বাংলাদেশ ব্যাংক 'ছয় মাসের মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলস' এর ওপর ভিত্তি করে এপ্রিল মাসের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদহার ঘোষণা করেছে।
রবিবার(৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
স্মার্ট ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে মার্চ মাসে প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এপ্রিলে ঋণ চুক্তি সইয়ের সময় ব্যাংকগুলোকে স্মার্ট নম্বরে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করার অনুমতি দেওয়া হবে, যা মার্চে ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
ফলে এপ্রিল মাসে ব্যাংক ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ, একটি ব্যাংক ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ তদারকি ফি নিতে পারে।
মার্চ মাসে ব্যাংক ঋণের সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদের হার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মার্চে স্মার্ট রেট প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর 'স্মার্ট' মার্জিন রেট শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেব্রুয়ারিতে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ মুনাফা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে মুনাফা সংযোজন হবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ, যা মার্চে ছিল আড়াই শতাংশ।
সাধারণত ব্যক্তিগত ও ভোগ্যপণ্য যেমন গাড়ি ঋণ, গৃহনির্মাণ ঋণ এবং রেফ্রিজারেটর, টিভি, কম্পিউটারসহ শিক্ষা ঋণ ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ হলো ভোক্তা ঋণ।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানো ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর কোনো বিকল্প নেই।
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ থেকে ৬ শতাংশে না নামিয়ে আনা পর্যন্ত সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, তবেই সুদের হার স্থিতিশীল হবে।
এই সময়ের মধ্যে, শিল্প এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে তাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। এই কষ্টের মধ্য দিয়ে অর্থনীতি শক্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন