তরুণ প্রজন্ম
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে: খাদ্যমন্ত্রী
তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বিশেষ করে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানাতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।
তিনি আরও বলেন, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া বায়ান্ন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। এ দলের জন্মকাল থেকে শুরু করে এই ৭৫ বছরের অর্জন সেই সত্যের সাক্ষ্য বহন করে।
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রোহানি সুলতান গামা, নওগাঁ ৬ আসনের সংসদ সদস্য আইনজীবী ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২ বারের বেশি চাল ছাঁটাই করা যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী হতে হবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অতিরিক্ত মাত্রায় মূল্য না দিয়ে পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি সফট স্কিলে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক দক্ষতানির্ভর কাজের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সেই দক্ষতা অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, দক্ষতার জায়গায় আমরা যাতে বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেশন নিলে দেশে ও বাইরে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য আগে জানতে হবে। জানা ও পারা থাকতে হবে। জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দক্ষতাগুলো আয়ত্ব করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা কর্ম উপযোগী হতে না পারলে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে নিয়ে যাবে। কী কারণে তারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো করছে, তা দেখতে হবে। গ্রাজুয়েটদের ভাষা দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের উপস্থাপন ও যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো বয়সে দক্ষতা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। পোস্ট গ্রাজুয়েট হলেও আপনাকে জ্ঞানের জগতে নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবতে হবে। লাইফলং লার্নার হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
৮ মাস আগে
খানবাহাদুর আহছানউল্লার জীবনাদর্শ তরুণ প্রজন্মের জন্য পাথেয়!
নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লাকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
এমনকি তার উদারতা, মানবতা সৃষ্টি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।
খানবাহাদুর আহছানউল্লা অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতেও অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র.)- এর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ্য হিসেবে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য শীর্ষক’ সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র.) রচিত গ্রন্থ ও কর্মজীবন থেকে তরুণদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেওয়ার আছে।
তিনি আরও বলেন, খানবাহাদুর আহছাউল্লার আদর্শ ও ধ্যান-ধারণাকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র) এর জীবন ও সমাজ গঠনে তার যে অবদান সেগুলো সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল যুগে খানবাহাদুর আহছানউল্লা সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ করে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, আমরা মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শামীমা ইসলাম তুষ্টি, এটিএন বাংলার সংবাদ পাঠিকা শারমিন মিশু।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
‘তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বিশ্বমানের করার দাবি’
১১ মাস আগে
তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশে স্মার্ট এগ্রিকালচারের ধারণার আবির্ভাব ও গ্রহণে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি দেশের জিডিপিতে (১২%) কৃষির অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের আরও উৎপাদনশীলতা প্রয়োজন। স্মার্ট কৃষি সময়ের প্রয়োজন এবং এর জন্য আমাদের একটি যান্ত্রিক চাষপদ্ধতিতে যেতে হবে।’
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে 'ট্রান্সফরমিং কনভেনশনাল এগ্রিকালচার টু স্মার্ট এগ্রিকালচার' (প্রচলিত কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর) শীর্ষক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের নীতি সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অপচয় কমাতে বহুমুখী কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থারও আহ্বান জানান তিনি। পরে তিনি পণ্যের বৈচিত্র্য, পানির দক্ষ ব্যবহার এবং জলবায়ু প্রতিরোধী ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামির সাত্তার বলেছেন, কৃষকদের উৎপাদনশীলতা, স্থায়িত্ব ও মুনাফা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ও শিক্ষায় বিনিয়োগ অপরিহার্য।
তার মতে, এগুলো বাংলাদেশকে স্মার্ট এগ্রিকালচারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি, আমাদের কৃষকদের প্রযুক্তি গ্রহণ এবং উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াও অপরিহার্য।’
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং ১৪৫টিরও বেশি দেশে প্রায় ৭০০ রকমের পণ্য রপ্তানি করেছে।
