তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে প্রথম দেশ হিসেবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন বিশ্বে এক অনন্য নজির।’
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৩তম সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করা হবে। যথাযথভাবে ও যথাসময়ে চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্তির লক্ষ্যে মনিটরিং ও সুপারভিশন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী এ সময় জানান।
সভায় ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে ১৮টি চলমান প্রকল্পের আন্তখাত সমন্বয় এবং কাজের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি বিষয়ক সংশোধিত প্রস্তাব এবং ৪০টি প্রকল্পের সময় বাড়ানোর আবেদন অনুমোদন করা হয়।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নতুন প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পের মেয়াদ অনুমোদিত মেয়াদ বা বর্ধিত মেয়াদ হতে এক বছর বৃদ্ধি এবং চলমান যেসব প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে সমাপ্ত হয়েছে সেসব প্রকল্পের মেয়াদ অনুমোদিত মেয়াদ হতে এক বছর বৃদ্ধির আবেদন অনুমোদন করা হয়। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে অনুমোদিত চলমান প্রকল্পের কাজের ব্যত্যয় বা অনিয়ম হলে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে পিপিআর অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় বক্তব্য দেন।