তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে মাঠে নেমেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছে ভারতের বোলাররা। ফলে অল্প রানেই টাইগারদের বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।
গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমে ভারতকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুতে ব্যাট করে এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭। এছাড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১২।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের ‘তুরুপের তাস’ হবে কে?
এদিন ব্যাট হাতে বলতে গেলে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি।
ইনিংসের প্রথম ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের চতুর্থ বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেই পরের বলে কভার অঞ্চলে রিংকু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।
দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বোল্ড করে ফেরান আর্শদীপ।
এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে ১২ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান হৃদয়ও। পাঁচ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজে আসার পর টাইগার সমর্থকরা লম্বা ইনিংসের আশা করলেও মাত্র ১ রান করে অভিষিক্ত মায়াঙ্ক যাদবের বলে আউট হন তিনি। ফলে ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারত সিরিজ দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু চান শান্ত
এরপর দলীয় ৫৭ রানের মাথায় জাকের আলী আউট হলে মিরাজের সঙ্গে কিছুক্ষণ খেলে ৭৫ রানের মাথায় ফিরতে হয় শান্তকেও। অবশ্য ফেরার আগে তখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
উইকেটের একপাশ আগলে রাখা মিরাজকে ১১ ও ১২ রান করে তুলে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ফেরেন যথাক্রমে রিশাদ ও তাসকিন। এরপর শরীফুল শূন্য ও মোস্তাফিজ এক রান করে আউট হলে ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। অন্যপ্রান্তে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
ভারতের হয়ে এদিন ছয়জন বোলিং করেছেন। তার মধ্যে নীতিশ রেড্ডি ছাড়া সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ ও বরুণ।