সাত্তার তার বক্তব্যে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, যা জিডিপির প্রায় শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ অবদান রাখে, বর্তমানে সীমিত মূল্য সংযোজন দক্ষতা, বৈচিত্র্যের অভাব, গুণমান নিশ্চিতকরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে কম সচেতনতার মতো চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশিকা
তিনি বলেন, ‘তদুপরি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স, মেশিন, ইন্টারনেট অব থিংস এবং নতুন কৃষি প্রযুক্তি শিখতে হবে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশকে স্মার্ট এগ্রিকালচারের দিকে যেতে হবে এবং এই ধারণার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে আমাদের স্মার্ট টেকনোলজির দিকে যেতে হবে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখন স্মার্ট টেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন আশীর্বাদ ব্যবহার করছে। অতএব, প্রতিযোগিতা করার জন্য আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারি না।
তিনি স্মার্ট কৃষিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি খাতকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও বাংলাদেশে এফএও’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডমেনিকো স্কাল্পেলি যথাক্রমে বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,আজকের তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শনিবার রাতে ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। আমাদের তরুণদেরকে ফাইভজির প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিনে,মেশিন লার্নিং,রোবট কিংবা এআইসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি কেবল ব্যবহারই করবে না, উৎপাদন করবে এবং রপ্তানিও করবে।
তিনি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অপারেশন কাজ আমাদের সন্তানরাই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছে। উৎক্ষেপণের পর এক মিনিটের জন্যও সমস্যা হয়নি।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিসিএস ও বেসিস-এর সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা আয়োজনকে একটি মাইলফলক কাজ উল্লেখ করে বলেন, সাত বছর আগে যে অভিযাত্রা বেসিস শুরু করেছিলো তা আজ আমাদের সন্তানদের প্রতিভা বিকাশের একটি বড় প্লাটফর্মে রূপান্তর লাভ করেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা বিশ্বের ৩১৩টি শহরে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রী এ ধরনের একটি আয়োজনের জন্য বেসিসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার এক কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি দুই লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।
এবার দেশের ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ১১০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে শীর্ষ ৫০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) -তে এবং বাকি ৬০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সহ সভাপতি আবু দাউদ খান, পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
তরুণ প্রজন্মের পথচলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একজন মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ১২ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। বাঙালি জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বিসর্জন দিয়েছেন তাঁর সমস্ত সুখ, শান্তি এবং পারিবারিক কল্যাণ। দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে দুঃসাহসিক আন্দোলনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মুলত একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে সেই দেশটির তরুণ সমাজ। বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা তারুণ্যকেই উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে। এখন এই অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষার দায়িত্ব বর্তমান তরুণ প্রজন্মের। এই দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তরুণদের শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে এই ফিচার।
বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তরুণদের জন্য শিক্ষা
নেতৃত্ব
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক, সমন্বয়কারি এবং সর্বপরি একজন যুগান্তকারি নেতা। তিনি তরুণ সমাজের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তরুণরা খুব দ্রুত তাঁর চিন্তা ও আদর্শ নিজেদের মাঝে লালণ করতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের তরুণদের মধ্যে অভূতপূর্ব সংহতি আনতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু যেখানেই যেতেন, হাজার হাজার তরুণ তাকে ঘিরে জড়ো হতো। ১৯৬৬ সালে তার ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতে দেশের লাখ লাখ তরুণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এটিকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ। তরুণ ছাত্র-জনতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আন্দোলনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের ক্ষমতার ঘাঁটি নাড়িয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর নির্দেশে এদেশের তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন তরুণদের অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার উৎস। এই জনপ্রিয় নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন বর্তমানের প্রতিটি তরুণের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
