মঙ্গলবার অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ অর্থ মন্ত্রনালয়ের এ চার বিভাগের সচিবদের সাথে এক ভার্চুয়াল সমন্বয় বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
বৈঠকের শুরুতে অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ায় এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এ চারটি বিভাগ আমরা একটি টিম হিসেবে কাজ করছি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলিাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সকল প্রকার জটিলতা নির্ধারণে আমরা প্রতি তিন মাস পর পর একটি সমন্বয় বৈঠক করে থাকি।
‘কোভিড-১৯ এর কারণে গত কয়েকমাস আমরা বৈঠক করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিন মাস পর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে তাই মাঝে মাঝে আমরা আমাদের পারফরমেন্স রিভিউ করব এবং কীভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে বিষয়ে খোলামেলা আলাপ আলোচনা করব। কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতা তৈরি হয় আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।’
বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশগ্রহণ করেন।
সচিবরা আলোচনায় অংশ নিয়ে চার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।