ইউএনবির সাথে আলাপকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বায়রোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর তারা এ কমিটি গঠন করেন।
উপাচার্য বলেন, রবিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সাথে আরও আলোচনার পর কমিটি এ বিষয়ে কাজ শুরু করবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কমিটি গঠন করায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তারা এ নিয়ে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে।
তিনি বিএসএমএমইউ দলকে এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার আহ্বান জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, তাদের কিট আমদানি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগ্রহ দেখিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের করোনাভাইরাস শনাক্তের র্যাপিড টেস্টিং কিট পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানান, বিএসএমএমইউ বা আইইডিসিআরে কিটগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা যেতে পারে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ২৫ এপ্রিল তাদের কিটগুলো বিএসএমএমইউ এবং ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে হস্তান্তর করে।
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একটি ‘সহজ, কার্যকর ও সস্তা’ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ সংস্থা গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ‘গণস্বাস্থ্য র্যাপিড ডট ব্লট’ নামে পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৭ মার্চ জানায়, তারা একটি পরীক্ষার কিট তৈরি করেছে যা ১৫ মিনিটের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে পারে।