ভিনিসিউস ব্যালন দ’র পাচ্ছেন না জেনে অনুষ্ঠান বয়কট করায় রিয়াল মাদ্রিদের কড়া সমালোচনা করেছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। তার মতে, অসংখ্য সাংবাদিকের ভোটে ‘স্বচ্ছ পদ্ধতিতে’ ফ্রান্স ফুটবলের সেরা ফুটবলার বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিৎ হয়নি মাদ্রিদের ক্লাবটির।
সোমবার রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে ৫০ জনের একটি দলের প্যারিসে যাওয়ার কথা জানায় স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকা মার্কা। সবকিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল, কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।
প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটাভুটির ভিত্তিতে ব্যালন দ’রের প্রথম ১২ জনের একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেও শীর্ষে দেখা যায় ভিনিসিউসের নাম। এর কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরক খবর জানান ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফাব্রিৎসিও রোমানো। সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভিনিসিউস ব্যালন দ’র পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
এর খানিক পর ব্যালন দ’র অনুষ্ঠান বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ। ফুটবল-বহির্ভূত কারণে ভিনিসিউসকে ব্যালন দ’র থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে অনুষ্ঠান বয়কট করে ক্লাবটি। এর ফলে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের জন্য ক্লাবটির কেউ প্যারিসে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
শেষ পর্যন্ত সেই খবরই সত্যি হয়। ভিনিসিউসকে পেছনে ফেলে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কার ওঠে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতে।
তবে বর্ষসেরা ক্লাব ও সেরা কোচের পুরস্কার পায় রিয়াল মাদ্রিদ ও দলটির ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
রিয়াল মাদ্রিদের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট হননি লা লিগা সভাপতি তেবাস। তার মতে, নিজেদের পুরোনো চেতনা হারিয়ে ফেলেছে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার সফলতম ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লেকিপের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি রিয়াল মাদ্রিদ ভক্ত। এই ক্লাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হচ্ছে ভদ্রতা এবং হারের পরও (প্রতিপক্ষের সঙ্গে) হাত মেলানো। আমার মনে হয়, রিয়াল মাদ্রিদ অনেক আগেই সেই চেতনা হারিয়ে ফেলেছে।”
“যেখানে ১০০ জন সাংবাদিক ভোট দিয়েছেন, সেখানে তাদের উচিত ছিল ফ্রান্স ফুটবলের স্বচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন না তুলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা। রিয়ালের ‘অন্যায়ের শিকার হওয়া ভাবটি’ অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত।”