রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দী আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমরা আজ তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষতার বিকল্প নেই। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিতে হবে।’
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) পঞ্চম সমাবর্তনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চতর স্তরে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা অত্যন্ত জরুরি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ‘ভিশন ২০২১’ তথা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
শিক্ষার্থীদের পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য নিজেদের আরো যোগ্য করে তৈরির গুরুত্ব দিনদিন বেড়েই চলেছে।
হামিদ বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে বিশ্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলায় আমাদের শ্রমবাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। এ যুগে চাহিদা ও কর্মভিত্তিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ১১টি অধ্যায় সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু: অ্যা প্রোফাইল ইন লিডারশিপ’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর এ ধরনের গবেষণা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’
বিইউপির কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিইউপি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমাবর্তনে এক হাজার ৭৭৮ জনকে সনদ প্রদান করা হবে। তার মধ্যে অসাধারণ ফলাফলের জন্য ১২ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ২২ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সেই সাথে সাতজনকে পিএইচডি সনদ দেয়া হয়।
সমাবর্তনে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল-বারী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালের ৫ জানুয়ারি দেশের ৩০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিইউপি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।