কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কৃষি যান্ত্রীকরণ প্রকল্পের আওতায় হারভেস্টার মেশিনসহ অন্যান্য ৪০ হাজার কৃষি যন্ত্র আমদানি ও বিতরণে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সেগুন বাগিচার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানায় সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম।
দুদক জানায়, এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট টিমের একটি অভিযানে এ অনিয়ম উঠে আসে।
সংস্থাটি জানায়, এনফোর্সমেন্ট টিম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কার্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে হারভেস্টার মেশিন বিতরণ, প্রকৃত কৃষক নির্ধারণে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়, কারসাজির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ মেশিনের দাম আদায়ের জন্য প্রকৃত দামের চেয়ে ৩ গুণ বেশি অর্থ আদায়, প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ইত্যাদিসহ নানা অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
তথ্যমতে, প্রকল্পের ৩টি ধাপের ১ম পর্যায়ে (২০০৯-১৩)বরাদ্দ ১৫০কোটি, দ্বিতীয় পর্যায় (২০১৪-২০) বরাদ্দ ৩৩৯ কোটি এবং তৃতীয় পর্যায়ে (২০২০-২৪) বরাদ্দ হয় ৩২০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পরমাণু প্রকল্প দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
দুদকের টিম লিডার সাজ্জাদ জানান, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণে সরকার ভর্তুকি দিবে সমতল এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ আর হাওড় এলাকার জন্য ৭০ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, ‘মোট ১২ ধরণের ৪০ হাজার কৃষি যন্ত্র কাগজ-কলমে বিতরণ দেখানো হলেও বাস্তবে সেগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে বেশি হারভেস্টার বিতরণ দেখানো হয়েছে নেত্রকোণায়। জেলাটিতে বিতরণের দেখানো হয়েছে ৯০০টি, যা অন্যান্য জেলার থেকে সংখ্যায় অনেক বেশি এবং সন্দেহজনক।’
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও বাংলা মার্ক এবং আদি লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি থেকে মেশিন কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় অভিযোগের বিষয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক