অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার সময় লুট হওয়া অস্ত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জমা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র আছে, আগামী সাতদিনের মধ্যে তারা নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন তাহলে দুটি অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। একটা অবৈধ অস্ত্র, আরেকটা সরকারি নিষিদ্ধ অস্ত্র বহনের।’
আওয়ামী লীগ আবার সংগঠিত হচ্ছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল পুনর্গঠন করতে পারে এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না।’
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে পুলিশের চাকরি থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগকে বলব এমন কিছু করবেন না যাতে জীবন বিপন্ন হয়। আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবে দলকে গুছিয়ে নিন। নির্বাচন হলে অংশ নিন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন। তবে প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে।
দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এটা অনেক বড় পার্টি। আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বায়ান্ন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদান ব্যক্তিগত কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ। আপনারা আসুন। যারা রেগুলার করতে চান এখানে মারামারি করে লাভ নেই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আর মৃত্যু চাই না। অলরেডি ৪০০ থেকে ৫০০ হয়তো তারও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আমরা আর্মিকে নিষেধ করেছি ওপেন ফায়ার না করতে। কারণ আপনি কাকে মারবেন। পুলিশ দিয়ে কাকে মেরেছেন। পুলিশকে দিয়ে মেরেছেন আপনার সন্তানকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থে আপনারা এত বড় একটা দলকে নষ্ট করবেন না। আপনার নষ্ট করার কোনো অধিকার নেই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। কেউ যদি মনে করেন আবার কাউন্টার রেভ্যুলেশন করে আসবেন। তা করতে হলে হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাতে হবে। যদি সেই দায়িত্ব নিতে চান নেন, তাহলে আমার কিছু করার নেই।’
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ পর কাজে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