষ করবে লেভারকুজেন।
তাই ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে দর্শক, ফুটবলবোদ্ধা ও সমালোচকরা আবারও একটি প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় থাকবে- লেভারকুজেন কি ‘নেভারলুজেন’ হতে পারবে?