আত্মবিশ্বাস
লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বাসে অটল হওয়াটা ছিলো হিমালয়ের মতো। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতন, কারাবরণ ও অপমান সত্ত্বেও তিনি দেশপ্রেমের আদর্শ থেকে তিল পরিমাণ বিচ্যুত হননি। নিজের আদর্শ, বিঃশ্বাসের প্রতি অগাধ আস্থাই বঙ্গবন্ধুকে একজন সফল রাজনীতিবিদের পরিণত করেছিলো। ঠিক এমনি একটি ব্যক্তিত্ব দরকার আজকের তরুণ সমাজের জন্য। বহুকষ্টে অর্জিত সোনার বাংলার স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে তরুণদের এমনি বৈশিষ্ট্যের অধিকারি হওয়া দরকার, যেখানে সে নিজের জায়গায় অটল থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সমূহ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
অকুতোভয়
তরুণ মুজিব ছাত্রজীবন থেকেই এদেশের মানুষের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে লড়াই করেছেন। মৃত্যুভয় তার ছিল না। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এক দীর্ঘ সময় কেটেছে কারাগারে। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি পরে আদেশ দিতে না পারি”। তার মানে তিনি অনুমান করেছিলেন যে, তাকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া বা এমনকি হত্যা করা হতে পারে। এ কারণে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন। অর্থাৎ প্রাণের হুমকি আছে জেনেও তিনি পিছপা হননি। তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণাটি শুরু হয়েছিলো এই শব্দগুলো দিয়ে- “এটি সম্ভবত আমার শেষ ভাষণ। কিন্তু আপনাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।” এ থেকে বোঝা যায় যে, তিনি চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। একজন আত্মত্যাগী মানুষের লক্ষ্য অর্জনে কোন কিছু বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না। আর এই আগুন-ই দরকার আজ প্রতিটি তরুণের বুকে।
পড়ুন: বঙ্গমাতার ত্যাগ ও অকুণ্ঠ সমর্থনেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবতাবাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলা গড়ার। বাঙালির প্রতি তাঁর পরম মমতা ও ভালোবাসা তাঁকে বাঙালি জাতির হৃদয়ে চির উজ্জ্বল করে রেখেছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বিবিসির ডেভিড ফ্রস্টকে বলেছিলেন, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হল জনগণের প্রতি আমার ভালবাসা। আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল- আমি তাদের খুব বেশি ভালবাসি।” তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, সেটি হলো- “মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা মেয়েদের বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও। তাদের বাসার ঠিকানা হবে ধানমন্ডি-৩২।” এমন কথা যিনি বলতে পারেন তিনি নিঃসন্দেহে মহামানব। আজ প্রতিটি প্রাণেরই দাবি, দেশের মানুষের প্রতি এমন নিঃস্বার্থ ভালবাসার।
নিষ্ঠা
বাংলাদেশে স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সফল রাজনৈতিক জীবন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইরত বাঙালিদের ওপর অত্যাচার সত্ত্বেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর কঠোর আপোষহীন মনোভাব গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। তাঁর জীবন যুবসমাজকে নৈতিকভাবে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে নিপীড়ন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুপ্রাণিত করে। জাতিকে বিকশিত করতে তিনি প্রতিটি নাগরিককে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তার সৎ সাহসের মুল চালিকা শক্তি ছিলো তার ন্যায়পরায়ণতা। আর এই সত্য বলার সাহস এবং সঠিক বস্তুকে আদায় করার দাবী আজও বাঙালীকে শেখায় ঘুরে দাড়াতে।
পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
সৃজনশীলতা
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর দর্শন সম্পর্কে জানতে হলে তাঁর লেখা তিনটি বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া এবং গভীরভাবে উপলব্ধি করা উচিত। তিনি অত্যন্ত সপ্রতিভ ভাবে তাঁর ‘অসমাপ্ত স্মৃতিকথা’, ‘দ্যা প্রিজন ডায়েরিস’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চায়না’ বইগুলোতে তাঁর ভেতরকার সত্ত্বাকে ব্যক্ত করেছেন। তাঁর 'অসমাপ্ত স্মৃতিকথা' ও 'কারাগারের ডায়েরি' বই দুটিতে বিস্ময়কর ভাবে চিত্রায়ন ঘটেছে বাঙালি জাতির উত্থান ও স্বাধীনতা অর্জনের একটি অবিচ্ছেদ্য ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র।
চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা
রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চের তাঁর সেই কালজয়ী ভাষণ আজও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। এই ভাষণ যুগে যুগে তরুণ প্রজন্মকে আলোকিত করেছে। এই ভাষণ সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল এবং স্বাধীনতার জন্য তাদেরকে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ভাষণের প্রতিটি শব্দে তাঁর অভাবনীয় বাগ্মীতা প্রকাশ পায়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের শক্তিশালী সব দেশগুলোর সামনে তিনি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান নিয়ে কথা বলেন। এমনকি কর্মসংস্থানের অভাব এবং পণ্য আমদানির উচ্চ মূল্যে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সংগ্রামের কথাও বলেছিলেন তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুখপাত্র। বর্তমানেও সমাজ সংস্কারের জন্য এমনি স্পষ্টবাদী এবং প্রভাবশালী বক্তার প্রয়োজন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
দেশপ্রেম
বাঙালী জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তিনি শিখিয়েছেন প্রকৃত দেশপ্রেমের অর্থ। এদেশের মানুষের জন্য তাঁর পরম আত্মত্যাগ কখনোই ম্লান হবে না। তিনি সব সময় ছিলেন জনগণের জন্য এবং জনগণের নেতা। আর এটি কোনো সময়ের সীমাবদ্ধতা দিয়ে আবদ্ধ করা যাবে না। তাঁর এই অনুসরণীয় আদর্শ এখনও পূর্ণাঙ্গ দেশপ্রেমিক তৈরি করতে সক্ষম। পাক হানাদার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন ও অপমান তাঁর দেশপ্রেমকে টলাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে এখনকার তরুণদের মননে, চিন্তায়, মেধায় ও চেতনাতে দেশপ্রেমকে লালণ করতে হবে।
সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে তাঁর সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং বাংলাদেশের সব প্রান্তে সংগঠনের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছিলেন। ধীরে ধীরে সংগঠনটি বহুলাংশে সমর্থনের মঞ্চ পেলে তিনি শুরু করেন ৬ দফা আন্দোলন। তিনি জানতেন যে, একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক মেরুদন্ড ছাড়া তিনি একটি স্বাধীন জাতির বৃহৎ লক্ষ্য ও স্বপ্ন অর্জন করতে পারবেন না। এভাবে সাময়িক সফলতার চেয়ে বৃহৎ অর্জনের চিত্র অবলোকন করা একজন নিখুঁত নেতার গুণাবলি। আর এই বৈশিষ্ট্যটি এখন খুবই প্রয়োজন।
আদর্শ নাগরিক
“বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির মাঝে স্বাধীনতার অর্থ নিহিত নয়। স্বাধীনতা মানে মাথা উচু করে সম্মানজনক ভাবে জীবন যাপন করা। নৈতিকতার সাথে আত্মসমালোচনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সর্বপরি আত্মশুদ্ধি ছাড়া একজন আদর্শ নাগরিক হওয়া যায় না।” বঙ্গবন্ধুর এই কথাটি ছিলো সে সময়ের তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কথাটির শব্দগুলো কোন সময়ের গন্ডিতে বাধা নয়। এটি এখনো প্রতিটি তরুণের জন্য প্রযোজ্য। একটি মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে এমন কোন ভাষা, সংস্কৃতি অথবা নিয়ম-কানুন চাপিয়ে দেয়া হলে প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার প্রতিবাদ করা।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রুল
শেষাংশ
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে তরুণদের শিখতে প্রস্তুত হতে হবে এবং তাদের ভবিষ্যত জীবনের পথের পথপ্রদর্শক হিসাবে লালন করতে হবে। তরুণদের চিন্তাধারায় আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে; তাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও দক্ষ এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক হতে হবে। মাদক, জঙ্গিবাদ এবং অন্যান্য সামাজিক পাপাচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর এবং চির আপসহীন হতে হবে। তরুণদেরও তাদের নিজস্ব সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে হবে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে তাদের আদর্শ ও দর্শন অনুসরণ করতে হবে।
২ বছর আগে
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা: পলক
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক ওই এলাকার তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এটি চালু হলে এলাকার তরুণদের চাকরির জন্য ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী হতে হবে না।
বুধবার (২২ জুন) ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় কিসমত রহমতপুরে ‘ময়মনসিংহ আইটি/ হাইটেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় অগ্রসরমান প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে দেশের ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি /হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহে এ হাইটেক পার্কটি ৭ একর জায়গার ওপর ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
এতে প্রতি তলায় ১৫ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট ৭তলা ভবন এবং সিনেপ্লেক্স নির্মিত হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর ১ হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রত্যক্ষ ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
২ বছর আগে
এসডিজি অর্জনে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় টিআইবি
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি-কৌশল প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং সেগুলোর বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
৪ বছর আগে
শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে কৃষিকাজে এগিয়ে আসতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে নতুন আইডিয়া বা উদ্ভাবনী নিয়ে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
৪ বছর আগে
তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সোমবার তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
৪ বছর আগে