ভারতের বিতর্কিত আদানি গ্রুপের কাছ থেকে সরকার কেন বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চুন্নু বলেন, ‘বেশি দামে কেন আমরা আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আনব, আমরা যদি নিয়ে আসি, সরকারের উচিত তা জনগণের স্বার্থে কিনা তা পুনরায় পরীক্ষা করা।’
তিনি বলেন, আদানি গ্রুপ যে দেড় হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে তা নিয়ে ভারতে এত সমালোচনা হওয়ায় তিনি বিস্মিত।
‘তাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিটের দাম ২৪ দশমিক ১০ টাকা। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আদানি গ্রুপের কাছ থেকে এত বেশি দামে বিদ্যুৎ আনতে হবে কেন? যদি আমদানি করা হয়, তাহলে তা জনগণের স্বার্থ আছে কি না তা সরকারের পুনরায় পরীক্ষা করা উচিত।’
চুন্নু উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘আমরা গ্রামে বিদ্যুতের লাইন পেয়েছি। সমস্যা হলো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এখতিয়ারে ছিল, এখন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তা নিজের হাতে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসলে প্রতি মাসেই দাম বাড়বে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার জানুয়ারিতে দুই দফা দাম বাড়িয়েছে। ‘যদি এটি সহনশীলতার স্তরের নিচে না হয়, তবে মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবে কি না সন্দেহ আছে।’
চুন্নু বলেন, পায়রা পাওয়ার স্টেশন থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৩ দশমিক ৩৭ টাকা এবং বার্ষিক ক্যাপাসিটি চার্জ তিন হাজার টাকা। এস আলম কোম্পানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ৩৯ টাকা এবং ক্যাপাসিটি চার্জ পাঁচ হাজার টাকা।