সোমবার চট্টগ্রামে সারাদিনই বৃষ্টি ছিল। দুপুরে একবার ২.১ ওভার খেলা হয়। এরপর আবারও বৃষ্টি নামে। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে আবারও খেলা শুরু হয়।
সর্বোচ্চ ১৮.৩ ওভার খেলার কথা ছিল। বাংলাদেশের হাতে ছিল ৪ উইকেট। কোনোভাবে এই ওভার কাটিয়ে দিলেই অন্তত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো বাংলাদেশ।
কিন্তু সাকিব আল হাসান প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এছাড়া তাইজুল ইসলামকে ভুল আউট দিলে ড্রয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের।
শেষ পর্যন্ত ১৫.১ ওভার খেলেই শেষ চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। স্কোর বোর্ডে জমা হয় ১৭৩ রান। ফলে ২২৪ রানের বড় পরাজয় সঙ্গী হয় টাইগারদের।
এদিকে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেন রশিদ খান। ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান তিনি।
পরিকল্পনা ছিল স্পিন দিয়ে সফরকারী আফগানিস্তানকে বধ করবে বাংলাদেশ। সেই অনুযায়ী মঞ্চও তৈরি করা হয়। স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি এবং বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়াই মাঠে নামে টাইগাররা।
কিন্তু হিতে বিপরীত হলো। উল্টো আফগানিস্তানের স্পিনেই দিশেহারা হয়ে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি হেরে গেল টাইগাররা।
এর আগে আফগানিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রানে অলআউট হয়। সাকিব ৩টি এবং মিরাজ, নাইম ও তাইজুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২০৫ রান। এতে ১৩৭ রানের লিডসহ টাইগারদের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৯৮ রান।