ডিবি হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পান এই ছয় সমন্বয়ক।
সমন্বয়কদের একজন রিফাত রশিদ এক ফেসবুক পোস্টে তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেয় ডিবি।
এর আগে রবিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (বুধবার তাকে ডিবি থেকে বদলি করা হয়েছে) হারুন অর রশীদ বলেন, 'নিরাপত্তাজনিত কারণে' তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক ভিডিও বার্তায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম রবিবার রাতে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তবে পুলিশ হেফাজতের বাইরে থাকা সমন্বয়করা আন্দোলনের সমর্থকদের বিভ্রান্তি দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারা সে সময় বলেন, এরকমই ঘটবে তা তারা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাই তারা পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাদের সহকর্মী সমন্বয়কারীদের যেকোনো বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলেন। কার্যত অভিযুক্তকে চাপের মুখে এই বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।
একই দিন হারুনুর রশীদের ফেসবুক পেইজে খাবার টেবিলে বসা সমন্বয়কদের একটি ছবি পোস্ট করেন। এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলামের ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করা হয়।
এই ঘোষণার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়ক বিবৃতি দিয়ে তাদের নয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।