করোনা ভাইরাসের নতুন উপধরন বিএফ-৭ ঠেকাতে দর্শনার জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের অতি সতর্কতার সঙ্গে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে নির্দেশনা আসার পর চেকপোস্টে সতর্কতার সাথে এ পরীক্ষা চলছে।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করলে করোনা টিকার বুস্টার দেয়া না থাকলে তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা টেস্ট করার পর নেগেটিভ সনদ নিয়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার পর ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছেন। সোমবার ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৯৭ জন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৮৯ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাইম বলেন, দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুইশ’ ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও প্রায় প্রতিদিনই ভারত থেকে মালবাহী ট্রেন দর্শনা বন্দরে আসে।
প্রতিটি পাসপোর্টধারী যাত্রী যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, তাদের করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। নেগেটিভ হলেই তবে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। এখনো পজিটিভ পাওয়া যায়নি, পেলেই আমরা কোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করবো।
আমরা করোনাভাইরাসের নতুন উপধরণের বিষয়ে দুদিন আগেই সর্তক থাকার ব্যাপারে নির্দেশনা পায়, তাই সতর্কতার কমতি নেই।
দর্শনা চেকপোস্টে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদ ও উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোখলেসুর রহমান জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭ শনাক্তে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমরা নিয়মিত তা করছি।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট মীর্জা কামরুল হাসান জানান, দর্শনা স্টেশনে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয়দিন যাতায়াত করে। দর্শনা স্টেশনে মাত্র ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে, যেখানে শুধুমাত্র খাবার পরিবেশন ও ক্রু বদলানোর কাজ শেষে স্টেশন ত্যাগ করেন। এছাড়া ভারতীয় মালবাহী ট্রেনে যারা চালক ও সহকারী হিসেবে আসেন তারা মাত্র আধাঘন্টার মধ্যেই দর্শনা ছেড়ে চলে যায়।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফারহানা ওয়াহিদ তানি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই আমরা আগে থেকেই সতর্কতার সঙ্গেই সীমান্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করে আসছি। আর আমরা সর্তকও আছি।