কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে চলমান পরিস্থিতিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ উল্লেখ করে ভারত আশা প্রকাশ করেছে যে, শিগগিরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত মনে করে, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আশাবাদী যে, পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারতীয় শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সাহায্য করায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার আমরা গভীর প্রশংসা করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিশ্চিত করেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘(পশ্চিমবঙ্গের) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি বলতে চাই, তার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তার বক্তব্য কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এর আগে, গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমবার এটিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের মুখপাত্র সেদিন নয়া দিল্লিতে বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের তারা সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, ভারতের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী ও ১৫ হাজার নাগরিক বাংলাদেশে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে দুই মৃত্যু নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ভিত্তিহীন দাবির’ সমালোচনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও তারা অবগত।
বাংলাদেশে বসবাসরত শিক্ষার্থীসহ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি পরামর্শমূলক নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। তাদের নিরাপত্তা ও যেকোনো প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা কার্যকর হেল্পলাইনও চালু করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন নিয়মিত আপডেট জানাবে।