কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে সেখান থেকে জনগণ ও অর্থনৈতিক কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রথমে চিন্তা করতে হবে এ প্রকল্প থেকে আমাদের কী লাভ হবে, এটি দেশের জনগণের কতটা উন্নয়ন করবে এবং এটি দেশের জনগণের কল্যাণে কতটা কাজে লাগানো যাবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৭ মে) সরকারি বাসভবন গণভবনে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মসূচির রূপরেখা উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে মাথায় রাখতে হবে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কতটুকু গতি বাড়বে, স্থানীয় জনগণ কতটুকু উপকৃত হবে এবং একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বা একটি সেতু নির্মাণ করা হলে কী ধরনের সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত হওয়ায় দেশবাসী এখন এর সুফল ভোগ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছে এবং সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এভাবেই বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করা। আমরা রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন: আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী