কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই ও এ মাসের শুরুতে দেশজুড়ে হওয়া সহিংসতার তদন্তে আগামী সপ্তাহে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাবে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ সিদ্ধান্ত জানান।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ।
ফোনালাপের সময় সংকটকালে বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান।
তিনি বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি (সরকারের) এই রূপান্তরকে সফল করবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নেতৃত্বে ছাত্র বিপ্লবে ‘হত্যাকাণ্ডের’ তদন্ত শিগগিরই শুরু: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান করবে। তবে আদেশ, বিশদ বিবরণ এবং কীভাবে দলটি সরকারের সাথে কাজ করবে- এই সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।’
সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মাঝে মধ্যেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ সনদে নিরাপত্তা পরিষদকে তদন্ত ও মধ্যস্থতা, মিশন প্রেরণ, বিশেষ দূত নিয়োগ বা মহাসচিবকে তার অফিস ব্যবহারের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে 'গণহত্যার' তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি