গুলশান নগর ভবনে ‘আমরা বলতে চাই’ শিরোনামে কিশোর-কিশোরীদের সাথে সংলাপে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগ এই সংলাপের আয়োজন করে যেখানে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত কিশোররা অংশ নেয়।
অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশ দূষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি এবং বস্তি আবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মেয়রের সাথে তাদের মতামত প্রকাশ করে।
সিটি করপোরেশনের পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই এবং যেগুলো আছে সেগুলো মেলার জন্য দখল করা হয়েছে, মোহাম্মদ হাসান নামে এক কিশোরের এমন কথায় মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কোনো মাঠেই মেলা হবে না। আমরা এর অনুমতি দেব না। তোমরা (শিশুরা) সেগুলো ব্যবহার করবে। যদি কেউ কোনো সমস্যা তৈরি করে এবং তোমাদেরকে খেলতে না দেয় তবে ৩৩৩ নম্বরে কল করবে এবং অভিযোগ দেবে। আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেব।’
এক কিশোরী খেলার মাঠ এবং পার্কগুলোতে নিরাপদ পরিবেশের দাবি করলে তিনি বলেন, তারা ২৪টি খেলার মাঠ এবং পার্ক সংস্কার ও উন্নয়ন করছে, যার মধ্যে ১৭টিতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে। ‘বনানী-১৮ খেলার মাঠে কেবল নারী ও শিশুরা খেলবে।’
আতিকুল বলেন, কোনো খেলার মাঠের একটি নির্দিষ্ট অংশ কিশোর-কিশোরীদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আলাদা করা যায় কিনা তা তারা দেখবেন।
হাসপাতালে বা ফার্মাসিগুলোতে পুরুষ ডাক্তারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকায় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হলেও তা বলা যায় না উল্লেখ করে মরিয়ম আক্তার মেঘলা নামে এক কিশোরী হাসপাতাল ও ফার্মাসিতে আরও বেশি নারী চিকিৎসক এবং নারী ফার্মাসিস্টের দাবি করে।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন জানান, সিটি করপোরেশনের প্রসূতি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক রয়েছে। ‘আপনি সেখানে আসতে পারেন এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরাও আপনাকে দেখবেন।’
এসময় মেয়র মেয়েদের সাহসের সাথে কথা বলার এবং তাদের অধিকার দাবি করার পরামর্শ দিয়ে তাদের আশ্বাস দেন যে তারা আজ যে দাবি করেছে তা তারা সমাধান করবেন।
সংলাপ শেষে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে মেয়র গুলশানে বিচারপতি শাহাবউদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন।