তিন বছর আগে দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারি) বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি এবং শাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুর হক।
আইনজীবী মনজুর বলেন, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে তার মক্কেল শাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে একটি অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকার উত্তরায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার প্রাইভেটকারের সিটবেল্টের নিচ থেকে 'মেইড ইন জাপান অ্যান্ড চায়না' ট্যাগযুক্ত আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
অস্ত্রটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে দুটি দেশের নাম একটি অস্ত্রতে লেখা যায় না এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না (উদ্ধার এবং মামলা দায়ের করা)।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত অস্ত্র আইন-১৮৭৮ এর দুটি ধারায় তাকে যাবজ্জীবন ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায়ে আদালত উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে উল্লেখ করে এবং বিবাদী শাহেদ এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন।
২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানকালে ভুয়া কোভিড টেস্ট রিপোর্ট, কোভিড চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের চিত্রও উঠে আসে।
পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।