বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি টেকসই বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'জ্বালানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই প্রয়োজন মেটাতে দ্রুত বহুমাত্রিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক মতবিনিময় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে তৃতীয় স্থান অর্জন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদনের বিষয়গুলো যত বেশি বাস্তবায়িত হবে, কাজের গুণগত মান তত বাড়বে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় ভবিষ্যতে তহবিলের ব্যয় বাড়বে। কিন্তু ভালো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে সেটা কোনো ব্যাপার হবে না।
তিনি অর্থনীতির পরিবর্তিত আকার ও প্যাটার্নের সাথে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। ভবিষ্যতে প্রযুক্তি সম্পর্কে সবার অভিন্ন ধারণা থাকা কাম্য।
আরও পড়ুন: শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
উল্লেখ্য, এপিএ বাস্তবায়নে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১০০টির মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৩ নম্বর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে এটি ছিল সপ্তম স্থানে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০২১-২১ অর্থবছরে ১০৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রীর কাছে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা চাইলেন নসরুল হামিদ