টেস্ট ক্রিকেটে আগারওয়ালের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি এটি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২১৫ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসটি ৮টি ছক্কা ও ২৮টি চারে সাজান আগারওয়াল। আগারওয়ালের ইনিংসটি ৩২ রানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু ইমরুল কায়েস সহজ ক্যাচ ফেলে দিলে জীবন পান আগারওয়াল।
অবশ্য বাংলাদেশের মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জীবন পেয়ে তাদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিলেন কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়।
এদিকে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে চলেছে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান। বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৪ জনকেই আউট করেন পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। একটি করে উইকেট পান মিরাজ ও এবাদত হোসেন।
আন্তর্জাতিক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো টেস্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু শুরুটা রাঙিয়ে রাখার মতো হয়নি। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এবং ভুলে ভরা ছিল টাইগারদের প্রথম ইনিংস। একের পর এক ভুল শটে যেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা। একাধিকবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি কেউ কেউ।
তাইতো বৃহস্পতিবার ইন্দোরে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৮.৩ ওভার। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৮৬ রান। শুরুতেই রোহিত শর্মার (৬) উইকেটটি তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৭ এবং চেতেশ্বর পূজারা ৪৩ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ বরাবরই কঠিন। সেটা যদি হয় তাদের নিজেদের দেশে। কিছুদিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকা হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নতুন অধিনায়ক মুমিনুলের এ সিদ্ধান্তকে সফল করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১২ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস (৬) এবং সাদমান ইসলাম (৬)।
দলকে যখন যোগ্য সঙ্গ দেয়ার কথা তখন মোহাম্মদ মিথুনও (১৩) কাটা পড়লেন মোহাম্মদ শামির বলে লেগ বিফোর হয়ে। দলীয় স্কোর তখন ৩১। প্রথম সারির তিনজন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন সাজঘরে। দলের হাল ধরলেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দুজন সফল ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম।
ভারতীয় দলের পেস আক্রমণ এবং রবিচন্দন অশ্বিনের স্পিন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। দুজন জীবনও পেয়েছেন। ৬৮ রানের জুটি গড়েন তারা।
নিজের ব্যক্তিগত ৩৭ রানে অশ্বিনের বাঁক নেয়া একটি বল যেন বুঝতেই পারলেন না মুমিনুল। ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিলেন বলটি। সাথে সাথে স্ট্যাম্প উপড়ে গেল।
এরপর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও শুরুটা করলেন নড়বড়ে। একবার জীবন পেয়েও ইনিংসটা লম্বা করতে পারলেন না। দলীয় স্কোর যখন ১১৫ তখন অশ্বিনের বল সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন রিয়াদ (১০)। একপ্রান্ত আগলে রেখে আশা দেখাচ্ছিলেন মুশফিক। তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন লিটন দাস।
কিন্তু দলীয় ১৪০ রানে শামির দুর্দান্ত বলে উইকেটের বেল পড়ে যায়। মুশফিক (৪৩) আউট হলে বাকিরা ছিলেন আশা যাওয়ার মিছিলে। লিটন (২১), মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ফেরেন দ্রুতই। অবশ্য মিরাজের লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। রিভিউ থাকলেও নেননি তিনি।
ভারতের হয়ে মোহাম্মাদ শামি ৩টি এবং উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা ও রবিচন্দন অশ্বিন ২টি করে উইকেট নেন।