‘তিনি (তুরিন) অপরাধীর সাথে কথা বলেছেন এবং তার রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। রেকর্ডে ব্যবহৃত কণ্ঠটি যে তার সেটি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ করা হয়েছে,’ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন তিনি।
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘তুরিন অফরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি একজন আসামির সাথে আলাপ আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। আলাপ আলোচনার সময় এও বলেছিলেন যে এই মামলার (মানবতাবিরোধী অপরাধ) কোনো মেরিট নেই। সেই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। কথোপকথনের টেপ রেকর্ড ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর আমাদের কাছে পাঠান।
তিনি বলেন, তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে এর আগে তিনি যেভাবে মামলা পরিচালনা করেছেন তাতে আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট। যে কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলো তার আগ পর্যন্ত তিনি নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। ‘কিন্তু এ ব্যাপারে আমি জানি না তার সেন্স অব জাজমেন্ট কেন কাজ করেনি,’ বলেন মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তার সাথে কথা হয়েছে। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি যদি চ্যালেঞ্জ করতে চান করতে পারবেন।
শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে সোমবার তুরিন আফরোজকে অপসারণ করেছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের উপ সলিসিটর (জিপি/পিপি) এস এম নাহিদা নাজমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচারণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হলো।’
১১ নভেম্বর থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তুরিন আফরোজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।