আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আয়োজক পাকিস্তান। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে নিজেদের দল পাঠাবে না বলে আইসিসিকে এক চিঠিতে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভারত। এরপর ভারতের কাছ থেকে ওই চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে পিসিবিকে মেইল করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির কাছ থেকে এ মেইল পেয়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের থেকে শুরু করে পিসিবি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পিসিবির এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি পরিস্কার করতে আইসিসিকে একটি চিটি পাঠিয়ে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। (আইসিসির) মেইলটি ফরোয়ার্ড করে (পাকিস্তান) সরকারের কাছে থেকেও সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
রাজনৈতিক কারণে সরকারের নির্দেশে ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তান ভ্রমণ করেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। একই সময় থেকে ভারতে আসেনি পাকিস্তান দলও। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সবশেষ ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তখনও নিরাপত্তা শঙ্কা ও রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এরপর উপায়ান্তর না পেয়ে একটি হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এ ধরনের হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে অস্বীকৃতির কথা জানিয়েছে পিসিবি।
শুধু ভারতই নয়, নিরাপত্তা শঙ্কায় এর আগে শ্রীলঙ্কায় খেলতে যায়নি অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ফলে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ওই দুই ম্যাচে লঙ্কানদের বিজয়ী ঘোষণা করে পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল।
এখন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের দাবি, ভারত যদি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে পাকিস্তানকে বিজয়ী ঘোষণা করে পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হোক। আগেও যেহেতু এটা হয়েছে, এবারও সেই নিয়মেই সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন তারা।